[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
খাগড়াছড়ির উন্নয়নে ওয়াদুদ ভুঁইয়ার বিকল্প নেইরাঙ্গামাটি রাজস্থলী প্রেস ক্লাবের মাসিক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিতরাজস্থলীতে উপজেলা তামাক আইন বাস্তবায়ন টাস্কফোর্সের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিতরোয়াংছড়িতে নারী, শিশুর প্রতি সহিংসতা ও মাদক বিরোধী আলোচনা সভাকাপ্তাই ১০আরই সেনাবাহিনীর ফ্রী চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ বিতরণকাপ্তাই নতুন বাজারে দুই প্রতিষ্ঠানকে অর্থদন্ড, প্রকাশ্যে ধুমপান নয়লংগদু উপজেলার আইনসৃংখলা রক্ষায় সার্বিক সহযোগীতা কামনাকথা হইলো ডাক্তার-ই যদি নাই থাকে তয় রোগ লইয়া খালি বিছানায় শুইয়া থাকিলে কি হইবে, চিন্তায় আছি…অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যু আমরা চাই না, পর্যটকদের সচেতন করা জরুরীখাগড়াছড়ির পানছড়িতে ৩ বিজিবির নানামুখী সহায়তা
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

মন্ত্রণালয়গুলোতে সমন্বয় না থাকায় সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে পরিষদ

পার্বত্য এলাকার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের সদিচ্ছার কোনো অভাব নেই

৩৯

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥

পার্বত্য এলাকার সহজ সরল পাহাড়িরা অনেক কষ্ট করে ফসল ও কৃষিপণ্য উৎপাদন করলেও ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেনা। এ অঞ্চলের কৃষি, শিক্ষা ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে এখানকার মানুষের সুপরামর্শ ও মতামত নিয়ে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করলে কাঙ্খিত উন্নয়ন সম্ভব। সোমবার (১৯ অক্টোবর) সকালে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ এবং এসআইডি-সিএইচটি এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ড. শেখ মোঃ রেজাউল ইসলাম এসব কথা বলেন।

সোমবার (১৯ অক্টোবর) সকালে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষ এনেক্স ভবনে জেলা পরিষদ এবং এসআইডি-সিএইচটি এর যৌথ উদ্যোগে পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য নুরুল আলম, পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাঃ আশরাফুল ইসলাম, সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া, সদস্য সাধন মনি চাকমা, সদস্য জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা, সদস্য অংসুই প্রু চৌধুরী, নির্বাহী প্রকৌশলী বিরল বড়ুয়া, জনসংযোগ কর্মকর্তা অরুনেন্দু ত্রিপুরা, হিসাব ও নিরীক্ষা কর্মকর্তা মোঃ খোরশেদুল আলম চৌধুরী, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের সহকারি প্রকৌশলী ফাতেমা আক্তার জেনী, এসআইডি-সিএইচটির ন্যাশনাল প্রজেক্ট ম্যানেজার প্রসেনজিৎ চাকমা, এসআইডি-সিএইচটির ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার ঐশ্বর্য্য চাকমা, ডিএফও (দক্ষিণ) মোঃ রফিকুজ্জামান শাহ, ডিএফও (উত্তর) আব্দুল সালেক প্রধান, মৃত্তিকা সম্পদ ইনষ্টিটিউটের এসএসও কিশলয় চাকমা, ভেটেরেনারী সার্জন ডাঃ দেবরাজ চাকমা, জেলা শিক্ষা অফিসের রিসার্চ অফিসার স্মৃতি চাকমা, তুলা উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা পরেশ চন্দ্র চাকমা, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ বরুন দত্ত, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সহকারী জেলা প্রাথমকি শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ রবিউল হোসেন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনষ্টিটিউটের পরিচালক রুনেল চাকমা, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক পবন কুমার চাকমা, উপপরিচালক হর্টিকালচার মোঃ নাসিম হায়দার এবং উপপরিচালক হর্টিকালচার ড. মোঃ আব্দুল জব্বার উপস্থিত ছিলেন।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আরও বলেন, পার্বত্য এলাকার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের সদিচ্ছার কোনো অভাব নেই। আমরা উন্নয়নই চাই। এখানকার কৃষকরা যাতে উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য পায় তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ব্যাপক উন্নয়নে ক্ষুদ্র শিল্পও স্থাপন করা যায়, নানাবিধ কার্যক্রম হাতে নেয়া যায়। তিনি বলেন, শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে দক্ষতা যাচাই করে দক্ষ ও ভাল মানুষ নিয়োগ দিতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষকে উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় নিয়ে আসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত আন্তরিক। পার্বত্য চট্টগ্রামের জন্য কোন উন্নয়নমূলক প্রকল্প হাতে নিলে তিনি কখনো না করেন না। এ অঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি ১৯৯৭ সালে ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের কথা ভাবেন। তিনি অনুরোধ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মতই অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীরাও পার্বত্য চট্টগ্রামের বিষয়গুলো নিয়ে সযত্ন নজর দিবেন। সমাজ সেবা বিভাগ, প্রাথমিক শিক্ষা, পর্যটন ইত্যাদি বিষয় ও বিভাগ পার্বত্য জেলা পরিষদে হস্তান্তরিত হলেও এখানে পর্যটন দিবস, প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ ইত্যাদি কর্মসূচি পালনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে অন্য কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয়া হয়। এসব বিষয় নিয়ে পদে পদে জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। মন্ত্রণালয়গুলোতে সমন্বয় না থাকায় সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে পরিষদ। এসব বিষয় সমাধান না হলে পার্বত্য চট্টগ্রামের কাঙ্খিত উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। তিনি প্রধান অতিথিকে এ বিষয়ে নজর রাখার জন্যও অনুরোধ করেন।