[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
থানচিতে বিজিবি’র যৌথ অভিযানে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সহ আটক দুইদীঘিনালায় বোধি প্রজ্ঞাচারিয়া বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনবিএনপি ক্ষমতায় আসলে পাহাড়ের উন্নয়নে জোয়ার চলে আসবে: মংশৈলংগদুতে ছাত্র শিবির এর উদ্যোগে নবীন বরণ অনুষ্ঠানফেসবুকে মানহানিকর পোস্টে বাঘাইছড়ি থানায় সাধারণ ডায়েরিকাপ্তাইস্থ চিৎমরম ইউনিয়নে মানুষের জন্য সেনাবাহিনীর চিকিৎসা সেবা প্রদানরাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলায় সিগারেট সহ ভারতীয় পণ্য জব্দহালদার উজানে অভিযান চালিয়ে ৪শ মিটার চরঘেরা জাল জব্দঅহেতুক মামলা নয়, লিগ্যাল এইড অফিস এ সমাধানও হয়দ্যা স্টুডেন্ট সোসাইটি অব চট্টগ্রাম এর মানবিক উদ্যোগ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

বান্দরবানের থানচিতে ৯ দফা দাবিতে আদিবাসী ছাত্র সমাজের বিক্ষোভ

২২

॥ চিংথোয়াই অং মার্মা, থানচি ॥
খাগড়াছড়িতে রামগড়ে জুম্ম নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও রাঙ্গামাটিতে বনরুপাতে দ্বিতীয় শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টা এবং নাইক্ষ্যংছড়িতে জুম্ম নারীকে ধর্ষণের চেষ্টাসহ তিন পার্বত্য জেলার গ্রাফিটি মুছে ফেলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ কর্মসূচি করেছে থানচি আদিবাসী ছাত্র সমাজ। শুক্রবার (৩০ আগষ্ট) সকালে বাজারের রেড ক্রিসেন্ট সামনে এই মানববন্ধনের কর্মসূচি পালন করে আদিবাসী ছাত্র সমাজ।

এর আগে থানচি আদিবাসী ছাত্রসমাজ আয়োজনে স্টেশন মুক্তমঞ্চ সামনে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে রেড ক্রিসেন্ট গিয়ে শেষ হয়। এসময় ফেস্টুন ও ব্যানার নিয়ে মিছিলে যোগ দেন শতাধিক আদিবাসী ছাত্র সমাজ। পরে বাজারের প্রাণ কেন্দ্রে সমাবেশ কর্মসূচি শুরু হয়।

সমাবেশে মেসাইনু মারমা সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন এনি মারমা,অনন্ত ত্রিপুরা, অনামিকা ত্রিপুরা, রেংহাই ম্রো, মংমে মারমা, শৈমংসাই মারমা, থুইমংপ্রু মারমা, বকুলি, ম্যাসিংওয়াং মারমা,অংগ্য মারমাসহ আরো অনেকে।

সমাবেশ ছাত্র সমাজ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম একটি অঘোষিত কারাগার সেই কারাগার থেকে আদিবাসীরা মুক্তি পেতে চাই। তিন পার্বত্য জেলায় আদিবাসীদের উপর যে অমানবিক নির্যাতনসহ নানা অপকান্ড বন্ধ করতে হবে। তাছড়া পাহাড়ে দিন দিন আদিবাসী নারীদের ধর্ষণ করা হচ্ছে। আদিবাসীদের ভূমি বেদখলসহ পর্যটনের নামে পাহাড়িদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে। সকল সমস্তসহ পাহাড়ের আদিবাসীদের ভূমি দখল করা বন্ধ করতে হবে। তাই পার্বত্য অঞ্চলে অস্থায়ী ক্যাম্প প্রত্যাহার ও আদিবাসীদের উপর জুলুম নির্যাতন বন্ধ না হলে আন্দোলন চলমান থাকার হুশিয়ার দেন।

ছাত্র সমাজ বলেন, পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের শেখ হাসিনা আওয়ামিলীগ সরকারের শুভংকরের ফাঁকি দিয়ে আসছিল। যার ফলে স্বৈরাচারী সরকার দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে। তাই বর্তমান অন্তর্র্বতীকালীন সরকার পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে পাহাড়ি আদিবাসী জনগণ আশা ব্যক্ত করেন। ছাত্র সমাজ আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল জাতি গোষ্ঠীদের মধ্যে একতা ও ঐক্য সুসংহত করতে হবে। সেটি না পারলে আমরা আমাদের অস্তিত্বকে হারাবো। এই পাহাড় আর আমাদের থাকবে না। এই জীবন আমাদের থাকবে না। একটা সময় জীবন পর্যন্ত আমাদের হাতে ছিল না, সম্পত্তি তো অনেক দূর। এই জীবন নিজেদের করে পেতে হলে সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এর কোনো বিকল্প হতে পারে না। ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালনের মধ্যে দিয়ে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান ছাত্র সমাজে। সমাবেশ শেষে ৯টি দাবি নামা তুলে ধরেন থানচি আদিবাসী ছাত্র সমাজ।