রাঙ্গামাটিতে পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ কমিউনিটি পুলিশিং কমিটি গঠন
পর্যটকরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন এমন হলে পরবর্তীতে মুখ ফিরিয়ে নেবে
॥ মনু মারমা ॥
রাঙ্গামাটিকে পর্যটক বান্ধব নগর হিসেবে গড়ে তুলতে এবং শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে হোটেল মালিক সমিতি, রেস্তোঁরা মালিক সমিতি, অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন, নৌ-পরিবহন ও পর্যটন ব্যবসার সাথে জড়িত সকল প্রতিনিধির সাথে কমিউনিটি পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৫ মে) দুপুরে রাঙ্গামাটি চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ হল রুমে এ সভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় ট্যুরিস্ট পুলিশ রাঙ্গামাটি রিজিয়নের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউল ইসলাম প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, রাঙ্গামাটিতে পর্যটন ব্যবসার সাথে জড়িত অনেকগুলো স্টেকহোল্ডার আছে। একজন আনারস বিক্রেতা সেও পর্যটন ব্যবসার সাথে জড়িত। এই আনারস বিক্রি করতে যেয়ে দেখা গেল পর্যটকরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন এমন হলে পরবর্তীতে পর্যটকরা মুখ ফিরিয়ে নেবে আসতেও চাইবে না। তাই আমাদের প্রত্যেকটি স্টেক হোল্ডারের দায়িত্ব ও কর্তব্য আছে সে কর্তব্য অবশ্যই পালন করতে হবে। তিনি বলেন, প্রত্যেকটি স্টেক হোল্ডারের উচিৎ নিজস্ব ফেসবুক বা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থাকা। এতে করে কেউ বিপদে পড়লে বা হয়রানির শিকার হলে তৎক্ষণাৎ জানা যাবে এবং পরবর্তীতে আমরাও আইনি ব্যবস্থা নিতে পারবো। পর্যটন শহর রাঙ্গামাটিতে বেড়াতে আসা পর্যটকরা যাতে কোনো রকম হয়ারানির শিকার না হয় সে লক্ষেই এই আলোচনা সভার আয়োজন করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম মান্না, জেলা পরিষদ সদস্য সুবীর কুমার চাকমা, পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) মোঃ শাহিনুর রহমান, প্রেস ক্লাব সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল, রাঙ্গামাটি হলিডে কমপ্লেক্স’র ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা সহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারগন।
এ সময় পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ কমিউনিটি পুলিশিং কমিটি ইউনিট গঠন করা হয়। যেখানে রাঙ্গামাটি রিজিয়ন ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপারকে আহবায়ক এবং জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও রাঙ্গামাটি প্রেসক্লাব থেকে একজন করে ৬সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হয় এবং রাঙ্গামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্স ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমাকে সভাপতি করে ৪৫সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী পরিষদ ইউনিট গঠন করা হয়।