[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক সদস্য আলীম বহিষ্কারখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় নানান আয়োজনে নববর্ষ উদযাপনবাঘাইছড়িতে উপজেলা প্রশাসনের নববর্ষ উদযাপনরাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বিএনপির শোভাযাত্রামাটিরাঙ্গায় বর্ণিল আয়োজনে উপজেলা প্রশাসনের বর্ষবরণ শোভাযাত্রাখাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় বর্ণিল আয়োজনে বাংলা নববর্ষ বরণ করেছে বিএনপিবান্দরবানের থানচিতে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হচ্ছে সাংগ্রাই উৎসবখাগড়াছড়ির রামগড়ে গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতারইসরাইল কর্তৃক ফিলিস্থিনে গণহত্যার প্রতিবাদে রাঙ্গামাটিতে ওয়ার্ল্ড পীস্’র মানববন্ধনঢাকা রমনা লেকে ফুল ভাসিয়ে ফুলবিঝু উৎসব পালন করলেন পার্বত্য উপদেষ্টা
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

বাঁচতে চায় দুই পা হারানো সোহেল: সরকারের নিকট সাহায্য কামনা

৭২

॥ মোঃ ইসমাইল, পানছড়ি ॥

সোহেল বাঁচতে চায়, বাঁচাতে চায় নিজের পরিবারকে। কিন্তু সাধ্য যে তাঁর ভরাডুবি। দুই-পা ছাড়া বাঁচাবেই বা কেমন করে!

আড়াই বছর আগের ঘটনা, গাছের আড়তে কাজ সেরে গাছ বোঝাইকৃত জীপে করে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দূর্ঘটনার কবলে পড়ে সোহেল চাকমা। ঠিক তখনি গাছে চাঁপা পড়ে সোহেলের দুটো পা। আত্মচিৎকারে পৌঁছায় চিকিৎসা কেন্দ্রে। হয়নি চিকিৎসা জেলা সদরেও। যেতে হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

সেখানে প্রায় চারটি মাস চিকিৎসার পর ডাক্তার তাঁর দুটো পা কেটে ফেলে। অবশ্য চিকিৎসার পুরো ভার বহন করে তাঁর কোম্পানি। সোহেলের আর্থিক অবস্থাও বেশ নড়বড়ে। ছোট দুটো সন্তান আর স্বামী-স্ত্রী’র ছোট্ট একটি পরিবার তাঁর। পরিবারের অভাবের ভার পূরণ করে স্বচ্ছতায় ফিরতে ভাড়া বাসায় থেকে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই পারিশ্রমিকের বিনিময়ে অন্যের কাজ করতো। সোহেল চাকমার এমন করুণ দশাতে ছেড়ে চলে যায় স্ত্রী। তাঁর দুটো সন্তান নিয়েই পাঁড়ি জমায় বাবার বাড়ি দীঘিনালায়। আর তো ফিরে এলো না তাঁরা। তবে সোহেলের এমন পরিস্থিতিতে ছেড়ে যায়নি বাবা-মা। নিজ সন্তানকে নিজেদের কাছে নিয়ে এসে সেবা যত্ন শুরু করেন। সেই থেকে এ পর্যন্তও সঙ্গে আছেন বাবা-মা।

বাবা-মায়ের পরিবারও অভাবের সংসার। তাঁরা এখন বৃদ্ধ হয়ে গেছেন। তাই আগের মতো আর কর্ম করার শক্তিও নেই। এদিকে আবার সোহেলের ছোট দুটো ভাইও প্রতিবন্ধী। আর এই তিন প্রতিবন্ধী সন্তানকে নিয়ে সরকারের দেয়া একটি ছোট্ট ঘরে বহু কষ্টে জীবন ধারন করে কোনো রকমে বেঁচে আছেন বাবা-মা।

খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার সীমান্ত ঘেঁষা চেঙ্গী ইউপির ২নং ওয়ার্ডের রত্নসেন পাড়ায় সোহেল চাকমার (২৮) বসবাস। তার পিতার নামঃ অনল চাকমা, মাতার নামঃ শিক্ষাপুদি চাকমা।

সোহেল চাকমা জানান, আমার এমন পরিস্থিতি দেখে আমার স্ত্রী, সন্তানদের নিয়ে শশুড় বাড়ি চলে গেছে। আমার যদি একটা নিজস্ব ঘর থাকতো আর সংসার চালানোর মতো কিছু থাকতো তবে আমার পরিবারকে আবারো ফিরে পেতাম।

সোহেলের বাবা অনল চাকমা জানান, কোনো রকমে দিন পার করছি, আমার তো অভাবের সংসার। সরকার যদি অন্তত একটা সরকারি ঘর দিতো তাহলে সে তাঁর ঘরে সুন্দরমতো বেঁচে থাকতে পারতো। এদিকে তাঁর কোনো প্রতিবন্ধী ভাতাও নেই। আবেদন করা হয়েছে। কোটা খালি হলে পেতে পারে।

ঐ এলাকার সাবেক মেম্বার সূপন চাকমা জানান, তাদের পরিবার অসহায় একটা পরিবার। তাদের ভাঙা ঘর দেখে একটি সরকারি ঘর দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন তাদের পরিবারের অবস্থা আরো খারাপ। তাঁরা কেউই কর্ম করতে পারেনা। কারন তাঁরা প্রতিবন্ধী আর পিতাও বৃদ্ধ। ছোট ঘরে এতোজন থাকা যায়না। তাই সরকার যদি সোহেল চাকমাকে একটি ঘরের ব্যবস্থা করে দেয় আমরা এলাকাবাসী কৃতজ্ঞ থাকবো।