[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় বিজিবি’র অভিযানে বিদেশী বন্দুক উদ্ধারবান্দরবানের থানচিতে কি লুট হয়ে যাচ্ছে অর্ধকোটি টাকার প্রকল্পের কাজসাম্য হত্যায় খাগড়াছড়ির রামগড়ে মানববন্ধন, এটি পরিকল্পিত সহিংসতাখাগড়াছড়ির রামগড়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদসহ তিন ব্যবসায়ীকে জরিমানাএবার ট্রাক্টর উল্টে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে ৩ শ্রমিক নিহত, আহত ২বান্দরবানের আলীকদমে রোহিঙ্গাদের ভোটার জালিয়াতিতে জনপ্রতিনিধি জড়িতবিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্লিপ্ততায় সাম্য হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছেঅপরিকল্পিত সার ও বালাইনাশকের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে কৃষি কাজেরাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের পক্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইঞ্জিন বোট প্রদানকিছু উগ্র দলের মানুষ পাহাড়ে দাঙ্গা বাধানোর জন্য উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়িতে কৃষকের প্রনোদনা নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ, এসব কি হচ্ছে

২৫

॥ মোঃ রমজান আলী জিসান, লক্ষ্মীছড়ি ॥
খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় কৃষকের প্রনোদনা পাওয়া না পাওয়া নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার সিংহভাগ কৃষি জমি রয়েছে বান্যাছোলা ও ডিপি পাড়া এলাকায়। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে একটি দুষ্ট চক্র কৃষি অফিসের উপ-সহকারি ও দায়িত্ব প্রাপ্তদের সঙ্গে নিয়ে নির্দিষ্ট কয়েকজন ধনী লোককে প্রনোদনার সকল প্রকল্প, সার, বীজ, কীটনাশক ও প্রশিক্ষণ এর টাকা ভাগ ভাটোয়ারা করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছে সাধারণ কৃষকরা।

স্থানীয় সাধারণ কৃষকরা জানিয়েছেন, কিছু অসাধু চক্রের কারণে পাহাড়ি-বাঙ্গালীর প্রান্তিক কৃষক সরকারের কৃষি প্রনোদনার সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এই খাতকে ঘিরে একটি দুষ্ট চক্র দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চনা, প্রতারণা সহ অনিয়মের কথা ডিপি পাড়া ও বাইন্যছোলা এলাকার একাধিক কৃষকও অভিযোগ করেছেন, তারা সরকারি কৃষি প্রণোদনা ও সহায়তা থেকে দীর্ঘদিন বঞ্চিত থাকলেও, ফটিকছড়ি উপজেলার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে ভুয়া পরিচয়ে এসব সুবিধা ভোগ করে আসছেন বলেও দাবি করেছেন।

তারা আরো জানান, চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থেকে এসে একটি সংর্ঘবদ্ধ চক্র কৃষক সেজে অতি গোপনে সরকারি সুযোগ গ্রহণ করে থাকে। স্থানীয় কয়েকজন কৃষক বলেন, আমরা প্রকৃত কৃষক হয়েও কোনো প্রণোদনা পাই না, অথচ বাইরের লোকজন তাদের কোন জমি নেই অথচ জাল কাগজপত্র দিয়ে নামে-বেনামে কৃষি ঋণ, সেচ প্রকল্প, সার, কীটনাশক ও বীজ পাচ্ছেন। তারা জানান, সারা বছর চাষাবাদ করি কিন্তু যখন সরকারি সহায়তা দেওয়ার সময় আসে, তখন শুনি তালিকায় আমাদের সাধারণ কৃষকদের নাম নেই। ভুয়া কৃষক পরিচয়ে প্রকল্প গ্রহন এর অভিযোগ রয়েছে মোঃ আজম ও মোঃ আব্দুল করিম, তাজুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে। এদের ঘিরে স্থানীয়দের রয়েছে নানা অভিযোগ। মোঃ আজম নামে প্রভাবশালী এক ব্যক্তি লক্ষ¥ীছড়িতে কৃষি সোলার সেচ প্রকল্পের সুবিধা নিয়েছেন যেটার সুবিধা ভোগ করার কথা সর্বজনীন কৃষক কিন্তু সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় তাদের সিন্ডিকেটের কয়েকজন ছাড়া বাকি কৃষকরা বঞ্চিত রয়েছেন।

অভিযোগ রয়েছে তিনি বিএডিসি থেকে একটি সেচ প্রকল্প সোলার প্লান্ট গ্রহণ করে পরে সরঞ্জাম বিক্রি করে আত্মসাৎ করে তা চুরি হয়ে যাওয়ার নাম করে চালিয়ে দেয়। অপর একটি অভিযোগ হলো সেই চোরাই বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে পানি সেচের মোটর চলান এই নিয়ে বিদ্যুৎ অফিসের লাইনম্যান আসির উদ্দিন জানান তিনি প্রতিবাদ করাতে তাকে অনেক হুমকিধামকি প্রদান করেন এবং তার বিরুদ্ধে উল্টো অভিযোগ করে তাকে চাকরিচ্যুত করেন। ওই লাইনম্যান এর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগও দায়ের করেছেন বলে জানান। জনৈক আজম অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে সেচ চালাচ্ছেন। এছাড়াও আজমের নামে এলাকায় নতুন বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ করে দেওয়ার নামে ৩-৪ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে ডিপি পাড়া এলাকাবাসিদের যার তদন্ত করা হলে বিষয়টি পরিস্কার হয়ে যাবে। এই সব অনিয়মের প্রতিবাদ করলে সিন্ডিকেট করে কৃষকদের জিম্মি করে, কৃষকদের চাষাবাদ বন্ধের হুমকি দিয়ে প্রায় ১৫-২০ একর জমিতে চলতি সেচ মৌসুমে পানি সেচ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। এতে করে চাষাবাদ বন্ধ হয়ে যায় বহু কৃষকের। নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক ভুক্তভোগীরা জানান, তাদের সঙ্গে রোহিঙ্গা নামধারী বেশ কয়েক কক্সবাজারের বহিরাগত মাস্তানও রয়েছে। তাদের ভয়ে এলাকার দরিদ্র কৃষকরা কথা বলার সাহস পাচ্ছেনা বলে জানান। চট্টগ্রামে বিভিন্ন অঞ্চলের লোকদের কাছে স্থানীয় কৃষক জিম্মী হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি উপজেলা কৃষি অফিসকে জানালেও এর কোনো সুফল পাওয়া যায়নি।

কৃষি অফিসের ‘নীরবতা’ নিয়ে প্রশ্ন এই বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার মোবাইল নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও একাধিকবার সংযোগ পাওয়া যায়নি। অপর একজন ফিল্ড কর্মকর্তা মিটু চৌধুরী বলেন, আমি এসব বিষয়ে কথা বলতে পারবো না, আমার স্যারের সঙ্গে কথা বলেন। কৃষি অফিসের এই নিরবতায় ক্ষোভ জানিয়ে স্থানীয় কৃষকরা বলছেন আমরা সাধারণ কৃষকরা তাহলে কার কাছে যাব ?