দূর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, স্বজনপ্রীতির কারনে যেন টেকসই উন্নয়নে প্রশ্নবিব্ধ না হয়
পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলার উপজেলা সহ প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে উন্নয়ন কর্মকান্ডে যেন প্রতিযোগীতা চলছে। সরকার জনগনের কল্যাণে এসব উন্নয়ন কাজের অর্থ বরাদ্দ এবং ব্যপক প্রকল্প গ্রহনে অনীহা দেখাচ্ছে না। চুক্তির পর পার্বত্য চট্টগ্রামকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে রাস্তাঘাট, ব্রীজ কালভার্ট বা সেতু এবং এসবর সংস্কা সহ উন্নয়নের নানান উদ্যোগ। পার্বত্যবাসীর সবচেয়ে বড় পাওয়া হলো প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেল কলেজ। এখানকার মানুষ ভাবতেও পারেনি এখানে এসব হবে। কিন্তু বর্তমান সরকার জনগনকে দেয়া কথা রেখে উন্নয়ন কাজগুলো চালিয়ে যাচ্ছেন। তাই পার্বত্যবাসী এখন আরও আশাবাদী যে তাদের উন্নয়নে আরো অনেক কিছু পেতে পারেন। কিন্ত উন্নয়ন কার্যক্রম যারা পরিচালনা করছেন সেসব প্রতিষ্ঠান নানান কার্যক্রম সহ দরপত্র আহ্বানের পরে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কিংবা উন্নয়ন কাজ সম্পাদনকারী প্রতিষ্ঠানের নিকট কাজ সম্পাদনের আদেশ দিয়েই কাজ শেষ হয়েছে এমন ভাবাপন্নকে পরে প্রশ্নবিদ্ধ করছে এবং হয়ে পড়ছে। কারন হিসেবে দেখা যায় উন্নয়ন কাজ সম্পাদনকারী ঠিকাদার বা প্রতিষ্ঠান তাদের কাজের যা-ইচ্ছে তাই করাতে।
চলমান উন্নয়ন কাজ নিয়ে অনেক অনেক অভিযোগ গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং লোকমুখে শোনা যায়। এভাবে পরে গণমাধ্যমেও প্রকাশিত হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ অনেকটা নীরব দর্শকের ভূমিকায় থাকার কারনে বার বার অনিয়ম করেও পার পাচ্ছেন ঠিকাদার বা কাজ সম্পাদনকারী প্রতিষ্ঠান। স্থানীয় জনসাধারণ এসবের বিষয়ে উন্নয়ন কাজ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশল বিভাগকে দুর্নীতিমুক্ত এবং কাজের সৎ থাকতে হবে। না হয় সরকারের টেকসই উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের উন্নয়ন কাজগুলো মগড়াভাবে। বর্তমানে পার্বত্য এসব জেলাগুলোতে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ সাধিত হলেও দূর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, স্বজনপ্রীতির কারনে টেকসই উন্নয়নে প্রশ্নবিব্ধ হচ্ছে। সেই সাথে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রশ্রয়ে থাকার কারনে আরো অনেক উন্নয়ন কাজ করা হচ্ছে ইচ্ছেমতোই। তাই সকলের এবং উন্নয়নের কল্যাণে চলমান উন্নয়ন কাজগুলোর প্রতি বিশিষ নজর দিতে হবে।