[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় সমলয় চাষাবাদের বোরো ধান কর্তন কার্যক্রম উদ্বোধনরাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে ২৫০০ পরিবারের মাঝে বিজিবি ’র খাদ্যশস্য বিতরণলংগদুতে ট্রলি দূর্ঘটনায় এবার চালকেরও মৃত্যু হয়েছেখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় মৎস্য চাষীদের মাঝে মৎস্য খাদ্য বিতরণবান্দরবানের লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর বেহাল দশা, মাত্র ২ জন চিকিৎসকবাঘাইছড়িতে বায়তুশ শরফ মাদ্রাসায় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণগৌতম বুদ্ধ ২৫৬০ বছর আগে জগতে আবির্ভূত হয়েছিলেনহৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জসিম মারা গেছেনখাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়িতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ (মূল) দলের সদস্য আটকখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

বান্দরবানের লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর বেহাল দশা, মাত্র ২ জন চিকিৎসক

॥ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ॥
বান্দরবানের লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার, নার্স, ঔষধের চরম সংকটের কারণে চিকিৎসাসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। চিকিৎ পেতে হিমমিম খেতে হচ্ছে প্রতিনিয়িত। প্রায় দুই লাখ মানুষের ভরসাস্থল এই ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটিতে সেবা দিতে রয়েছে মাত্র ২ জন চিকিৎসক। হাজার সমস্যা থাকলেও দেখার কেউ নেই।

লামা হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মোঃ ফরহাদ উদ্দিন বলেন, প্রতিদিন গড়ে হাসপাতালের বহিঃবিভাগে ২৫০ জন রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন এবং আন্তঃবিভাগে গড়ে ৮৫ জন ভর্তি থাকে। এদিকে বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে সবসময় পানি ঘাটতি, ঔষধ সংকট, এ্যাম্বুলেন্স নষ্ট, চিকিৎসা সম্পর্কিত যন্ত্রপাতি নষ্ট ও স্টাফ সংকট চরমে। ভুতুড়ে পরিস্থিতি বিরাজ করছে লামা হাসপাতালে। তারপরেও আমরা দুইজন চিকিৎসক সাধ্যমতে সেবা দেয়ার চেষ্টা করছি।

জানা যায়, হাসপাতালে ২২টি চিকিৎসক পদের বিপরীতে মাত্র ২ জন কর্মরত রয়েছেন, ৩২টি নার্স পদের বিপরীতে আছেন মাত্র ৮ জন। এছাড়া ৬ জন কনসালটেন্ট ও ১২ জন মেডিকেল অফিসারের পদ শূন্য রয়েছে। উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারদের ৪টি পদের মধ্যে ১ জন কর্মরত থাকলেও, তিনি আগামী ১৯ মে হজ¦ পালনে মক্কা চলে যাচ্ছেন। চরম ডাক্তার সংকটের মাঝে গত ৫ মে ২০২৫ইং মেকি মার্মা নামে একজন চিকিৎসক যোগদান করলেও তিনি বান্দরবান জেলা পরিষদের সুপারিশে ডেপুটেশনে বান্দরবান সদর হাসপাতালে বসবেন। ফলে অভিভাবকহীন হাসপাতালে আসা রোগীরা নূন্যতম চিকিৎসা পাওয়া থেকে আরো বঞ্চিত হবে।

লামার রূপসীপাড়া হতে আসা ডায়রিয়া রোগী মনির হোসেন, গজালিয়া বড়পাড়া হতে আসা উচিমং মার্মা, বাজার পাড়ার নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশু তাবাচ্ছুম এর অভিভাবক জানান, গত তিনদিন ধরে হাসপাতালে পানি নেই। এ্যাম্বুলেন্সের অবস্থাও বেহাল। দুটি এ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে একটি দীর্ঘ এক যুগ ধরে অচল, অন্যটি ব্যবহারের অযোগ্য অবস্থায় চলছে। এছাড়া হাসপাতালের ব্যবস্থাপনার দুর্বলতার কারণে সাম্প্রতিক বন্যায় আল্ট্রাসোনোগ্রাফি, ইসিজি, অত্যাধুনিক এক্স-রে মেশিনসহ ল্যাবের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে অনেক রোগী প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে পারছেন না।

লামা উপজেলার ১টি পৌরসভা, সাতটি ইউনিয়ন, আলীকদম উপজেলা চৈক্ষ্যং ইউনিয়ন ও চকরিয়া উপজেলার বমু বিলছড়ি ইউনিয়নের বাসিন্দারা এই হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল। প্রতিদিন অসংখ্য রোগী চিকিৎসা নিতে লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। ইউনিয়ন পর্যায়ে হাসপাতাল থাকলেও পর্যাপ্ত ওষুধ, ডাক্তার ও নার্সের অভাবে দরিদ্র ও অসহায় রোগীরা প্রয়োজনীয় সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ফলে অনেক রোগী বাধ্য হয়ে পাশের চকরিয়া উপজেলায় চিকিৎসার জন্য ছুটতে হয়, যা তাদের জন্য আর্থিকভাবে কষ্টসাধ্য। অনেকেই চিকিৎসার অভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন বা মৃত্যুর মুখে পড়ছেন।

এ বিষয়ে লামা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শোভন দত্ত জানান, বর্তমানে হাসপাতালটি চরম জনবল সংকটে ভুগছে, তবে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হয়েছে এবং দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। বান্দরবান সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ শাহীন হোসাইন চৌধুরী বলেন, আমি সদ্য যোগদান করেছি। লামা হাসপাতালের সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেয়া হবে।