[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় ইয়ুথ গ্রুপের অভিজ্ঞতা বিনিময় সভারাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে শিক্ষক সিরাজুল ইসলামের নামে অপপ্রচারে সচেতন মহলের ক্ষোভকর্ণফুলী সরকারি ডিগ্রী কলেজে ছাত্রদলের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ছাত্রদলের বৃক্ষরোপন কর্মসূচী পালনঅবশেষে বাঘাইছড়ির বাঘাইহাট বাজার স্বাভাবিক হচ্ছে, ২২ জুন বসছে হাটমাটিরাঙ্গায় বিজিবি জব্দ করলো প্রায় ১৬লক্ষ টাকার ভারতীয় শাড়িরামগড়ে ঈদের ছুটিতেও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সেবা অব্যাহতকাপ্তাই-এ ইয়াবা ট্যাবলেট সহ নৌকার মাঝি গ্রেপ্তাররামগড়ে দরিদ্রদের মাঝে একতা সমাজ সেবা সংগঠনের খাদ্য সামগ্রী বিতরণবান্দরবানের কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের ২৫ শিক্ষার্থীর সাফল্য
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

পরিবেশের ক্ষতির কাজে জড়িতদের বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে আরো কঠোর হতেই হবে

১৫৭

প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং মানব সমাজের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পাহাড় পর্বতগুলো যেমন নিজের মতো করে দন্ডায়মান তেমনি বনবনানীগুলোরও একই অবস্থান। কিন্তু পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ন প্রাকৃতিক এবং মানবসৃষ্ট এসব সম্পদগুলো রক্ষায় প্রশাসনসহ দেশের পরিবেশবিদরা যদি এগিয়ে না আসে প্রশাসনের আইনগুলো যদি কঠোরভাবে প্রয়োগ করা না হয় তাহলে প্রকৃতি যখন তাঁর বিপদগামীর বর্তা শুরু করবে তখন চরম ক্ষতি হয়ে যাবে মানব সমাজের। কেননা নিজের অজান্তে, একক স্বার্থে মানুষ পাহাড় পর্বত কেটে, বনবনানী কেটে উজার করে প্রকৃতি এবং তার নির্ভর পরিবেশকে চরমপর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে তাতে বিপদ বাড়তেই থাকবে।

পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রশাসনের জানা অজানার মধ্যে যে ভাবে পাহাড় পর্বত বনবনানী কেটে ধ্বংস করা হচ্ছে তাতে পার্বত্য চট্টগ্রামের ভবিষ্যৎ প্রাকৃতিক পরিবেশ চরম আকার ধারণ করবে। জানা গেছে গত এক দশকে শুধুমাত্র খাগড়াছড়িতেই শতাধিক পাহাড় পর্বত কেটে সমতল ভুমিতে পরিণত করা হয়েছে। মাঝে মধ্যে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয় এবং কোন কোন সময় অর্থদন্ড দেয়া হয় কিন্তু সম্পূর্ন বন্ধ করতে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয় না। যার কারনে ভুমিদস্যু বা প্রভাবশালী মহল তাদের ইচ্ছেমত করেই পাহাড় পর্বতগুলো কেটেই যাচ্ছে। স্থানীয়রা বলছেন খাগড়াছড়ির ৯টি উপজেলায় গত এক দশকে বনবনানীসহ শতাধিক পাহাড় কেটে সমতলে পরিণত করা হয়েছে। আইন থাকলেও প্রশাসনের কঠোর নজরদারির অভাবে প্রভাবশালীরাই এসব পাহাড় কেটে সমতলে রূপান্তর করেছে।

এখনও অব্যাহত রয়েছে জেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রভাবশালীদের পাহাড় কাটা। এর ফলে পরিবেশ যেমন বিপর্যস্ত হচ্ছে, তেমনি কমছে জঙ্গল, পশু-পাখি হারাচ্ছে আবাসস্থল। পরিবেশকর্মীরা বারবার বিষয়টি প্রশাসনের নজরে এনে পাহাড় কাটা বন্ধের আহ্বান জানালেও এ বিষয়ে নিয়মিত অভিযান ও নজরদারি কম বলে তারা দাবি করছেন। মাঝে মাঝে দু’একবার অভিযান চালিয়ে, দু’চারজনকে জেল-জরিমানা করেই নিজেদের কাজ শেষ করছে। তবে পরিবেশকর্মীদের আশঙ্কা, এভাবে পাহাড় কাটা চলমান থাকলে আরও হুমকির মুখে পড়বে পরিবেশ পরিস্থিতি। পরিেিবশের ভারসাম্য এবং বনবনানী রক্ষায় প্রশাসনকে আইনীভাবে আরো শক্ত অবস্থানে যেতে হবে বলে তারা মনে করনে। বিভিন্ন সময় প্রশাসনের পক্ষ হতে অভিযান চালিয়ে, মোবাইল কোট বসিয়ে একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জেল ও জরিমানা করা হয়েছে। এর পরে সবার অজান্তে পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড় কাটা বন্ধ করা যাচ্ছে না। তাই পাহাড় কাটার দায়ে বন ও পরিবেশের ক্ষতির কাজে জড়িতদের বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে আরো কঠোর হতেই হবে।