[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
বান্দরবানের থানচিতে ১৩মাস পর পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আংশিক প্রত্যাহারজিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে কাপ্তাইয়ে দুস্থদের মাঝে চাল বিতরণবান্দরবানে খুলে দেয়া হয়েছে লামা উপজেলার সকল রিসোর্টসীমান্তে পুশইন ও চোরাচালান ঠেকাতে তৎপর রয়েছে বাঘাইহাট বিজিবিলংগদু উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজিবির টহল জোরদার: লে. কর্ণেল নাহিদ হাসানরাঙ্গামাটিতে বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় যুবক আটকপুশইন ও চামড়া পাচার রোধে রামগড় ৪৩ বিজিবির নিরাপত্তা জোরদাররাজস্থলীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালনচামড়া পাচার ও সীমান্ত দিয়ে পুশইন ঠেকাতে বিজিবি টহল বাড়িয়েছেমাটিরাঙ্গা সেনা জোন কর্তৃক ঈদ উপহার ও মানবিক সহায়তা প্রদান
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

বান্দরবানের লামায় ভেজাল পেঁপের চারায় নিঃস্ব ৭ প্রান্তিক কৃষক

৪৭

॥ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ॥

‘রেড লেডি হাইব্রিড’ জাতের পেঁপের ভেজাল চারা দেয়ায় ফলন না হয়ে মূলধন হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে বান্দরবানের লামার ৭ প্রান্তিক কৃষক। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা তাদের ক্ষতিপূরণ দাবী করে স্থানীয় কাউন্সিলর এর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। সরজমিনে গেলে প্রতিবেদককে ক্ষতিগ্রস্ত সাতজন কৃষক জানিয়েছেন, তাদের ক্ষতির পরিমাণ ৮ লক্ষ ৮২ হাজার ৫শত টাকা।

ক্ষতিগ্রস্ত পেঁপে চাষীরা হলেন,লামা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের পশ্চিম শিলেরতুয়া গ্রামের মৃত কালু মিয়ার ছেলে মোঃ জালাল আহমদ (৩৬), মৃত মোঃ সোলতান আহমদের ছেলে মোঃ আবুল হাসেম (৫২), আব্দুল হাকিমের ছেলে হায়দার আলী (৬০), শিলেরতুয়া এলাকার আবচার উদ্দিনের ছেলে মুজিবুর রহমান (৫৫), মহরম আলী (৪০), আব্দুল কুদ্দুস (৪৫) ও চংবট মুরুং পাড়ার চংবট মুরুং এর ছেলে মাংরুং মুরুং। এছাড়া চংবট মুরুং পাড়ার আরো ৩/৪ নৃ-গোষ্ঠী চাষী ভেজাল পেঁপের চারার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জানায় শিলেরতুয়া এলাকার বাসিন্দা মোঃ শহিদুল ইসলাম।

কৃষকরা জানায়, ভেজাল পেঁপে চারা লাগিয়ে ফলন না হওয়ায় মোঃ জালাল আহমদ ১ কানি পেঁপে চাষে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা, মোঃ আবুল হাসেম ৩০ শতক চাষে ৯৭ হাজার ৫শত টাকা, হায়দার আলী ৩ কানি চাষে ৩ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা, মুজিবুর রহমান ২০ শতক চাষে ৬৫ হাজার টাকা, মহরম আলী ১০ শতক চাষে ৩৫ হাজার টাকা, আব্দুল কুদ্দুস ১০ শতক চাষে ৩৫ হাজার টাকা ও মাংরুং মুরুং ১ কানি চাষে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা ক্ষতির শিকার হয়েছে।

কৃষক মোঃ জালাল আহমদ বলেন, ২ কানি জমিতে পেঁপের চাষ করেন। তারমধ্যে ১ কানি জমির পেঁপের চারা শিলেরতুয়া এলাকার ছাহ্লাচিং মার্মার ছেলে নার্সারীর মালিক উহ্লামং মার্মা থেকে ক্রয় করেছি। সেই ১ কানি জমির পেঁপের চারা গুলো বড় হলেও কোন ফলন আসেনি। অথচ হরিণঝিরি এলাকা হতে ক্রয় করা অপর ১ কানি জমিতে চমৎকার পেঁপের ফলন হয়েছে। ১ কানি জমির খাজনা, চারা রোপন ও পরিচর্যায় মোট ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। উহ্লামং মার্মা হতে ক্রয় করা ভেজাল পেঁপে গাছে ফলন না হওয়ায় তার সম্পূর্ণ বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

কৃষক হায়দার আলী বলেন, আমি ঋণ কর্জ করে ৩ কানি জমিতে পেঁপে চাষ করেছি। আমার ক্ষেতে কোন ফলন আসেনি। আমাদের ধারনা নার্সারী মালিক উহ্লামং মার্মা রেড লেডি হাইব্রিড চারা বলে বাজে জাতের চারা বিক্রি করেছে। আমরা ক্ষতিপূরণ দাবী করছি। আমি প্রতিটি পেঁপের চারা ২০ টাকা করে ২ হাজার চারা ৪০ হাজার টাকা দিয়ে উহ্লামং মার্মা থেকে ক্রয় করেছিলাম। এ বিষয়ে নার্সারী মালিক উহ্লামং মার্মা বলেন, অনেকে বিষয়টি জানিয়েছেন। কেন এমন হল জানিনা।
এবিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর মোঃ হাবিল মিয়া বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মোঃ জালাল আহমদ অভিযোগ করেছে। তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করে তাদের তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদন পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অভিযোগকারী কৃষকদের জমিতে ফলন না হওয়ার বিষয়টি সত্য বলে জানান।