[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
কাপ্তাইয়ে তামাক নিয়ন্ত্রণে টাস্কফোর্স কমিটির প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিতকাপ্তাই বিএসপিআইয়ের পরিত্যক্ত সাত প্রতিষ্ঠানে অগ্নিকান্ডপাহাড় কাটার দায়ে লামায় দুই ব্যবসায়ীকে ২ লাখ টাকা জরিমানাবান্দরবানের লামা পৌরসভার ১৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণারামগড় উপজেলা ও পৌর বিএনপির নতুন কমিটি গঠনদীঘিনালায় সাম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে আলোচনা সভাআলীকদমে সাম্প্রীতি ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিতরাজস্থলীতে কৃষি অধিদপ্তরের সার-বীজ ও চারা বিতরণকাপ্তাইয়ে আইন শৃংখলা কমিটির সভা, মাদক থেকে বাঁচতে চাইওয়ান মিলিয়ন লিডার্স এশিয়া চ্যাম্পিয়ন ফেলো রামগড়ের আফরিণ তিশা
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় নদী ভাঙ্গনে ঝুঁকিতে অন্তত ৪০ পরিবার

॥ মোঃ সোহেল রানা, দীঘিনালা ॥
বসতবাড়ি ফসলে জমি খাগড়াছড়ি দীঘিনালা উপজেলায় বোয়ালখালী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বোয়ালখালী পুরাতন বাজার বোয়ালখালী নদীর ভাঙ্গনে দিনদিন বিলিন হয়ে যাচ্ছে বসতবাড়ি ও জসলের জমি। আগামী বর্ষায় ভাঙ্গনের ভয়ে আছেন ৩০/৪০ টি পরিবার।

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে একাধিকবার জানানোর পরে ভাঙ্গন প্রতিরোধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি এলাকাবাসীর অভিযোগ। ঐতিহ্যবাহি বোয়ালখালী পুরাতন বাজার বোয়ালখালী খালটি মানুষের বসতবাড়ি পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া। এই নদীর স্রোতে ভাঙ্গন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে গত কয়েক বছরে আশেপাশের ৩০হতে ৪০টি পরিবারের অর্ধেকেরও বেশি জায়গা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।

বোয়ালখালী খালের পাশে বসতভিটা সন্তানাদি বাস করা আবুল হাসেম বলেন, আমি জায়গা কিনেছি ১০শতক এখন নদীতে ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে আমার জায়গা ৪শতকে এসে টেকেছে। নদী গর্ভে বাকি জায়গা টুকু কখন যে বিলিন হয়ে যায় আতংকে আছি। খাল পাড়ের স্থানীয় বাসিন্দা কুস্তুল মুৎসুদ্দি (৬৫) বলেন, নদীতে শুধু বাড়িঘর বসতভিটা ফসলি জমি ভেঙ্গে শেষ হয়ে যাচ্ছে। এভাবে ভাংতে থাকলে এক সময় নদীর পাড়ে সবার বাড়িঘর ছাড়া হয়ে নি:স্ব হয়ে যাব। সরকারের কাছে আমাদের দাবী নদী ভাঙ্গন থেকে আমাদের বাড়িঘর বসভিটা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার।

বোয়ালখালী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দীল মোহাম্মদ দীলু বলেন, বোয়ালখালী খালে ভাঙ্গনে ৩০/৪০পরিবার বাস করে এবং আশেপাশে ফসলি জমিসহ নদীরগর্ভে কয়েক বছরের বিলীন হয়েছে যাচ্ছে। এভাবে ভাঙ্গতে থাকলে দ্রুত ভাঙ্গনের রোধে ব্যবস্থা না নিলে দুই তীরের বসতবাড়ি ঘর ও ফসলি জমি সম্পূর্ন বিলিন হয়ে যাওয়া আশঙ্কায় রয়েছে। তবে গত কয়েক বছর যাবৎ একাধিক বার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা এসে দেখে যায় কিন্তু ব্যয়বহুল খরচ হওয়াতে কোন প্রতিকারের ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ভাঙ্গন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের
প্রকৌশলী ভাঙ্গন পরিদর্শন এসে বলেছেন আপাতত বরাদ্দ নেই, তারপরও দেখা যাক কি করা যায় বলে উল্লেখ করেন।
বোয়ালখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান চয়ন বিকাশ চাকমা বলেন, নদী/খাল ভাঙ্গন রোধে ব্যয়বহুল প্রকল্প পানি উন্নয়ন বোর্ড ও এডিবি কাজ করতে থাকে। বোয়াখালী নদী যে ভাবে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বসতিবাড়িঘর ফসলে জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাবে। নদী ভাঙ্গন রোধে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন পাঠাব।