[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

খাগড়াছড়িতে ভার্চুয়ালি জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

এক সময় যাতায়াত কঠিন ছিলো সেই পার্বত্য চট্টগ্রামে এখন ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে

১৩৯

॥ দহেন বিকাশ ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি ॥
যে পার্বত্য চট্টগ্রামে এক সময় যাতায়াত কঠিন ছিলো সেই পার্বত্য চট্টগ্রামে এখন ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। শুধু সড়ক উন্নয়ন করে দিইনি, সেখানে বর্ডার এলাকায়ও আমরা রাস্তাঘাট উন্নয়ন করে দিচ্ছি। বৃহস্পতিবার (২১ডিসেম্বর) পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলায়, পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, নাটোর ও পাবনা জেলায় নির্বাচন উপলক্ষে ভার্চুয়ারী জনসভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো সংঘাত হলে, সংঘাতকারী যেই দলেরই হোক তার রেহাই নেই বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দেশে ভোটের অধিকার আওয়ামী লীগই প্রতিষ্ঠিত করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ভোটের অধিকার অব্যাহত থাকবে। আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে, কেউ যাতে সংঘাত-সন্ত্রাস করতে না পারে। সেই দিকে সবাই সজাগ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। শেখ হাসিনা বলেন, ওরা তো ভোট চুরির সুযোগ না থাকায় আসেনি। বিএনপি আসেনি একটাই কারণে, ভোট চুরির সুযোগ নেই তাই। ২০০৮ সালে পারে নাই, তাই এখন ভোট বাতিল করতে চায়, বর্জন করতে চায়। সেটা তাদের ইচ্ছা, যার যার দলের ইচ্ছা। আমরা নির্বাচনে বিশ্বাস করি, জনগণের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করি। জনগণের ক্ষমতায়ন আমরাই নিশ্চিত করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, ৭ জানুয়ারি নির্বাচন। জনগণ ভোট দেবে, ভোটের মালিক জনগণ। এটা তাদের সাংবিধানিক অধিকার, আমরা এটা উন্মুক্ত করেছি। আমাদের নৌকার প্রার্থী আছে, স্বতন্ত্র প্রার্থীও আছে, অন্যান্য দলও আছে। প্রত্যেকে জনগণের কাছে যাবেন, জনগণ যাকে ভোট দেবে সেই নির্বাচিত হবে।
প্রার্থীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, কেউ কারও অধিকারে হস্তক্ষেপ করবেন না। এখানে কোনো রকম সংঘাত-সহিংসতা আমি দেখতে চাই না। কোনো সংঘাত হলে, দলের কেউ যদি করে তাদেরও রেহাই নেই! যথাযথ ব্যবস্থা নেব, সেটা মনে রাখবেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমরা চাই জনগণ তার ভোটের অধিকার নির্বিঘ্নে প্রয়োগ করবে। তারা যাকে খুশি তাকে পছন্দ করবে, তাকে ভোট দেবে, সেই জয়ী হয়ে আসবে। শেখ হাসিনা বলেন, গণতন্ত্রকে আরও সুদৃঢ় আমাদের করতে হবে। এর যদি ব্যত্যয় ঘটে, ভবিষ্যতে কী হবে? বাংলাদেশ শেষ হয়ে যাবে। বাংলাদেশে অনেক উন্নতি করেছি, তা থাকবে না।

দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখার জন্য আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকা মার্কায় ভোট চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা বলেন, নৌকা নূহ নবীর নৌকা, বিপদে মানুষের একমাত্র বাহন হচ্ছে নৌকা। এখনো রাস্তাঘাট যতই করি, বন্যা হলে উদ্ধার করতে নৌকাই ভরসা, সেটাই মাথায় রাখতে হবে।
দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে যাতে কেউ কোনো অভিযোগ আনতে না পারে, শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন করবেন। নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ থাকতে হবে। ভোটারের অংশগ্রহণ থাকতে হবে। কোন দল আসল, না আসল তাতে কিচ্ছু যায় আসে না।

দলের সভাপতি বলেন, আপনারা সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করবেন। নিজের দলের মধ্যে ঐক্য রাখবেন। যত প্রার্থী আছে সকলেই জনসংযোগ করুক, স্বাধীনভাবে। জনগণকে সুযোগ দেবেন তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে ভোট দেবে। তাতে গণতন্ত্র আরও বেশি শক্তিশালী হবে। যারা নির্বাচনে এসেছে সকলকে ধন্যবাদ জানাই।

এদিকে খাগড়াছড়ি থেকে সংযুক্ত হয়ে নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর নিকট একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় দাবি করেন। এর সাথে পর্যটন নগরী খাগড়াছড়িতে আধুনিক ও উন্নতমানের বাস টার্মিনাল স্থাপনের সরকারি সহায়তা কামনা করা হয়।