[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
বান্দরবানের থানচিতে ১৩মাস পর পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আংশিক প্রত্যাহারজিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে কাপ্তাইয়ে দুস্থদের মাঝে চাল বিতরণবান্দরবানে খুলে দেয়া হয়েছে লামা উপজেলার সকল রিসোর্টসীমান্তে পুশইন ও চোরাচালান ঠেকাতে তৎপর রয়েছে বাঘাইহাট বিজিবিলংগদু উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজিবির টহল জোরদার: লে. কর্ণেল নাহিদ হাসানরাঙ্গামাটিতে বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় যুবক আটকপুশইন ও চামড়া পাচার রোধে রামগড় ৪৩ বিজিবির নিরাপত্তা জোরদাররাজস্থলীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালনচামড়া পাচার ও সীমান্ত দিয়ে পুশইন ঠেকাতে বিজিবি টহল বাড়িয়েছেমাটিরাঙ্গা সেনা জোন কর্তৃক ঈদ উপহার ও মানবিক সহায়তা প্রদান
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

খাগড়াছড়িতে শান্তিপূর্নভাবে প্রতিমা বির্সজন

৪৩

॥ চাইথোয়াই মারমা,খাগড়াছড়ি ॥

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলাতে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজার সমাপ্তি হয়েছে। চেঙ্গী, ফেনী ও মাইনী নদীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে ৯টি উপজেলাতে শেষ হলো দুর্গাপূজা। সোমবার (২৬শে অক্টোবর) বিকেলে খাগড়াছড়ি শহরের গঞ্জপাড়া এলাকা সংলগ্ন চেঙ্গী নদীতে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়।

দুপুরের পর থেকে চেঙ্গী নদীর পাড়ে এক এক করে শোভাযাত্রা সহকারে প্রতিমা আসতে শুরু করে। একইভাবে ফেনী ও মাইনী নদীতেও প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। বিগত বছরগুলোতে পুজা মন্ডপের প্রতিমা একসাথে গাড়ি বহরে করে শহর প্রদক্ষিণ করা হলেও এবার করোনা ভাইরাসের কারণে তা হয়নি।

বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারণেই সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী পরিবেশে এবার পার্বত্য জনপদ সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ৫৪টি পূজামন্ডপে সম্মিলিত শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসব বির্সজন করা হয়েছে। সোমবার বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত একে একে গঞ্জ পাড়াস্থ চেংগী নদীতে মহা ধুমধাম আয়োজনে এখানকার সনাতন সম্প্রদায়ের ধর্মালম্বীরা বির্সজন দিয়ে দুর্গাপূজা উৎসব সমাপ্তি ঘটে।

খাগড়াছড়ি জেলা ব্যাপী ”শারদীয় দুর্গাপূজায় এবার“ দিগন্তের ঐ কাশবন পেরিয়ে দোলায় চড়ে, শিউলী ঢাকা পথে স্বপরিবারে মর্ত্যলোকে আসেন মহেশ্বরী-মহামায়া, সর্বকল্যাণদায়িনী,জগৎ জননী মা দুর্গা”। বৃষ্ঠিস্নাত মেঘাছন্ন আকাশে মাঝারী ও ভারী বৃষ্টিপাতে ধর্মীয় উৎসবে কিছুটা ভাটা পড়েছে। তারপরও তাদের মনে ধমীয় রীতি অনুযায়ী সবচেয়ে বড় উৎসব পালনে কোন বেঘাত ঘটেনি। এছাড়া করোনার বিধিনিষেধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মহাষষ্ঠী, মহাসপ্তমী, মহাষ্ঠমী, নবমী ও দশমীতে পূজা মন্ডপে দর্শনার্থী ও পূজারীরা আরাধনা করেছে মন্ডপে মন্ডপে। পরে দুপুরে দিকে পূজা উদযাপন কমিটির সিদ্ধান্ত মতে যার যার এলাকার পাশ্ববর্তী নদীতে বির্সজন করা হয়।

নারায়ন মন্দিরের পূজা উদযাপন কমিটির স্বপন কুমার ভট্টচার্য বলেন, করোনার মহামারীতে অনাড়ম্বর পরিবেশ হলেও প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও সংবাদকর্মীসহ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের সহযোগিতায় আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পূজা উদযাপন করতে পেরে সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃ রশিদ বলেন, বৈশ্বিক মহামারী করোনায় আমরা সরকারী বিধি নিষেধ মেনে সকলের সহযোগিতায় অনাড়ম্বর পরিবেশে দুর্গোৎসব পালন থেকে শুরু করে বিস্র্জন পর্যন্ত শান্তিপুর্নভাবে সমাপ্ত করতে পেরেছি। সদর উপজেলায় ২০টি পূজা মন্ডপে শান্তিপুর্নভাবে বির্সজন মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয়।

খাগড়াছড়ি কেন্দ্রীয় লক্ষী নারায়ণ মন্দিরের দুর্গাপুজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখর সেন জানান, আমরা ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংক্ষিপ্ত উৎসব আয়োজন করেছি। ছিলনা কোন আলোচনা সভা কিংবা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ বছর খাগড়াছড়িতে ৫৪টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পুজাকে ঘিরে জোরদার ছিল নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ বছর দেবী দুর্গা এসেছেন দোলনায় চড়ে। যাবেন হাতির পিঠে চড়ে। জেলার সকল পূজা মন্ডপ থেকে শান্তিপূর্নভাবে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়।