[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
রাঙ্গামাটি জেলার লংগদু উপজেলায় সড়কের মাঝখানে বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই চলছে কাজবান্দরবানের থানচিতে টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন ফ্রেন্ডশিপ ক্রিকেট ক্লাবঅংশগ্রহণমূলক প্রশাসনই টেকসই উন্নয়নের চাবিকাঠি: দীঘিনালায় নতুন ইউএনওসাম্য হত্যার প্রতিবাদে খাগড়াছড়ির রামগড় কলেজ ছাত্রদলের বিক্ষোভরামগড়ে পাহাড়াঞ্চল কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিতসাম্য হত্যার প্রতিবাদে খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় প্রতিবাদ সমাবেশরাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে জেলেদের মাঝে ৫২টি ছাগল বিতরণআমাগো পুলিশ জেঠারা কঠোর হইয়া রোলার চালাইলে এইসব পিষ্ট হইতে বেশী সমুয় যাইবে না, চিন্তায় আছি….পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোর দিকে নজর দিতে হবেসাবেক ফুটবলার আনাই মগিনীকে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদে অস্থায়ী নিয়োগ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

সমদৃষ্টি না রাখলে পার্বত্য উপদেষ্টাকে পাহাড়ে আবাঞ্চিত ঘোষণা করা হবে

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
অন্তবর্তী সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্ঠা আবসরপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত সুপ্রদীপ চাকমাকে পার্বত্য চট্টগ্রামে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে সচেতন ছাত্র জনতা। উপদেষ্ঠা কর্তৃক চরম বৈষম্য করার অভিযোগে শনিবার (২৯মার্চ) সকালে রাঙ্গামাটি পৌরসভা প্রাঙ্গন থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল ও সেখানে তাঁর কুশপুত্তলিকাও দাহ করা হয়েছে।

ছাত্রজনতার অভিযোগ, পার্বত্য উপদেষ্টা কর্তৃক সম্প্রতি মন্ত্রণালয় থেকে যেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠনকে প্রকল্পের মাধ্যমে ও আর্থিকভাবে সহযোগীতা দেওয়া হয়েছে তাতে চরম বৈষম্যের পরিচয় দিয়েছেন। তিনি বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের মদদপুষ্টদের এবং এক পক্ষীয়ভাবে স্বগোত্রীয়দের এসব বরাদ্দ দিয়েছেন। যে দেশের মানুষ বৈষম্যের কারণে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতা ও দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে সেখানে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা ঐ আন্দোলনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে চরম বৈষম্যের সৃষ্টি করেছেন।

বক্তারা বলেন, পাহাড়ের জনগনের উন্নয়নে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত ৮ কোটি টাকার বরাদ্দ নিজের স্বজন ও পলাতক আওয়ামীলীগের দোসরদের মাঝে বিলি বন্টন করেছেন। সম্প্রতি তাঁর দেওয়া এসব বরাদ্দ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীক এবং পক্ষপাতমূলক বলে অভিযোগ করা হয়। তিনি রাষ্ট্রের সম্পদ সমবন্টন না করে স্বজনপ্রীতি এবং চরম বৈষম্যের সৃষ্টি করেছেন যা সরকারের নীতির বহির্ভুত। এধরনের বৈষম্যমূলক আচরণ পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ মেনে নেবে না। পার্বত্য উপদেষ্টার এই পক্ষপাত এবং বৈষম্য আচরনে ক্ষুব্ধ হয়ে সচেতন ছাত্র জনতা মিছিল পূর্ব পৌরসভা প্রাঙ্গনে কূশপুত্তলিকা দাহ করে। বরাদ্দ প্রদানে সামানুপাতিক হারে এবং সমদৃষ্টি না রাখলে তাঁকে পার্বত্য চট্টগ্রামে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়।

এদিকে পার্বত্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া বরাদ্দ নতুন করে বৈষম্য দেখা দিয়েছে উল্লেখ করে রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দের অনেকেই বলছেন এ ধরনের ঘটনার কারনে বঞ্চিতদের মাঝে হতাশার চিত্র দেখা দেবে যা কোন ভাবেই সুন্দর দেখায় না। সুতরাং বৈষম্যের বিরুদ্ধে যে আন্দোল হয়েছে তাতে বর্তমান সরকারের কোন উপদেষ্ঠা কর্তৃক নতুন করে বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠলে তা দ্রুত শোধরানো দরকার। এছাড়াও এ ঘটনা নিয়ে কেউ কেউ পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করে সম্প্রীতি নষ্টের জন্য তালগোল পাকাবে সেটাও হতে দেয়া যাবে না।