[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

শিক্ষকরাইতো শিক্ষার আলো ছড়াইবেন অর্থের আর দন্ধের কি হইলো তাঁগো বিষয় তার দায়তো শিক্ষার্থীর নয়

১৩৪

ক্রিং ক্রিং, এ্যঁ…লো, কি গো জেঠা তুমি ঠিক আছোতো, গত সপ্তাহের খবরাখবর লইয়া তোমাগোর দরবারে-দরবারে, টেবিলে-টেবিলে কারেন্ট হাজির হইয়াছি। আমাগো শেখ হাসিনা জেঠিতো ব্যাটা করোনার টুঁটি চাপিয়াই ধরিয়াছে তয় দেশের টাকা পাচারকারীগোর অবুস্থা কি হইবে। এই বজ্জাতের হাড্ডি করোনা গোটা পৃথিবীর জেঠা-জেঠির অস্থিমজ্জাও চুষিয়া খাইতেছে আর আমাগো দেশের লুটেরার দল দেশের জেঠা-জেঠিগোর পকেট কাটিতেছে। তার মইধ্যে সমাজের দু¯ৃ‹তকারী, ধর্ষক, বখাটে, ইভটিজার, লুটপাটকারী, মাদক বিক্রেতা, টেন্ডারবাজ, তেলবাজ, অস্ত্রবাজ, দালালবাজ, ভুমিদস্যু, চাঁপাবাজগোর বিষয়ে দু-চারটি কথা লিখিয়াই যাইতেছি। ভাই পো-রে, আইন আছে, কঠোর দমন নাই, নিপীড়ণ, নির্যাতন, বিতারণ আছে ভালো শাসন নাই। পাহাড়ের চুড়ায়, খাদে, চিপায়, নালায়, ঝিড়িতে, হ্রদের ধারের অভাগা জেঠা জেঠিরা কোন দুনিয়ায় তাইনেরা বসবাস করিতেছে বলিয়া খালি আপুত্তি-বিপুত্তি। আমি জেঠাও সর্ব বেকায়দায়। ভক্তরাও খালি কহেন অ-জেঠা আমজেঠা-জেঠিরা বাঁচি, মরি আর ঝুলিয়া থাকি আপুনে অন্তত ভালা থাকিবেন। ঐ জেঠা জেঠিগোরে কি বলিব আমিও বিপদ সামলাইতেই পারিতেছিনা। বুড়ো বুড়িরাই কহিত যে নাকি সহে সে নাকি বরকত পাইয়া থাকে। বহু হর্তাকর্তা আইজ দিতাছি কাইল দিতাছি বলিয়া চড়কার মতন ঘুরাইতেছে, আবার দুই চাইর কলম লেখিলেই খালি কহেন অ জেঠা, গা তো পোড়াইতেছে। আমিওযে পুড়িয়া মরিতেছি, সইতেও পারিতেছি না, বরকতও পাইতেছি না, কিছু বলিতেও পারিতেছিনা, জমাজাটিও করিতে পারিতেছিনা, খালি চিন্তা, আর চিন্তা….

