[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

খাগড়াছড়িতে ভাতা বিহীন কেন ৬ প্রতিবন্ধী

৪০

সরকার প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে যেমন খোঁজ রাখছেন তেমন তাঁদের শিক্ষার উন্নয়নেও বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন। প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে সমাজ কল্যাণ অধিদপ্তর এর মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রত্যেক প্রতিবন্ধীদের নিয়মিত সাহার্য্যভাতা প্রদান করে আসছে। এর পরও দেশে বিভিন্ন স্থানে অযত্নে অবহেলার শিকার হচ্ছেন প্রতিবন্ধীরা। তাদের দেখভাল করাতো দুরের কথা সামাজিকভাবে হেয়, অবহেলা এবং অবজ্ঞার শিকার হচ্ছেন। সহযোগীতার অভাবে অদিকার বঞ্চিত হচ্ছেন প্রতিবন্ধীর।

জানা গেল, খাগড়াছড়ির জেলার দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের একই পরিবারের ছয় জনই শাররীকভাবে প্রতিবন্ধী। তারা হলেন, আব্দুল কাদেরের স্ত্রী সাহারা খাতুন (৬০) দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, তার ছেলে মনির হোসেন (২১) ক্ষীণদৃষ্টি, কন্যা খালেদা (২৭) ক্ষীণদৃষ্টি এবং খালেদার দুই সন্তান শারমিন (৯) ও খোরশেদ (৭) দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সাহারা খাতুনের ভাইয়ের কন্যা ছাবিনা ইয়াছমি (১০) ক্ষীণদৃষ্টি। ৬ জনের মধ্যে মনির, খালেদা ও ছাবিনা ইয়াছমিন এই ৩ জনকে সময় সময় চক্ষু অপারেশন করা হয়েছে। ফলে তারা আংশিক দেখতে পায়। কিন্তু সম্পূর্ণ সুস্থ্য নয় বলে জানিয়েছেন তাদের অভিভাবক। বর্তমানে তাদের এমন পরিস্থিতি যে সহযোগীতার অভাবে একেবারে নিঃস্ব হতে বসেছে। তাদের ঘরে নেই বিদ্যুৎ, বিশুদ্ধ পানীয় জলের অভাব, অনুন্নত যোগাযোগ, চিকিৎসার অভাব, সামাজিক নিরাপত্তার অভাব, শিক্ষার অভাব। এই পরিবারে অভাব যেন পিছু চাড়ছেই না।

কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস ৬ জনের কেহই প্রতিবন্ধী ভাতা পায় না। আদৌ তাদের নামে প্রতিবন্ধী কার্ড হয়েছে কিনা? তাও তারা জানে না। তাদের আর্থিক অবস্থা খুবই শোচনীয়। প্রতিবন্ধী খালেদার বসতঘর নেই। তার ফুফুর ভাঙ্গা কুড়েঁ ঘরে একত্রে বসবাস করে। প্রতিবন্ধী সাহারা খাতুনের অপর কন্যা মাজেদা বেগমের বসতঘর একবছর পূর্বে আগুনে পুড়ে যায়। কিন্তু অর্থের অভাবে এখনো বসতঘর তৈরি করতে পারেনি। পিতার পুরাতন ঘরে মাটিতে বিছানা পেতে রাত্রি যাপন করে। যার এক পাশে থাকে গরু এবং অন্য পাশে ছাগল। অপর বিধবা মরিয়মের পরিবারের ৪ সন্তানের মধ্যে এক ছেলে প্রতিবন্ধী আব্দুর রহিম (৩০)। এছাড়াও আরেক বিধবা নারী হাদিছা। তার ৩ মেয়ের মধ্যে ১ মেয়েও প্রতিবন্ধী।

স্থানীয় সচেতন মহলও অভিযোগ করেছেন সরকার প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে নানান প্রকল্প গ্রহন করলেও দূর্গম এই পার্বত্য জেলার আনাচে কানাচে আনেক প্রতিবন্ধী সহায়সম্বলহীন তাদের দেখার কেউ নেই। সমাজ কল্যাণ অধিদপ্তর তাদের উন্নয়নে কাজ করলেও অবহেলার শিকার এখনো অনেক প্রতিবন্ধী। খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের একই পরিবারের ছয় জন প্রতিবন্ধীর ভবিষ্যৎ কি হবে। সরকারী সকল সুযোগ থাকার পরও কেন তারা প্রতিবন্ধী ভাতাও পান না। প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রতিবন্ধীদের খোঁজ নিয়ে সরকারী সুযোগ সুবিধাগুলোর ব্যবস্থা করতে হবে জরুরী।