[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে বিশ্ব তামাক দিবস উদযাপনরাঙ্গামাটির রাজস্থলীস্থ কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহার নিরাপত্তায় দেওয়াল নির্মানের দাবিকাপ্তাইয়ে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ সম্পন্ন ও পুরস্কার বিতরণবরকলে গৃহহীন পরিবারের পাশে আইমাছড়া ইউপি চেয়ারম্যানবান্দরবানের থানচিতে পাহাড় ধসের শঙ্কা, নিম্নাঞ্চলের মানুষের জনজীবন দুর্ভোগেবান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে বিজিবির জব্দ গরু ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা সংঘর্ষে আহত ৪বান্দরবানের থানচিতে পাহাড় ধসে গুরুতর আহত ১রাঙ্গামাটির রাজস্থলী উপজেলায় বন্যহাতির তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড বসতবাড়িকাপ্তাই উপজেলায় পাহাড় ধ্বসের ঝুঁকিতে এক হাজার পরিবারদীঘিনালায় আশ্রয় কেন্দ্রে বিএনপি’র ত্রান সহায়তা
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে রাবিপ্রবি’তে “No Work, No School” কর্মসূচি

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসন ও নৃশংস গণহত্যার প্রতিবাদে বিশ্বব্যাপী “No Work, No School” কর্মসূচির সাথে সংহতি প্রকাশ করে রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার (৭এপ্রিল) ২০২৫ তারিখ সকাল ১১:১৫ ঘটিকায় এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ প্রতিবাদ সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচির আওতায় সকাল ৯:০০ ঘটিকা থেকে সকাল ১১:০০ ঘটিকা পর্যন্ত দুই ঘণ্টাব্যাপী কর্মবিরতি পালন করা হয়।

এসময় রাবিপ্রবি’র ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ আতিয়ার রহমান এ প্রতিবাদ সমাবেশে বলেন, ১৯৪৮ সাল থেকে প্রায় পঁচাত্তর বছর ধরে ফিলিস্তিনের গাজা ও পশ্চিমতীরে ইসরায়েলি আগ্রাসী তৎপরতা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রূপে বিশ্ববাসী দেখেছে। ক্রমান্বয়ে তা প্রবল থেকে প্রবলতর হয়েছে, সম্প্রতি সমগ্র ফিলিস্তিনে যে ধ্বংসযজ্ঞ ও গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে ও হচ্ছে তা অবর্ণনীয়। সেখানে মানুষ অবর্ণনীয় দুঃখ, দুর্দশা সহ্য করছে এবং কষ্ট করছে খাদ্য ও পানির জন্য। ইসরায়েলের জিঘাংসার পথ পরিক্রমা এখনো চলমান রয়েছে। ফিলিস্তিনে মানুষ হিসেবে যে অধিকার আছে, তা চরমভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে। আজকে ফিলিস্তিনে নারীদের যে হাহাকার, শিশুদের যে হাহাকার, তা হৃদয়বিদারক। এরকম বাস্তবতায় আমরা মানুষের জন্য কথা বলতে চাই। আমাদের প্রথম ও প্রধান পরিচয় আমরা এই সমাজের মানুষ।

তিনি বলেন, বিশ্ব মোড়ল ও বিশ্বে যারা নেতৃত্বে আছেন, তাদের বলতে চাই, বন্ধ হোক ফিলিস্তিনে গণহত্যা, বন্ধ হোক শিশুদের উপর নির্যাতন, নারীদের উপর নির্যাতন এবং জনসাধারণের উপর গণহত্যা। ফিলিস্তিনে শান্তি ফিরে আসুক। একের পর এক চুক্তির নামে যেসমস্ত বাহানা চলছে, তা সত্যিকার অর্থে অর্থবহ হোক, সেগুলো আবার ফিলিস্তিনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকর হোক। তিনি আরো বলেন, ইউরোপ, আমেরিকাসহ ওআইসি ও জাতিসঙ্ঘ যাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার কথা তারাও কার্যকরী ভূমিকা রাখছে না। মানবতা ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে। সুতরাং আমরা সামগ্রিকভাবে যারা এখনো পর্যন্ত মানবতাকে টিকিয়ে রাখতে চায়, তাদের কাছে আমাদের আহবান থাকবে অতিসত্বর ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ হোক এবং সকল আন্তর্জাতিক ও জাতীয় সংস্থাসমূহ শান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকরী ভূমিকা রাখুক। প্রতিবাদ সমাবেশে অংশগ্রহণ করায় শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দকে তিনি ধন্যবাদ জানান।