[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

রাঙ্গামাটিতে লঞ্চঘাটে সিঁড়ি না থাকায় পন্টুনে পারাপারে যাত্রীদের ভোগান্তি

৩৪

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥

রাঙ্গামাটি জেলার ১০টি উপজেলার মধ্যে ৯টি উপজেলার একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম হচ্ছে- নৌ-পথ। দেশের অভ্যন্তরীণ নৌ-পথে যাত্রী সাধারণের নিরাপদ নির্বিঘ্ন চলাচল নিশ্চিত করণ, নৌ-পথ উন্নয়ন ও সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ। নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণাধীন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলায় ১৩টি লঞ্চ ঘাট ও ১৩টি পল্টুন রয়েছে। উক্ত লঞ্চ ঘাট ও পন্টুন ব্যবহারের মাধ্যমে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার ব্যবসায়িক প্রাণ কেন্দ্র রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা হতে ৯টি উপজেলায় প্রতিদিন নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল নৌপথে পরিবহন হয়ে থাকে।

জানা যায়, রাঙ্গামাটি সদর থেকে ৯টি উপজেলা যাত্রী সাধারণ লঞ্চে করে যাতায়াতসহ নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল ও খাদ্য সামগ্রী পরিবহন করে থাকেন। যাত্রী সাধারণ ও নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল বিভিন্ন লঞ্চে করে পরিবহনের ক্ষেত্রে উক্ত ঘাট হতে পন্টুনে উঠা নামার জন্য বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষ হতে প্রতি বছর সিঁড়ি তক্তা সরবরাহ করার বিধান থাকলেও বিগত ৩ বছর যাবৎ উক্ত লঞ্চ ঘাট সমুহে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সিঁড়ি তক্তা সরবরাহ করা হয়নি। যেকারনে এসব লঞ্চ ঘাটে যাত্রী সাধারনের চলাচলে বিঘ্নিত ঘটছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, পন্টুনে উঠা নামার জন্য সরবরাহকৃত বর্তমানে সিঁড়ি তক্তা জরাজীর্ণ ও জোড়াতালি দিয়ে পন্টুনে উঠা-নামা করছেন চলাচলকারী যাত্রী সাধারণ ও খাদ্য সামগ্রী মালামাল বহনকারী ব্যবসায়ীরা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাঙ্গামাটি হতে বিভিন্ন উপজেলায় চলাচলকারী লঞ্চে আসা-যাওয়া করছেন হাজারো মানুষ।

বরকল, লংগদু, রাঙ্গামাটি রিজার্ভ বাজার, তবলছড়ি, বিলাইছড়ি ও সুভলং ঘাট ঘুরে দেখা গেছে, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নিয়ন্ত্রণাধীন পন্টুনে অধিকাংশ সিঁড়ি তক্তা জরাজীর্ণ ও জোড়াতালীতে ব্যবহ্নত হচ্ছে। অধিকাংশ লঞ্চ ঘাটে সিঁড়ি তক্তা ভেঙ্গে গিয়ে ঝুঁকিতে পারাপার হচ্ছেন সাধারন শিশু-কিশোর, নারী-পুরুষ যাত্রী সাধারণেরা।

মাইনীর উদ্দেশ্য যাওয়া রহমত উল্লাহ, আজিম উদ্দিন নামে একাধিক যাত্রী অভিযোগ করে জানান, এখন বর্ষা মৌসুম। তাছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া রাঙ্গামাটি সহ কয়েকটি জেলায় বন্যা কবলিত হয়ে পুরো এলাকায় পানিবন্দিতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন কয়েক লক্ষ মানুষ। এই টানা ভারী বৃষ্টিতে বন্যার পানিতে বর্তমানে রাঙ্গামাটি কাপ্তাই হ্রদেও পানি থৈই থৈই করছে। হ্রদের পানি বৃদ্ধিতে অধিকাংশ ঘাট পানিতে ডুবে গেছে। তাই ঘাট থেকে পন্টুনে উঠতে সিঁড়ি তক্তা না থাকায় নৌকা ও ছোট বোটের মাধ্যমে উঠতে হচ্ছে। নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারনে সাধারন যাত্রীরা ঝুঁকিতে পন্টুনে ও লঞ্চসহ বোটে উঠতে হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, যাত্রী সাধারনের ঘাট হতে পন্টুনে নিরাপদে উঠা-নামার সুবিধার্থে প্রতি বছর প্রতিটি লঞ্চ ঘাটে পন্টুনের সাথে কমপক্ষে ৩টি করে সিঁড়ি তক্তা সরবরাহসহ স্থাপন করার বিধান থাকলেও বিগত ৩ বছর ধরে সীমিত আকারে সরবরাহ করা হলেও যা পর্যাপ্ত নয়। অথচ স্থাপন করেনি বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ।

রাঙ্গামাটি জেলার বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ এর নিয়ন্ত্রণাধীন ১০টি উপজেলার মধ্যে ৯টি উপজেলায় প্রতিটি লঞ্চ ঘাটে অনিয়ম ও দুর্ণীতির সম্পৃক্ততার কারনে পন্টুনে সিঁড়ি তক্তা স্থাপন করা হয় না। এব্যাপারে প্রতিটি লঞ্চ ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবি জানিয়েছেন।