[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

রাঙ্গমাটির কাপ্তাই হ্রদে ১মে’র মধ্য রাত থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত মাছ শিকার বন্ধ

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
রাঙ্গামাটিস্থ কাপ্তাই হ্রদে ১ মে মধ্যরাত থেকে সকল প্রকার মাছ শিকার এর উপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন। মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন, বংশবৃদ্ধি ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে প্রশাসন এই বিধিনিষেধ জারি করেছে।

জেলা প্রশাসন সুত্র জানায়, প্রতি বছরের ন্যায় মাছের প্রাকৃতিক প্রজননকে সামনে রেখে ১মে ২০২৫ইং মধ্য রাত থেকে পরবর্তী ৩১ জুলাই পর্যন্ত এ বিধি নিষেধ আরোপ থাকবে। এসময় কোন জেলে কিংবা ব্যবসায়ী অথবা যে কোন শ্রেণী পেশার মানুষ কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকার করে তার বা তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রতিবছরই মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন সুরক্ষার জন্য জনস্বার্থ এবং মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে প্রশাসন এই ব্যবস্থা নিয়ে আসছে। প্রশাসনের বিধিনিষেধের এই সময়ে কাপ্তাই হ্রদে মাছের সার্বিক নিরাপত্তায় ভ্রাম্যমান আদালত এবং কর্পোরেশনের বিশেষ দল নিয়মিত হ্রদ পরিদর্শনে থাকবেন।

এদিকে এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ মারুফ জানিয়েছেন, মাছের বংশবৃদ্ধি এবং উৎপাদন বাড়াতে প্রয়োজনে এই সময়সীমা বাড়াতেও পারেন। কাপ্তাই হ্রদের মাছ উৎপাদন ও ব্যবসায় জাতীয় রাজস্ব খাতে আয়ের একটি অংশীদার। এই সময়ে সকল সচেতন মহলের সহযোগীতা প্রশাসন কামনা করছে।

অপর দিকে, কাপ্তাই হ্রদ মৎস্য উন্নয়ন ও বিপণন ব্যবস্থাপক কামন্ডার মোঃ ফয়েজ আল কিরম বলেন, মাছ শিকার বন্ধ থাকা সময়ে এর নির্ভর সকল মৎস্য শ্রমিকদের ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে খাদ্যশস্য এর চাল দেওয়া হবে। মাছ শিকার বন্ধকালীন সময় প্রায় ২৭ হাজার জেলে পরিবারকে প্রতিমাসে ৩ কেঝি চাল দেওয়া হবে। এবার হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের ৬০ মে.টন পোনা অবমুক্ত করা হবে। কোন অসাধু জেলে কিংবা ব্যবসায়ী হ্রদে মাছ ধরতে না পারে তার জন্য সাবইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানানন তিনি।

অন্যদিকে স্থানীয় ভোক্তা সাধারণ এবং ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, কাপ্তাই হ্রদ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে এটি বৃহৎ মিঠা পানির হ্রদ। এ হ্রদের মাছ রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন শহরে বেশ চাহিদা রয়েছে। বছরের তিন মাস মাছ শিকার বন্ধ থাকালেও পরে স্থানীয়রা বাজারে গিয়ে হ্রদের মাছ চাহিদা মতো পাচ্ছেন না। বেশী লাভের আশায় ব্যবসায়ীরা হ্রদের মাছ বাইরে রপ্তানী করে স্থানীয়দের খাওয়াচ্ছেন শহর গ্রামের চাষের মাছ। এসব মাছের স্বাধ-ঘ্রাণ আর হ্রদের মাছের স্বাধ-ঘ্রাণ একেবারেই আলাদা। এছাড়াও রাঙ্গামাটি জেলার মানুষের জন্য স্থানীয়বাজারে মাছ বিক্রেতাদের তেমন ট্যাক্স দিতে হয় না অথচ স্থানীয়রাই মাছের দামে কম হোক আর বেশী হোক হ্রদের মাছ খেতে পারছেনা বলেও অভিযোগ করা হচ্ছে। তাই ভোক্তা সাধারণ জেলা প্রশাসন ও মৎস্য কর্পোরেশনকে বাজারের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি রাখারও আহ্বান জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য যে, ১৬ এপ্রিল কাপ্তাই হ্রদ রক্ষণা বেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা কমিটির এক সভায় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে কার্প জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্ত করণ এবং এ সময়ে সকল প্রকার মাছ শিকার এর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়, যার কার্যকর শুরু হবে ১ মে’র মধ্য রাত থকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এর মেয়াদ ৩১জুলাই ২০২৫ইং (তিন মাস) পর্যন্ত জনস্বার্থে বলবৎ থাকবে।