ভাই পো-রে পুরানে বুড়ো-বুড়িরা কহিতো ওজন বুঝে ভোজন দে, মন বুঝে ধন দে, লা-আ-ভ বুঝে ঝাঁপ দে। এক দিকে জেঠা জেঠিগোর ঠেলাগুতো অন্য দিকে ভাই পো আর জেঠা-জেঠিগোর ওয়েটিং, এইসব চিন্তা লইয়া অধিক সময় চোখের পাতা রাইতেও খাড়াইয়া থাকে। আবার ফিজিসিয়ান কহিলেন জেঠির প্রেসার নাকি এখন হাই, তয় তাইনের চিল্লা-ফাল্লাও হাইফাই। আমি কি সমাজের জেটা জেঠিগোর সুখ দুঃখের বয়ান লিখিব নাকি জেঠিরে সামাল দিব ঐ হিসাবও মিলাইতে পারিতেছি না। প্রতিদিনই ভোর সকালেও দেখি জেঠি বুকে হাত দুইখান লইয়া ঘুমের ঘোরেও যেন জেঠারে ঘায়েল করিতে পরিকল্পনা করিতেছে। জেঠাও হ¹ল মানুষ-আমানুষগোর খবরাখবর লইয়া বাড়ি ফিরিলেও রাইতে তাইনের সেবাও করিতে হইতেছে। আবার বহুত জেঠা-জেঠি কহিলো তাইনেগোরে নাকি প্রেসক্রাইব করিতে, জেঠি হইতে কিভাবে রক্ষা পাওন যায়। এই হইলো কাটা ঘা’এ নুন ছিটানো। আরে জেঠার নিজের প্রেসক্রাইব কারে জমা করিবো হেই চিন্তা লইয়া উপর ওয়ালার দেয়া ব্ল্যাক চুল হোয়াইট হইতেছে তার মইধ্যে জেঠা-জেঠিগোর যত তালিমালি। রাইতে জেঠিরে দুই চাইর কথা শুনাইয়া দিলেই পেট্রোল বোমার মতন ঢাস ঢাস করিতে করিতে জীবনটারে ঠাঁসা বানাইয়া দেয়। হেই সময় মনয় লাইফটা রেস্টুরেন্টের পরটার মতন হইতেছে। সকালে বিছানা ছাড়িতে দেরি। পাহাড় পর্বতের মানুষ অ-মানুষগোর সুখ দুঃখের বয়ান উত্তাপন করিতে হিমশিমও খাইতেছি। করোনা-১৯ আর লুটেরার দলতো কারো কথাই হুনিতে চাহে না। বহু ভাইরাসের মানবতা কিছুটা থাকিলেও এইসব ভাইরাসের দেখি মানবতার মা-ও নাই, বাপও নাই। আবার কুঞ্জ হইতে বাহির হইলেই ভাইপোগোর নজরবন্দি, তার মইধ্যে বিনা বেতনে চাকুরী ব্যাটা ছোট্ট জেঠার পাঠশালায় কামিং গোইং এখন হরদম। বেকার এই জেঠাও দেখি করোনার বান লইয়া খালি প্রশ্নের রান করিতে ওস্তাদ, বায়না ধরে কম্পোটারে গেইম খেলিবো, জঙ্গল দেখিবো, পাহাড়-নদী-নালা দেখিবো, আমি জেঠা যে কোন খানে লুকাইবো হেই চিন্তা লইয়া খুবই চিন্তায়ও আছি… যাউ¹া…

দেশের প্রত্যেক অঞ্চলের বৌদ্ধ জনগুষ্টির জেঠা-জেঠিরা বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন করিয়াছেন। আমাগো মানব সমাজের দুঃখ মুক্তির জইন্য মহাজ্ঞানী মহামানব গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বদ্ধত্ব লাভ এবং নির্বাণ এই তিনটি মহাবিষয় একই সমুয়ে হওনের কারণে বৌদ্ধ জনগুষ্টির কাছে এটি মহা উৎসব। গৌতম বুদ্ধ মানবসমাজের তথা সকল প্রাণীর কল্যাণমিত্র তাঁর ধর্মসুধায় জাত-প্রথা, হিংসা, বিদ্বেষ, লোভ, মোহ, অনাচার এর কোন সুযোগ নাই কেবলই সম্প্রীতির আর জগতের কল্যাণের। এই মহা পূন্য তিথিতে সকলের মঙ্গল কামনা করিতেছি।

আমাগো শান্ত জেঠা কহিলো, যদি ইউএনও নজর না দিত তাহা হইলে আমাগো এসএসসি পরীক্ষার্থী ছয় জেঠা-জেঠির আর টেবিলে বসিতে হইতো না। তাইনেগোর প্রধান শিক্ষক নানান অজু হাত আর দ্বন্ধে লাগিয়া পরীক্ষার্থীগোর প্রবেশপত্র দেন নাই। এইসব লইয়া অভিভাবক মহল নির্বাহী কর্তা শোয়াইব জেঠারে বয়ান দিলে তাইনে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা লওনের কারণে পরীক্ষা আধ ঘন্টা আগে প্রবেশপত্র পাইয়া পরে লিখিতে টেবিলে বসেন ছয় জেঠা-জেঠি। এই ঘটনা হইলো আলীকদম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে। কথা হইলো আমাগো শিক্ষকরাইতো শিক্ষার আলো ছাড়াইবেন অর্থের আর দন্ধের কি হইলো তাঁগো বিষয় তার দায়তো শিক্ষার্থীর নয়। তয় দ্বন্ধে জড়িতগোর অনিয়ম বন্ধ করিতে কঠোর হইতে হইবে, চিন্তায় আছি…

