[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
খাগড়াছড়ির চেঙ্গী নদীতে সেতুর অভাবে চরম দুর্ভোগে ১২ গ্রামের মানুষভালনারেবল উইমেন বেনিফিট এর অপেক্ষমান থেকে উপকারভোগী নির্বাচন করা হবেরাঙ্গামাটির আইনকন ঝুলন্ত সেতু ১৫ দিন ধরে ডুবে থাকায় হতাশ পর্যটকরারাঙ্গামাটিতে যুব কাফেলার উদ্যোগে রিজার্ভ বাজারে সড়ক সংস্কারখাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়িতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস পালিতরামগড়ে কেমিষ্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট কল্যাণ সমিতি’র সভাপতি জসিম, সম্পাদক দেলোয়ারযুবদের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হবে: কাজল তালুকদারজীবিকা ও উন্নয়নের সংগ্রামে আত্মনির্ভরতার ছবি পাহাড়ের অনেক নারীখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস উদযাপনমাটিরাঙ্গায় নানা কর্মসূচিতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস উদযাপন
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

খাগড়াছড়িতে পল্লী চিকিৎসকদের সাথে ব্র্যাকের যক্ষা নিরোধে মতবিনিময় সভা

৪১

॥ খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি ॥

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলাতে যক্ষা মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে পল্লী চিকিৎসকদের সাথে ব্র্যাকের জাতীয় যক্ষা নিরোধে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার(৪নভেম্বর) সকালে ব্র্যাকের উদ্যোগে ব্র্যাক খাগড়াছড়ির জেলা অফিস মিলনায়তনে “যক্ষ্মা রোগ নিয়ন্ত্রণে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। পল্লী চিকিৎসকদের সাথে মতবিনিময় সভায় ব্র্যাকের উপজেলা ম্যানেজার মোঃ সাঈদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, খাগড়াছড়ি স্বাস্থ্য বিভাগের সিভিল সার্জন ডা: নুপুর কান্তি দাশ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ডা: সঞ্জীব ত্রিপুরা।

এসময় মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, ব্র্যাকের খাগড়াছড়ি জেলা ম্যনেজার মোঃ সাইয়েদ নুর, খাগড়াছড়ি গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সোসাইটির সভাপতি ডা: অনিল কান্তি দেবসহ জেলা সদর হতে আগত পল্লী চিকিৎসকগণ।
প্রধান আলোচক খাগড়াছড়ি স্বাস্থ্য বিভাগের সিভিল সার্জন বলেন, যক্ষ্মা ছোঁয়াচে হলেও সচেতনতার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে আনতে পল্লী চিকিৎসকদের বিরাট ভূমিকা রাখতে হবে। দুই সপ্তাহের অধিক কাশি ও জ্বর হলে তাকে যক্ষা রোগী সন্দেহ করে কফ পরীক্ষার জন্য ব্র্যাক ও আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে পাঠাতে পরামর্শ দেন তিনি।

আলোচনায় যক্ষারোগ বিষয়ে ডা: সন্জীব ত্রিপুরা তার বক্তব্যে বলেন,’যক্ষা হলে রক্ষা নাই, এ কথার ভিত্তি নাই।’ চিকিৎসায় যক্ষা রোগ সম্পূর্ণ নিরাময় হয়। যক্ষা সাধারণত বৃদ্ধ, স্যাঁতস্যাঁতে, ঘনবসতিপূর্ণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝেই যক্ষা বা টিবি রোগের প্রকোপ বেশি দেখা যায়। যক্ষা বা টিবির জীবাণুর সংক্রামণ বৈশিষ্ট্যের কারণেই এমনটি হয়। এ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে স্বাস্থ্য সচেতনতার মাত্রা কম থাকায় এ রোগের বিভিন্ন লক্ষণ বা উপসর্গ ধাপকে আক্রান্ত জনগোষ্ঠীর সিংহভাগেরই তেমন ভালো কোনো ধারণা নেই। মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবার কিউলোসিস নামের এক ধরনের জীবাণু থেকে এ রোগ ছড়ায়। আক্রান্ত রোগীর কফ থেকে এ রোগের জীবাণু একজনের দেহ থেকে অন্যজনের শরীরে প্রবেশ করে। যেসব রোগী ২সপ্তাহের বেশি জ্বরে ভোগে তাদের ৩৩ শতাংশ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এদের কফ থেকে সব সময় জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে। তাই এদের সাথে চলাফেরা করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। রোগীর হাঁচি কাশির সাথে সাধারণত রোগ জীবাণু বাইরে আসে। যক্ষা দুই ধরনের, ফুসফুসের যক্ষা ও ফুসফুস বহির্ভূত যক্ষা। বুকের এক্স-রে রক্তের ইএসআর, কফ পরীক্ষা এবং টিউবার কিউলিন বা মনটেংটেস্ট করে যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত করা হয়। সর্বোপরি যক্ষা রোগ সনাক্ত ও প্রতিরোধে গ্রাম ডাক্তারদের ভূমিকা অনস্বীকার্য।