ব্যবসায়ীরা কি মমত্ববোধও ভুলে গেছেন
স্বাধীতার উপর নগ্ন হামলা করায় অনেক বিপ্লবীর জন্ম হয়েছিল
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক॥
৭১’র ২৫ মার্চের কালো রাত্রিতে মানুষের স্বাধীনতার উপর হত্যা, নিপীড়ণ-নির্যাতন আর নগ্ন হমলা করা হয়েছিল তার জবাবে বাংলাদেশে অনেক বিপ্লবীর জন্ম হয়েছিল। সেদিন ৯ হাজার মেট্রিক টন গোলাবারুদ মজুদ করে রাতের আঁধারে দেশের নিরীহ মানুষের উপর হানাদার বাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। তাই স্বাধীনতার মূল্যবোধ আমাদের বুঝতে হবে। দেশে ব্যবসায়ীরা যেভাবে মানুষের স্বাধীনতাকে বিপদগ্রস্ত করছে তাতে প্রশ্ন থেকে যায় ব্যবসায়ীরা কি মমত্ববোধও ভুলে গেছেন? সোমবার (২৫মার্চ) সকালে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গণহত্যা দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসনে সম্মেলন কক্ষে সকাল ১০ ঘটিকায় আয়োজিত গণহত্যা দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, বিপিএম বার, ট্যুরিস্ট পুলিশ সুপার, মহিউল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জাহেদুল ইসলাম, পিপিএম সেবা, মুক্তিযোদ্ধা ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য রুহুল আমিন, সাংবাদিক সুনীল কান্তি দে, প্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষক নুরুল আবছার, কৃষি অধিদপ্তর এর উপ-পরিচালক মোঃ মনিরুজ্জামান বক্তব্য রাখেন। এছাড়ও আলোচনা সভায় মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক বক্তারা বলেন, পাকিস্তানী বাহিনীর ষড়যন্ত্র বুঝতে পেরে বঙ্গবন্ধু সেদিন স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। স্বাধীতার উপর নগ্ন হামলা করায় অনেক বিপ্লবীর জন্ম হয়েছিল তাই হানাদার বাহিনীকে পরাস্ত করে এদেশের মানুষ স্বাধীনতা অর্জন করেন। ৭৫ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর মেজর জিয়া ক্ষমতায় আসে। জিয়া সব ইতিহাসকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করেছিল। পরাজিত শত্রুরা এখনো ষড়যন্ত্র করেই যাচ্ছে। বক্তারা আরো বলেন, এদেশের মানুষকে রাতের আঁধারে নিঃশেষ করে দিতে ৮ হাজার মেট্রিক টন গোলাবরুদ মজুদ করে হামলা চালায়। পাকিস্তানি বাহিনী বাংলাদেশের নিরীহ নিরস্ত্র জনগনের উপর বর্বর হামলা ও ঐ গনহত্যায় বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চাই। বক্তারা বলেন, সময় গড়াচ্ছে সেই ভয়ানক স্মৃতি, স্বাধীনতার ইতিহাসকে প্রজম্মের কাছে তুলে ধরতে হবে।
পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, বিপিএম বার, তাঁর বক্তব্যে বলেন, আন্তর্জাতিক আইন থাকা সত্তেও পাকিস্তানি বাহিনী সেদিন আমাদের নিরীহ বাবা, মা, ভাই বোনদের উপর রাতের আঁধারে হামলা চালিয়েছিল, হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোশারফ হোসেন খান বলেন, পাকিস্তানি সেনা বাহিনীর পদস্ত কর্মকর্তা ফরমান হোসেন রাজা, রাও ফরমান আলী ও হামিদুর রহমানের নেতৃত্বে ২৫ মার্চের রাতে বর্বর হামলা চালায়। এ জঘন্য বর্বর হামলা ও হত্যাকান্ডের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর ডাকে আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের সূচনা হয়। এতে কষ্টে অর্জিত স্বাধীনতাকে কতটুকুই বা সঠিক পালন সম্মান করতে পারছি। দেখুন এত মনিটরিং, ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা তারপরও আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা যেভাবে মানুষের স্বাধীনতাকে বিপদগ্রস্ত করছে তাতে প্রশ্ন থেকে যায় ব্যবসায়ীরা কি মমত্ববোধও ভুলেগেছে? আজকে আমাদের দেশ উন্নয়নে অনেক এগিয়েছে এসবকে ধরে রাখতে হবে। যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে এ স্বাধীনতা সেই সকল শহীদদের প্রতি তিনিও বিনম্র শ্রদ্ধা জানান।