আমাগো মুন্ত্রী বীর জেঠা কহিলো পাহাড়ের পাহাড়ী বাঙ্গালী সম্প্রীতির বন্ধনে বসবাস করিতেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের হ¹লখানেই মনে হইতেছে শান্তির পায়রা উড়িতেছে। এই সম্প্রীতির কারণ হইলো আমাগো প্রধানমুন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাইনে পাহাড়ের হ¹ল সম্প্রদায়কে খুব ভালোবাসেন যার কারনে হ¹ল দিকেই উন্নয়ন করিয়া যাইতেছে। গেল শুক্রুরবার নাইক্ষ্যছুড়িতে ক্ষুদ্র চাক জনগুষ্ঠির সম্মেলনে এইসব কহিলেন। কথা হইলো শান্তি নষ্টকারীগোর কারনে হেই পাহাড়ের যেইভাবে লাশ পড়িতেছে এই অঘটনগুলাইনের কি হইবে। তয় অঘটন ঘটানোর পিছনে যারা কলকাঠি নাড়াইতেছে তাঁগোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা লইতে হইবে, চিন্তায় আছি…

আমাগো কুতয়ালীর পুলিশ জেঠারা মানব সমাজের ঠকবাজ আঠার মামলার এক আসামী রুবেল জেঠারে চট্টগ্রামে আটক করিয়াছে। ধুরন্ধর এই জেঠারে ধরিতে চাঁটগাঁর তিন থানার চৌকস পুলিশ জেঠার সমন্বয় লইতে হইয়াছে। রুবেল জেঠা অতিলাভ দেখাইয়া মানব সমাজের বহুতের পকেট কাটিয়া কুটি কুটি টাকা হাতাইয়া নিয়াছে। অভাগা ফাঠা কপাইল্লা জেঠা-জেঠিরাও এই মহাচোররে চিনিেিত পারে নাই। কথা হইলো দেশে হ¹ল পুতিষ্ঠান আইনের আওতায় যতক্ষন না আসিবে ততক্ষন সমাজরে চুষিয়া যাইবে, চিন্তায় আছি…

আবু জেঠা কহিলো, প্রচন্ড দাবদাহের মাঝেও আমাগো কৃষককুল মাটিরাঙ্গা উপুজিলার ফসলী জমিতে বোরো ধানকাটিয়া যাইতেছে। কৃষকের হাঁসির পিছনে নাকি দুঃখ লুকিয়া রহিয়াছে। বহুতে কহিলো সঠিক সমুয়ে বৃষ্টি না হওনের কারনেও ফসলে ক্ষতি হইয়াছে এখুন অনাবৃষ্টি হইলে উল্টো ক্ষতি হইবে। অবার বহুত স্থানে আমাগো সমাজের যুবকরা কৃষকগোর ধান কাটিয়া ঘরে বাড়িতে তুলিয়া দিতাছে। শ্রমিকের মুল্য বেশী হওনের কারনে কৃষকরা সহযোগীতা চাহিলে যুব সমাজ আগাইয়া আসিয়াছে। যাক এরকুম কল্যাণ কাজে হাত বাড়াইলে শান্তি ফুঠিয়া উঠিবে। তয় হ¹লের ভাবনের দরকার কৃষকরাইতো আমাগো ভাতের যোগান দেয় তাঁগো সেবাই আগে হওনের দরকার, চিন্তায় আছি…

