[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

লামার ‘ছৌলুমঝিরি কয়লা খনির’ ভবিষ্যৎ কি ?

৬১

॥মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ॥

বান্দরবানের লামা উপজেলার কয়লা খনি জাতীয় অর্থনীতিতে বিশাল ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন স্থানীয় জনসাধারণ ও সংশ্লিষ্টরা। উপজেলার রূপসীপাড়া ইউনিয়নের ছৌলুমঝিরিতে প্রায় ১ হাজার একর পাহাড়ি জায়গার ওপর রয়েছে এ কয়লা খনিটি। পূর্বে অনুন্নত যোগাযোগ হলে বর্তমানে মাত্র দুই থেকে তিন কিলোমিটার রাস্তার কারণে এখনও আলোর মুখ দেখেনি এই কয়লা খনিটি।
৩৯ বছর আগে সন্ধান পাওয়া এ খনি থেকে কয়লা আহরণের উদ্যোগ নিলে জাতীয় অর্থনীতিতে যেমন রাখবে বিশাল ভূমিকা, তেমনি উপজেলার শত শত বেকার মানুষের হবে কর্মসংস্থান। তাই এ খনি থেকে কয়লা আহরণের জন্য বাপেক্স ও বিদ্যুৎ জ¦ালানী ও খনিজ মন্ত্রণালয়ের বাস্তবমুখী উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন উপজেলাবাসী।

প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর লামা উপজেলায় কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান নেই। তাই এ অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ বনজ সম্পদ নির্ভর শ্রমজীবী। তাদের জীবন-জীবিকা পাহাড়ের বাঁশ, কাঠ, জ্বালানি কাঠ আহরণ ও জুম চাষের ওপর নির্ভরশীল। ১৯৮১-৮২ সালের দিকে স্থানীয় কাঠুরিয়া কাঠ, বাঁশ ও লাকড়ি আহরণে গেলে ছৌলুমঝিরিতে কয়লার খনিটি দেখতে পান।

পাহাড়ি এলাকায় নদী, ছড়া, ঝিরি ও খাল হচ্ছে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। আর নদীপথ দিয়ে গেলেই ছৌলুমঝিরিতে দেখা যায় দু’পাড়ে ভাঁজে ভাঁজে ভাসমান কয়লা। প্রায় দুই মাইল এলাকাজুড়ে এ কয়লার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। স্থানীয় অনেকেই এ কয়লা সংগ্রহ করে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করছে।

ইউপি মেম্বার আব্দুল মান্নান বলেন, কয়লার খনির পাশে তার জায়গা রয়েছে। ১৯৮৬ সালে এরশাদ সরকারের শাসন আমলে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা এ কয়লা খনিটি পরিদর্শন করতে আসেন। পরিদর্শনকালে কর্মকর্তারা এ খনির ভাসমান কয়লার মান অত্যন্ত ভালো ও জাতীয় মানের বলে উল্লেখ করেন।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে উপজেলা সদর থেকে রূপসীপাড়ার মংপ্রু পাড়া পর্যন্ত কার্পেটিং রোড হয়েছে। মংপ্রুপাড়া থেকে খনির দূরত্ব মাত্র ২ কিলোমিটার। এ খনি থেকে সরকারি উদ্যোগে কয়লা আহরণ করলে একদিকে বিশাল অঙ্কের অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা হবে এবং পিছিয়ে পড়া পাহাড়ি এলাকার শত শত বেকারের কর্মসংস্থান হবে।

ছৌলুমঝিরির কয়লা খনি এলাকার আশপাশের বাসিন্দা মোঃ জাহেদুল মাষ্টার জানান, ২০১৩ সালের জুলাই মাসে তেল ও গ্যান অনুসন্ধান সংস্থা বাপেক্স কর্মকর্তারা খনিটি পরিদর্শন করেন। বাপেক্স কর্মকর্তারা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে জানাবেন বলে এলাকাবাসীকে আশ্বস্ত করে যান। কিন্তু আজও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। কয়লা খনির জায়গা সরকারি উদ্যোগে অধিগ্রহণ করে কয়লা আহরণের কাজ শুরু করতে অনুরোধ জানান তিনি।

ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য লংনা মুরুং বলেন, কয়লা খনিটি এখনও সুরক্ষিত আছে। তাছাড়া জায়গাটি খাস। মৌজা হেডম্যান ও কারবারীদের নিয়ে তারা খনিটি রক্ষণাবেক্ষণ করে যাচ্ছেন। এ খনি থেকে সরকারি উদ্যোগে কয়লা উত্তোলন করা হলে জাতীয় অর্থনীতিতে তা বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রেজা রশিদ বলেন, বিষয়টি তিনি জানতেন না। তিনি খনির বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিভাগের নজরে আনার চেষ্টা করবেন। পার্শ্ববর্তী মহেশখালী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য অন্যতম উৎস হতে পারে এই কয়লা খনিটি।