[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
বান্দরবানের আলীকদমে ইয়াবা সেবন, কৃষক দলের সভাপতি আলম সহ আটক ৪খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় তামাক চুল্লিতে আগুন, ব্যাপক ক্ষতিবাঘাইছড়ির মারিশ্যা ২৭ বিজিবি’র উদ্যোগে বিদ্যালয়ে নগদ অর্থ প্রদানবান্দরবানের রুমার মুনলাই পাড়ায় অসহায়দের জন্য সেনাবাহিনীর চিকিৎসা সেবা প্রদানখাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়িতে তরুণী ধর্ষণ ঘটনায় আটক ২ জন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতানায়েক রাসেলের গুড সার্ভিস পুলিশ ব্যাজ ও সনদপত্র অর্জনবান্দরবানের থানচি ইউএনও’র সাথে যুব ক্রীড়া পরিষদের সৌজন্য সাক্ষাৎবান্দরবানের আলীকদমে শ্রমিক দলের আয়োজনে মে দিবস পালিতরাঙ্গমাটি জেলা প্রশাসন, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের আয়োজনে মে দিবস পালনখাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়িতে যথাযথ মর্যাদায় মহান মে দিবস পালন
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় রেসাস প্রজাতির বানর শাবক বনে অবমুক্ত

॥ মোঃ সোহেল রানা, দীঘিনালা ॥
খাগড়াছড়ি দীঘিনালায় গহীন বনে রেসাস প্রজাতির একটি বানর শাবক অবমুক্ত করেছে বনবিভাগ। বৃহস্পতিবার (২৪এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রাম উত্তর ঝুম নিয়ন্ত্রণ বন বিভাগের মেরুং রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম সহ বন কর্মীরা বানরটি অবমুক্ত করেন জংগলে।

মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বানর শাবকটিকে গত ১০ এপ্রিল উপজেলার বোয়ালখালী ইউনিয়নের জামতলী বাজার এলাকায় গলায় শিকল বাঁধা অবস্থায় বনকর্মীরা উদ্বার করে। পরে স্নেক রেস্কিউ টিম বাংলাদেশের সেচ্ছাসেবীদের সহযোগীতায় বুনো পরিবেশে প্রশিক্ষণ দিয়ে বানর শাবকটিকে বনের উপযোগী করে তোলা হয়। পরে গহীন বনে শাবকটিকে অবমুক্ত করা হয়েছে।

দীঘিনালা স্নেক রেস্কিউ টিম বাংলাদেশের সমন্বয়ক হৃদয় বড়ুয়া বলেন, বানরটি যেহেতু লোকায়লে মানুষের খাবারে অভ্যস্ত ছিল তাই কিছুদিন তাকে বুনো পরিবেশে প্রাকৃতিক খাবারে অভ্যস্ত করা হয়েছে। এখন বানর শাবকটি প্রাকৃতিক ভাবে নিজের খাবার সংগ্রহ করে খেতে পাড়বে। এছাড়াও খুব শিগ্রই তার প্রজাতির বানরের সাথে যুক্ত হতে পারবে। বানরটি রেসাস বানর বা লাল বানর (ইংরেজি: Rhesus Macaque, Rhesus Monkey; বৈজ্ঞানিক নাম: Macaca mulatta) এই বানর প্রজাতিটি প্রাচীন বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত।

এ বিষয়ে পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী বিষয়ে অভিজ্ঞ সাংবাদিক সোহানুর রহমান বলেন, অবাধে বনাঞ্চল উজাড়, আয়তন কমে যাওয়া, বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল আঙ্কাজনক হারে হ্রাস পাওয়া, তীব্র খাদ্য ও পানির সংকট ইত্যাদির কারণে বন্যপ্রাণীরা সংরক্ষিত ও প্রাকৃতিক বনাঞ্চল থেকে বেরিয়ে লোকালয়ে চলে আসছে। এই সুযোগে অনেক সময় মানুষের হাতে ধরা পড়ছে এসব প্রাণী। কখনও কখনও আতঙ্কিত হয়ে লোকজন মেরে ফেলছেন লোকালয়ে আসা বন্য প্রাণীগুলোকে। অন্যদিকে, সচেতন মানুষ লোকালয়ে বন্য কিংবা বিপন্ন প্রাণী দেখলে বন বিভাগসহ প্রাণী সংরক্ষণে কাজ করছে, এমন সংস্থাগুলোকে খবর দিচ্ছেন। এতে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হচ্ছে অসংখ্য বন্যপ্রাণী।