কবির জেঠা কহিলো, আমাগো কাপ্তাই হ্রদ লইয়া যে অবুস্থা তাহা হইলো মরিলরে মরিল তারে বাঁচাইতে কেউ না আসিল। হ্রদের জায়গা দখল করিতে করিতে এখুন হ্রদ হইয়াছে ছোট মানির স্তর নামিতে নামিতে পানির হ¹ল প্রানীও মরিতে বসিল। আর কত্ত অত্যাচার কাপ্তাই হ্রদ সর্হ্য করিবে। গেল সপ্তাহে রাঙ্গামাটির বিলাইছুড়ি উপুজিলায় যাইবার সমুয় হ্রদের মাঝ পথে বোট আটকাইয়া গেলে শেষ মেষ যাত্রীরাই তলদেশে মাটি সরাইয়া বোট গন্তেব্যে নিতে প্রানপন চেষ্টা। আমাগো হাইকোর্ট যেই আদেশ দিয়াছেন তার সঠিক বাস্তবায়ন হইতে থাকিলে প্রজম্মের জইন্য লাভ হইবে, চিন্তায় আছি…

আবার আমাগো মাত্তাল লেদু কহিলো আর কত্ত। হ্রদের জায়গা উদ্ধারে চুনোপুঁটিগোর মইধ্যে অভিযান চালাইলে হইবে না রাঘববোয়ালগোর কলার ধরিতে হইবে। অবৈধভাবেই সারা বছরই জেঠা-জেঠিগোরে চুষিয়াই খাইলি। ক্ষেমতার অধিকারী হইয়া রাজনৈতিক লেজুরভিত্তি চালাইয়া শহর নগরের অসহায় জেঠা-জেঠিরে ভালবাসার পল্টি মারিয়া লাগাতারই ছেঁচড়াইতেছে। জন্ম নিবন্ধন লইয়া বহুতে কহিলো যেই অত্যাচারিত হইতেছি তয় মানবকুলে আর জন্ম লওনের দরকার নাই। ঢের ভালা পাখি হইয়া জন্মিলে গোটা পুত্থিবী ঘুরিলেও, পাসপোর্ট, ভিসা, পুরিচয়পুত্র, জন্ম নিবন্ধুনের দরকার হইবে না। এই কামে, হেই কামে বহুতে ফিরিকশন লাগাইয়া দিয়া চুইংগামের মতন লম্বা করিতেছে, আবার নানান কিছিমের আকাম লইয়াও দৌড়াইতেছে। লেদু কহিলো খালি জনগনরে ল্যাং মারনের তালে। ক্ষেমতারে ললিপপ ভাবিয়া লুটপাট-সুবিধা চালাইতে বহুতেরে পাঁটায় তুলিয়া ছেঁচিতেছে। লুটেরার দল আছমকা গন্ডোগোল আর আবোল তাবোল দল বাঁধাইয়া হ¹লই হাতাইয়া নিতে গোল পাকাইতেছে। যা মনে হইতেছে মাত্তাল লেদু মধু খাইলেও হুঁস জ্ঞান ঠিকই আছে, চিন্তায় আছি…

ভাইপো-রে পার্বত্য এলাকায় আর কতো রকম-বেরকমের কান্ডকারখানা দেখিতে হুনিতে হইবো বুঝিতে পারিতেছিনা। রাজনীতির মাঠতো হঠাৎ করিয়া চুড়ান্ত গরম হইয়া পড়িবে। ঐ গরমে কে পোড়া আর কে আধপোড়া হইবে পাবলিক জেঠারা ডরে ভয়ে দিনাতিপাত করিতেছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক জেঠা জেঠি কহিলেন সন্ধ্যার পর অনেকে ডরে ভয়ে স্থান ত্যাগ করিয়াও রাত্রি যাপন করিতেছে। আধিপত্য, চাঁন্দাপত্য, ঘায়েলপত্য, খাদ্যপত্য নানান অপকর্মপত্যর বিস্তার লইয়া কয়েক গ্রুপতো ফটর ফটর করিয়া খালি মানুষ মারিতে ওস্তাদ, ভাই-পো রে খালি দুঃখ আর দুঃখ আমি জেঠাও কখন জেলে ঢুকি এই চিন্তা লইয়া আরো বহুত ঘটনা বাকি থাকিলেও আইজ এই পর্যন্ত লিখিয়া ইতি টানিতেছি, তবুও চিন্তায় আছি….

ইতি-

পা.স.চি.জে.মি.ব.

০৭ মে, ২০২৩ খ্রিঃ রবিবার