[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
বাঘাইছড়ির সাজেকে সেনাবাহিনীর চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ বিতরণরামগড় ৪৩বিজিবির ব্যবস্থাপনায় মাসিক নিরাপত্তা ও সমন্বয় সভাবান্দরবানের লামায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ৭ দিন পরদীঘিনালা ৭ বিজিবি’র গেইট এখন বীর প্রতীক আবুল হাসেম নামে নাম করণকাপ্তাইয়ে ২৪এর রঙে গ্রাফিতি ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতারাঙ্গামাটি বধির বিদ্যালয়ে ড্রেস ও চারা বিতরণ করলেন জেলা প্রশাসকখাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় রাম্বুটান ফল চাষে সম্ভাবনার নতুন দিগন্তখাগড়াছড়িতে এক শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেফতার ৪জাতীয় সমাবেশকে সফল করতে গুইমারা উপজেলা জামায়াতের মিছিলবান্দরবানের লামায় শহীদ জুলাই দিবস পালিত
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

নানিয়ারচরে চেঙ্গী নদীতে ফুল ভাসিয়ে "ফুল বিজু" উদযাপন

সকল হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে গিয়ে শান্তি-সম্প্রীতির বন্ধন অটুট থাকুক

১৩৯

॥ তুফান চাকমা, নানিয়ারচর ॥
পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসাবি তথা বিজু, সাংগ্রাই, বৈসুক, বিষু, বিহু। সকল ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এই উৎসবটি পালন করে থাকে। ৩ দিনব্যাপী এই উৎসবে রয়েছে ফুল বিজু, মূল বিজু এবং নতুন বছর। এই উৎসবকে প্রানবন্ত এবং তাদের ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে রাঙ্গামাটির নানিয়ারচরে চাকমা সম্প্রদায়ের প্রায়ই ৬’শতাধীক মানুষ নিজস্ব ঐতিহ্যবাহী পোষাক পরিধান করে উৎসব মুখর পরিবেশে চেঙ্গী নদীতে ফুল ভাসিয়ে “ফুল বিজু” উদযাপন করেছে।

শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকালে উপজেলাবাসীর যৌথ উদ্যোগে উপজেলা সদরের পুরান বাজার এলাকা সংলগ্ন চেঙ্গী নদীতে সকল সম্প্রদায়ের কল্যাণে নদীতে ফুল ভাসিয়েছে। এর আগে উপজেলার টিএনটি বাজার থেকে একটি বিজু র‌্যালি বের হয়ে পুরান বাজারে গিয়ে শেষ করে। পরবর্তীতে স্বল্প পরিসরে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও ২নং সদর ইউপি চেয়ারম্যান বাপ্পি চাকমার সভাপতিত্বে এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রগতি চাকমা। এতে আরও নানিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আমিমুল এহসান খান, উপজেলা পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা রিয়া চাকমা, উপজেলা ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) এর সমম্বয়ক এবং চাকমা, উপজেলা জেএসএস (এমএনলারমা) সাংগঠনিক সম্পাদক রুপম দেওয়ান উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথি বক্তব্যে বলেন, এদিনটি আমাদের সকলের জন্য মিলন মেলা। ফুল ভাসানোর মধ্যে দিয়ে পুরাতন বছরের সকল দুঃখ-কষ্ট দূর হোক। সকল হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে গিয়ে সকলের শান্তি-সম্প্রীতির বন্ধন অটুট থাকুক। প্রত্যেক জাতিসত্তার নিজস্ব কিছু সংস্কৃতি রয়েছে সেগুলোর অস্তিত্ব ঠিকে রাখতে হবে। নতুন প্রজন্মকে এসকল বিষয়ে জানতে হবে। এলাকাবাসীর এমন আয়োজনকে প্রশংসনীয় বলে ধন্যবাদ জানান।

বাপ্পি চাকমা বক্তব্যে বলেন, আজকের দিনটি আমাদের জন্য একটি উল্লেখ্যযোগ্য দিন। পুরাতন বছরের সমস্ত দূঃখ কষ্ট ফেলে দিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়ার জন্য আমরা প্রথম দিন (ফুল বিজু) পালন করে থাকি। পুরাতন বছরকে যেভাবে পার করেছি নতুন বছর আরো এর থেকে ভালো করে যেন পার করতে পারি এবং আমাদের সংস্কৃতি গুলো ধরে রেখে নতুন প্রজন্মকে মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য আজকের এই আয়োজন। নতুন বছর দেশের মানুষের জন্য সুখ-শান্তি মঙ্গল বয়ে আনুক এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

ফুল ভাসাতে আসা শতাব্দী চাকমা বলেন, প্রতিবছর এদিনটি আমাদের মাঝে একবার করে চলে আসে। এদিনটির জন্য আমরা সকলেই উৎসাহ নিয়ে অপেক্ষা করে থাকি। আজকেও তার ব্যতিক্রম নয়। ভোর বেলায় ঘুম থেকে উঠে বিভিন্ন ধরনের ফুল সংগ্রহ করেছি। পরে বন্ধু-বান্ধব মিলে আনন্দ-উৎসব করে নিজেদের সংস্কৃতির পোষাক (পিনন-হাধি) পরিধান করে ফুল ভাসিয়েছি।

উল্লেখ্য, প্রতিবছর এদিনে (এপ্রিল ১২তারিখ) পার্বত্য এলাকায় বিজু উদযাপন করা হয়। মূলত পুরাতন বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছর যেন সবার মঙ্গল বয়ে আনে তার জন্য নদীতে ফুল ভাসিয়ে মঙ্গল প্রার্থনা করেন। কেউ কেউ আবার উপগুপ্ত ভান্তের উদ্দেশ্যেও প্রার্থনা করে থাকেন।