[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

ধারনা করা হচ্ছে সব মিলিয়ে কয়েক কোটি টাকা হতে পারে

বান্দরবানের রুমা’র পর এবার থানচিতে অস্ত্রধারীরা সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি করেছে

১১৭

॥ থানচি প্রতিনিধি ॥
বান্দরবানের রুমা’র পর এবার থানচিতে ফাঁকা গুলি চালিয়ে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা স্থানীয় শাখা সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ধারনা করা হচ্ছে তারা অন্তত দুই কোটি টাকা লুট করতে পারে। রুমায় সোনালী ব্যাংক এ ডাকাতির পরদিন দিনে দুপুরে থানচিতে দুটি ব্যাংকে ডাকাতি করলো অস্ত্রধারীরা। বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।

স্থানীয় এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অস্ত্রধারী ডাকাতরা তিনটি গাড়িতে করে এসে ব্যাংকে প্রবেশ করে। এসময় কিছু ফাঁকা গুলির আওয়াজও পাওয়া যায়। পরে তারা ব্যাংক কর্মকর্তাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে একটি কক্ষে নিয়ে গিয়ে আটকিয়ে রাখে। ধারণা করা হচ্ছে বিপুল পরিমাণ টাকা লুট করে নিয়েছে ডাকাতরা। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত বা কত টাকা লুট হয়েছে এ বিষয়ে কিছু নিশ্চিত হওয়া যায়নি। দু’দিনের ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় কয়েক কোটি টাকা লুট হতে পারে বলে ধারনা।

স্থানীয়রা জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে থানচি সদরে শাহজাহান পাড়া দিক থেকে তিনটি চাঁদের গাড়িতে করে সন্ত্রাসীরা ফাঁকা গুলি করতে করতে বাজার এলাকায় প্রবেশ করেছে। প্রবেশের পর থানচি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন সোনালী ব্যাংক ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ভেতরে ঢুকে নগদ টাকা যা পেয়েছে তা নিয়ে চলে যায়। এরপর তারা আবার ওই তিন গাড়িতে করে শাহজাহান পাড়া দিকেই চলে যায়। পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি-চিন সদস্যরা এসব হামলা ও টাকা লুট করতে পারে বলে ধারনা করেছেন স্থানীয় এবং ব্যবসায়ী মহল। তারা জানান থানচি বাজারের ২০০ থেকে ৩০০ গজের ভেতরেই রয়েছে থানচি থানা, একটি বিজিবি ক্যাম্প এবং থানচি বাজারের শেষ মাথায় রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি চেকপোস্ট এর পরও তারা এমন সাহস দেখিয়েছে।

এদিকে ব্যাংকের টাকা তুলতে অপেক্ষা থাকা ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ডাকাতরা অস্ত্রসহ একাধিক ব্যক্তি ছিল, ডাকাতরা পাঁচ থেকে দশ মিনিটের মতো ব্যাংকের ভেতরে অবস্তান করেছিল। এই সময়ের মধ্যে তারা গুলি চালিয়ে ভীতি সৃষ্টি করে টাকা লুট করে নিয়ে চলে যায়। অন্যান্য গ্রাহকরা জানান, ব্যাংকের আশপাশের এলাকায় অস্ত্রের মুখে সবার কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এরপর তারা ব্যাংক দুটির ভেতরে ঢুকে পড়ে। ব্যাংকের ভেতরে ঢুকেই ডাকাতরা গ্রাহক, কাউন্টার ও ভল্টে হামলা চালায় এবং কাউন্টারে থাকা সব টাকা বস্তায় করে নিয়ে বের হয়ে যায়। ধারনা করা হচ্ছে দুই কোটি টাকা হতে পারে। এ বিষয়ে ব্যাংক এর সংশ্লিষ্ট কর্মকতারা হিসাব বিহীন কিছু জানাতে পারেননি। এর আগের দিনও রুমায় ব্যাংকে ডাকাতি করা হয়েছে।

থানচি বাজারে ঘটনার সময় উপস্থিত বেশ কয়েকজন জানান, ডাকাতদের মধ্যে ১৫-২০ জন অস্ত্র নিয়ে বাজারের পাশে সাঙ্গু সেতুতে পাহারা দিচ্ছিল। একই সময়ে সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে অন্তত ২০ জন করে ঢুকে পড়ে। তারা লুট করে আবার প্রায় একই সময়ে বের হয়ে যায়। তারা আরও জানান, ঘটনার সময় ব্যাংকের সামনে বেশ কয়েকজন পুলিশ ও আনসার সদস্য ছিলেন। সশস্ত্র ডাকাতরা হাঁকডাক দিয়ে বাজারে ঢুকে পড়লে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা পালিয়ে যান। এ নিয়ে দুদিনের মধ্যে ৩টি ব্যাংকে অস্ত্রধারীরা লুট করেছে বহু টাকা।

থানচি নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তিনি জানান, দুটি ব্যাংকের শাখায় ডাকাতি হয়েছে। সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণের টাকা নিয়ে গেছে ডাকাতরা। তিনি আরও বলেন, ডাকাতরা ব্যাংকের ভল্ট খুলতে পারেনি। তারা কাউন্টারে রাখা ও গ্রাহকদের জন্য রাখা টাকা নিয়ে গেছে। ভীতি সৃষ্টি করতে ডাকাতরা ব্যাংকের ভেতরে ব্যাপক গোলাগুলিও করেছে।