॥ চিংথোয়াই অং মার্মা, থানচি ॥
লাইসেন্সবিহীন ও পরিবেশ ছাড়পত্র না থাকায় বান্দরবানের থানচিতে সাঙ্গু ব্রিক্সফিল্ড (এসবিএম) ইটভাটার বিরুদ্ধে চলতি বছরে প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত দফায় দফায় অভিযান পরিচালনা করা হলেও বন্ধ হচ্ছে না কার্যক্রম। দিনে রাতে সমানে চলছে ইটভাটার সবধরনে কার্যক্রম।
সুত্রে জানা গেছে, অবৈধভাবে চালু করা সাঙ্গু ব্রিক্সফিল্ড (এসবিএম) ইটভাটার বিরুদ্ধে প্রথম দফায় উপজেলা প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করে। ভ্রাম্যমান আদালত ইটপ্রস্তুত ও পরিবেশের ক্ষতি করে ভাটাস্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১০ ও ২০১৩ ধারা মোতাবেক এসবিএম কোম্পানির ইটভাটাকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন। এবং দ্বিতীয় দফা অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত ৩ লক্ষ টাকার জরিমানা ও ৫৫০ ঘনফুট কাঠ জব্দ এবং প্রায় ১০ লক্ষাধিক প্রস্তুত কাঁচা ইট, ১ লক্ষাধিক পোঁড়া ইট পানি দিয়ে নষ্ট করে দেয়ার হয়। তৃতীয় দফায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযানে গেলে ইটভাটার সব কার্যক্রম বন্ধ পায় প্রশাসন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, থানচির আলীকদম রোডের পূর্বে হেডম্যান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। দক্ষিণে বৌদ্ধ বিহার, পশ্চিমে উষামং হেডম্যান পাড়া ও উত্তরে ফায়ার সার্ভিসের মাঝামাঝি জায়গায় এসবিএম কোম্পানি নামের একটি ইটভাটার অবস্থান। সেখানে চলছে পাহাড়ে মাটি দিয়ে ইট তৈরী কাজ। জ্বালানি হিসেবে পোঁড়ানো হচ্ছে বনের কাঠ। এতে একদিকে যেমন পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে তেমনি কালো ধোঁয়ায় কার্বন-ড্রাই অক্সাইড ছড়িয়ে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।
স্থানীয়রা বলেছেন, এসবিএম কোম্পানির ইটভাটায় দেশের উচ্চ আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে লাইসেন্স বিহীন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া ফসলি জমি মাটি ব্যবহার ও জ্বালানি হিসেবে কয়লার পরিবর্তে কাঠ পুড়িয়ে বহু বছরে ধরে ইট তৈরী করে আসছিল। তাঁরা আরো বলেন, চলতি মাসের প্রশাসনে অভিযানে দিনের বন্ধ থাকলেও পরের দিনে আবারও ইটভাটায় কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সেখানে কাঠ পুড়িয়ে ইট তৈরি করা হচ্ছে। কাটা হচ্ছে পাহাড়ও। দফায় দফায় অভিযানে পরেও ইটভাটার কার্যক্রম চলছে প্রতিদিনের মতোই। সাঙ্গু ব্রিফিল্ড (এসবিএম) ইটভাটায় দায়িত্ব থাকার মোঃ জব্বর আলী বলেন, ইটভাটায় ইট বেশি নেই, যা দেখছেন এটুকুই আছে ইট। ইটভাটার সকল ধরনে কার্যক্রম চলছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ আবদুল্লাহ আল ফয়সাল বলেন, অবৈধ ইটভাটা বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে থানচি ইটভাটা মালিক আপিল করায় স্থানীয় প্রশাসন হস্তক্ষেপ করতে পারছে না। তাই হাইকোর্ট এই বিষয়ে সিদ্ধান্তদিলে পওে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।