[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় সমলয় চাষাবাদের বোরো ধান কর্তন কার্যক্রম উদ্বোধনরাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে ২৫০০ পরিবারের মাঝে বিজিবি ’র খাদ্যশস্য বিতরণলংগদুতে ট্রলি দূর্ঘটনায় এবার চালকেরও মৃত্যু হয়েছেখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় মৎস্য চাষীদের মাঝে মৎস্য খাদ্য বিতরণবান্দরবানের লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর বেহাল দশা, মাত্র ২ জন চিকিৎসকবাঘাইছড়িতে বায়তুশ শরফ মাদ্রাসায় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণগৌতম বুদ্ধ ২৫৬০ বছর আগে জগতে আবির্ভূত হয়েছিলেনহৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জসিম মারা গেছেনখাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়িতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ (মূল) দলের সদস্য আটকখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

বান্দরবান-রুমায় গণপরিবহন চললেও উপজেলার অভ্যন্তরীণ যান চলাচল বন্ধ

বান্দরবানের দুই উপজেলার মানুষ কেএনএফ এর ভয়ে দিন কাটাচ্ছেন

১১২

॥ বান্দরবান প্রতিনিধি ॥
বান্দরবানের কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট কেএনএফ সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র লুট, মসজিদে হামলা ও অপহণের ঘটনায় এখনো রুমা ও থানচি দুই উপজেলায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলে জানা গেছে। দুই উপজেলার মানুষ তাদের ভয় এখনো শুধু কেএনএফ। এছাড়াও উওজেলার অভ্যন্তরীণ সকল যান চলাচলও বন্ধ রয়েছে বলে স্থানীয় এবং থানা সুত্র জানিয়েছে।

জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে রুমা শতাধিক কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট কেএনএফ সন্ত্রাসীরা উপজেলার পরিষদ, মসজিদ ও ব্যাংকসহ পুরো এলাকার ঘেরাও করে সোনালী ব্যাংকে দুধর্ষ লুটপাট চালায়। ব্যাংকের ব্যবহৃত সরঞ্জাম ও সিসি ক্যামেরা ভাঙচুরের পাশাপাশি সাধারণ মানুষে কাছ থেকে মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরের দিন থানচিতে কৃষি ও সোনালী ব্যাংকে লুটপাট চালিয়ে ১৮ লক্ষ টাকা নিয়ে পালিয়ে সন্ত্রাসীরা।

এদিকে লুটপাটকে কেন্দ্র করে থানচি থানায় লক্ষ্যে করে গুলিও ছোড়ে কেএনএফ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা। এরপর কয়েক ঘন্টায় চলে গোলাগুলি। একই রাতে আলীকদমে পুলিশ ও সেনাবাহিনী যৌথ চৌকিতেও আক্রমন চালায়। তবে হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও স্থানীয়দের মাঝে বেড়েছে চরম আতঙ্ক। এখনো বন্ধ রয়েছে দোকান পাট ও যানবাহন। অনেকে ভয়ে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না বলে জানা গেছে।

দুই উপজেলার বাজার সমিতির সদস্যরা জানান, বাজার এলাকা জনগণের উপস্থিতি অনেকাংশে কম থাকায় অধিকাংশ দোকান পাট বন্ধ রয়েছে। এছাড়া সকাল থেকে রুমার অভ্যন্তরীণ সকল যান চলাচলও বন্ধ রয়েছে। রুমা বাজার ব্যবসায়ী, সাধারণ সম্পাদক ও বাস মালিক সমিতির লাইনম্যানের ও থানচি বাজার কমিটির সহ সভাপতি জয়নুল আবেদীন সিকদারের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া যায়।

থানচি বাজার কমিটি সহ সভাপতি জয়নুল আবেদীন সিকদার জানান, গোলাগুলি ঘটনার পর অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। আতঙ্কে অনেকে বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না। কোন সময় কি হয় এই নিয়ে জনমনে মধ্যে অন্ধাকার বিরাজ করছে। রুমা বাজারের ব্যবসায়ী আবু সিদ্দিক জানান, রুমায় ব্যাংকে হামলার ঘটনায় আতঙ্কে বাজার এলাকায় অধিকাংশ দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। গাড়ি মালিক সমিতির লাইনম্যান মোঃ জাকির জানান, সকাল থেকে বান্দরবান-রুমায় গণপরিবহন চলাচল করলেও উপজেলার অভ্যন্তরীণ সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।