রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদকে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে সংলাপের প্রস্তাব
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
রাঙ্গামাটিতে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার মানোন্ন্নয়নে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সাথে সংলাপের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকালে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কক্ষে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক)-টিআইবি, রাঙ্গামাটি কর্তৃক আয়োজিত অ্যাডভোকেসি সভায় সনাকের পক্ষ থেকে এ প্রস্তাব করা হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার বলেন, বর্তমানে জেলা পরিষদকে জনবান্ধব ও পরিষদের মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখার লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি পার্বত্য উপদেষ্টার শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বিভিন্ন উদ্যোগ এবং পরিষদের নানাবিধ জনমুখী পরিকল্পনা তুলে ধরেন। তৃণমূল পর্যায় থেকে কমিউনিটির চাহিদার তথ্য তুলে আনায় সনাকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এবং জেলা পরিষদকে জনমুখী ও বৈষম্যহীন সেবা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার লক্ষ্যে সনাক টিআইবি সহ সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
টিআইবি’র এরিয়া কো-অর্ডিনেটর বেনজিন চাকমা এর সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন সনাক সদস্য অমলেন্দু হাওলাদার। তিনি প্রকল্প সম্পর্কে সভাকে অবহিত করেন। তিনি বলেন, প্রকল্পের লক্ষ্য হচ্ছে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনের জন্য দুর্নীতি হ্রাস এবং সেবা প্রদান কার্যক্রমে শুদ্ধাচার বৃদ্ধি। প্রকল্পের বাস্তয়নের খাতসমূহ যেমন-স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ভূমি, নির্মাণ, পরিবেশ এবং সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ইত্যাদি খাতের সাথে কাজ করছে বলে সভাকে অবহিত করেন। সনাকের পক্ষ থেকে বক্তারা রাঙ্গামাটিতে স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার মান উন্নয়নে স্থানীয় অংশীজনদের সাথে সংলাপের উদ্যোগ গ্রহণ করা, মানিকছড়ি প্রিয়মোহন দেওয়ান পাড়া সরকারি বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার রাস্তাটির স্থায়ী মেরামত ও সিঁিড়তে রেলিং প্রদান, সাপছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বাথরুম ও বিদ্যালয় সংস্কার, বালুখালী কিল্লাপাহাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য একটি ইঞ্জিন চালিত বোট সরবরাহ করা, মগবান ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের জন্য বিশুদ্ধ ডিপ টিউবওয়েল, বসার জন্য চেয়ার, ফ্যান ব্যবস্থা করা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং চেয়ারম্যান সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ও সনাক সভাপতি প্রফেসর বাঞ্ছিতা চাকমা বলেন, সনাক দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন করে তোলার চেষ্টা করে। প্যাকটা প্রকল্প তেমনি একটি প্রকল্প যা দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনগণকে একতাবদ্ধ প্রতিরোধ করতে কাজ করবে। এ প্রকল্পের আওতায় আমরা অ্যাকটিভ সিটিজেন গ্রুপ (এসিজি) এর মাধ্যমে তৃনমূল পর্যায়ে কাজ করছি। প্যাকটা প্রকল্পের অধীনে কমিউনিটি মনিটরিং এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি এবং দুর্নীতি কমবে বলে আমরা আশা করি। সভায় জেলা পরিষদ সদস্য ও আহ্বায়ক স্বাস্থ্য বিভাগ এর দেব প্রসাদ দেওয়ান, সনাক সদস্য গৈরিকা চাকমা, অঞ্জুলিকা খীসা, সীমা দেওয়ান, সনাক ও জেলা পরিষদ সদস্য সাগরিকা রোয়াজা, প্রমুখ বক্তব্য প্রদান করেন। এছাড়া সভায় ডব্লিউজিআইই-আরএইচডিসি’র জেলা কর্মকর্তা সুখেশ^র চাকমা, সহকারি প্রকৌশলী উজ্জল কান্তি দেওয়ান ও ইয়েস সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।