[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

লামায় বন্য হাতির আক্রমণে কৃৃষকের মৃত্যু

১২৭

॥ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ॥

বান্দরবানের লামায় বন্য হাতির আক্রমণে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত আকতার হোসেন (৩৮) উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের কুমারী চাককাটা গ্রামের মৃত ছিদ্দিক আহমদের ছেলে। সোমবার (০৮ মে ) রাত ২টা ৩০ মিনিটে ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড কুমারী চাককাটা গ্রামে হাতির আক্রমণের ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহীদুল ইসলাম চেীধুরী বলেন, লাশ এখনো লামা সরকারি হাসপাতালে রয়েছে। লাশের প্রাথমিক সুরতহাল করার জন্য উপ-পরিদর্শক অলি আহাদ কে পাঠানো হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণের জন্য প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।

নিহতের স্ত্রী রোকসানা বেগম ও বড় ভাই আব্দুল করিম বলেন, রাত ২টা ৩০ মিনিটে ১টি বন্য হাতির পাল এসে বাড়ির উঠানে আম গাছ থেকে আম খেতে থাকে। হাতির উপস্থিতি টের পেয়ে নিহত আকতার হোসেন হাতি তাড়াতে ঘর থেকে বের হয়। এসময় ১টি দাঁতালো বড় বন্য হাতির তাকে তাড়া করে। পরে পাশের আব্দুল সালামের বাড়ির দক্ষিণ পাশে জমিতে ফেলে ধারালো দাঁত দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে তাকে মেরে ফেলে। কিছুক্ষণ পরে স্বজন ও এলাকার লোকজন তাকে উদ্ধার করে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে লামা সরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসে। নিহত কৃষক আকতার হোসেনের স্ত্রী সহ ১ মেয়ে ৩ ছেলে রয়েছে।

লামা সরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত মেডিকেল অফিসার ডাঃ শহীদুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই লোকটির মৃত্যু হয়েছে। রক্তাক্ত লাশের পিঠে ও গলায় বড় ধরনের ক্ষত চিহ্ন রয়েছে এবং সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

লামা বন বিভাগের সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা আতিকুর ইসলাম ও ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হোসাইন চৌধুরী হাতির আক্রমণে আক্তার হোসেনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা বলেন, এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিবারকে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বন বিভাগের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে। এছাড়া হাতি ও মানুষের দ্বন্দ নিরসনে বন বিভাগের পক্ষ থেকে নানা ধরনের কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, লাশটি ময়নাতদন্ত ছাড়া দাফন-কাপনের অনুমতি দিতে ওসি লামা থানাকে সুপারিশ করা হয়েছে।