খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ধান চাষে কৃষকদের প্রশিক্ষণ সনদ প্রদান
॥ দীঘিনালা উপজেলা প্রতিনিধি ॥
পুষ্টি উন্নয়ন ,উদ্যোক্তা তৈরি, পরিবেশবান্ধব চাষাবাদ এই তিনটি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিয়ে খাগড়াছড়ি দীঘিনালায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে পার্টনার ফিল্ড স্কুল (PFS)-ধান ও কৃষক সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে কৃষকদের মাঝে প্রশিক্ষণ সনদপত্র প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯এপ্রিল) সকাল ১১টায় দীঘিনালা কবাখালী ইউনিয়নের জয় কুমার কার্বারী পাড়ায় আলোচনার পর প্রশিক্ষণ সনদপত্র বিতরণ করা হয়।
বাংলাদেশ সরকার কৃষি মন্ত্রনালয় অধিদপ্তর, বিশ^ ব্যাংক THE WORLD BANK INTERNATION FUND FOR AGRICULTURAL DEBELPMENT(IFAD) প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন এন্টারপ্রেনরশিপ অ্যান্ড রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার), কৃষি মন্ত্রণালয় অর্থায়নে ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বাস্তবায়নের পার্টনার ফিল্ড স্কুল (PFS) ধান চাষে ২৫জন কৃষকদের মাঝে প্রশিক্ষন প্রদান করা হয়েছে।
কৃষক সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে কৃষকদের মাঝে সনদ পত্র বিতরন উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন দীঘিনালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শাহাদাত হোসেন। এতে বক্তব্য রাখেন দীঘিনালা প্রেসক্লাব‘র সাবেক সভাপতি মোঃ সোহেল রানা, দীঘিনালা উপজেলা উপসহকারী উদ্ভিদ সম্প্রসারন কর্মকর্তা পরেশ চাকমা, কবাখালী কৃষি ব্লক কৃষি উপসহকারী অফিসার লিটন চাকমা প্রমূখ।
দীঘিনালা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, পার্টনার প্রোগ্রামের সার্বিক লক্ষ্য হল খোরপোষ কৃষিকে বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তরের মাধ্যমে দেশের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ। প্রোগ্রামটি মূলত তিনটি কার্যক্ষেত্রে বাস্তবায়িত হবে যেখানে ১০টি ডিএলআই সূচক রয়েছে যার আওতায় আবার ২৪ টি ডিএলআর মাধ্যমে টেকসই ও পুষ্টিকর খাদ্য উৎপাদন, ফল ও সবজির জন্য উত্তম কৃষি চর্চার ধাপসমূহ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ, ধান ব্যতীত অন্যান্য দানাদার শস্য, ডাল, তেল ও উদ্যান ফসলের মাধ্যমে শস্য বহুমুখীকরণ, আধুনিক সেচ প্রযুক্তি সম্প্রসারণ, ভ্যালু চেইন সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তাদের মান উন্নয়ন,কৃষক স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে ডিজিটাল কৃষি সেবা সম্প্রসারণ,বীজ প্রত্যয়নের অ্যাক্রিডিটেশন সিস্টেম ও নিরাপদ খাদ্য পরীক্ষা পদ্ধতি জোরদারকরণ, নারী ও তরুণ কৃষি উদ্যোক্তাদের উদ্যোগ সমূহকে বিকশিত করাসরকারি কৃষি প্রতিষ্ঠান আধুনিকীকরণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানসমূহের কার্যাবলিকে যুগোপযোগীকরণ, ভূক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ কার্যক্রমের মূল্যায়ন, নির্দিষ্ট কৃষি পণ্যের ভ্যালু চেইন কার্যক্রম জোরদারকরণ, মানসম্মত তথ্য ব্যবস্থাপনা (কৃষি পরিসংখ্যান এবং স্থানীয় ও আন্তজার্তিক বাজার গবেষণা)।
উপজেলায় পর্যায়ক্রমে ৩৫টি পার্টনার ফিল্ড স্কুল (PFS) কেন্দ্র গঠন করা হবে। ইতিমধ্যে ১৮টি নর পার্টনার ফিল্ড স্কুল (PFS) গঠেন করা হয়েছে। সিনিয়র সাংবাদিক মোঃ সোহেল রানা বক্তব্যে বলেন, দিন দিন চাষাবাদ জমির পরিমান কমছে, একই জমিতে উচ্চফলনশীল তিন-চার ফসল করতে হবে। স্বাস্থ্য সম্মত বৈজ্ঞানিক পদ্বতিতে চষাবাদ করতে হবে। ধান চাষের পাশাপাশি ডাল ও মসলা জাতীয় ফসলও করতে হবে। পুষ্টিগুন বজায় রেখে চাষাবাদ করতে হবে।
প্রশিক্ষনার্থী কৃর্তীশ্রী কোক চাকমা বলেন, আমার এখন প্রশিক্ষন নিয়ে ফসল চাষাবাদ বৈজ্ঞানিক পদ্বতি শিখেছি। এখন জমিতে ভালো সফল ফলাতে পারব। আমার এখন অর্গানিক পদ্বতি চাষাবাদ করে খাদ্য পুষ্টিগুন সঠিক থাকবে।
আমারা এখন নিজেরা উদ্যোক্তা হয়ে খামারের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন করতে পারব।