[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
পাহাড়ি অঞ্চলে তামাক চাষে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্যইব্রাহিম খলিল বিএনপির একজন নিবেদিত প্রাণ ছিলেন, স্মরণ সভায় নেতৃবৃন্দবান্দরবানে আবুল খায়ের টোব্যাকো কোম্পানির অফিস ডাকাতি, ১ কোটি ৭২ লাখ টাকা লুটবান্দরবানের রুমা কাঠ বোঝাই জীপ দূর্ঘটনায় হেলপারের মৃত্যুএই সরকার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে চায়: পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপবান্দরবানে আওয়ামীলীগের সাত নেতাকে গ্রেফতারবান্দরবানে ১হাজার ৭শত পিস ইয়াবাসহ কৃষক দলের নেতা আটকখাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়িতে কৃষকের প্রনোদনা নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ, এসব কি হচ্ছেঅবশেষে ছাত্রদল নেতা শাহ আলমের কঙ্কাল ১৫ বছর পর কবর থেকে উত্তোলনরাঙ্গামাটির লংগদুতে বিশ্ব রেড ক্রস দিবস উপলক্ষে র‌্যালী ও আলোচনা সভা
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে প্রেরণ

বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে সন্ত্রাসী দুই দলের মধ্যে গোলাগুলিতে নিহত ৮,পালাচ্ছে এলাকাবাসী

১৬৮

॥ আকাশ মার্মা মংসিং, বান্দরবান ॥
বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে অস্ত্রধারী দুই সন্ত্রাসী দলের মধ্যে গোলাগুলিতে উভয়ের ৮জন সদস্য নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (৬এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে রুমা-রোয়াংছড়ি সড়কের খামতাংপাড়া পাড়া এলাকায় এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রগুলো জানিয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রগুলো জানিয়েছে, বিছিন্নবাদী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর শসস্ত্র সদস্যদের সাথে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক (সংস্কার) দলের সদস্যদের মধ্যে গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গোলাগুলিবিদ্ধ হয়ে ৮ জন নিহত হয়েছে। আজ শুক্রবার আইনসৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে পুলিশ।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, খামতাংপাড়া রোয়াংছড়ি উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে। এটি রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সেখানে সন্ত্রাসীদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার পর ভয়ে পাড়ার বেশির ভাগ বাসিন্দা রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় এসে আশ্রয় নেন। খামতাম পাড়া এলাকা থেকে আতঙ্কিত হয়ে পালিয়ে আসা গ্রামবাসী রোয়াংছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমি ভবনের আশ্রয় নিয়েছেন ১৮৩ জন, রুমা উপজেলায় আশ্রয় নিয়েছেন আরো ২২ পরিবার। পালিয়ে আসা সবাই খিয়াং জনগোষ্ঠীর বলে জানান গেছে। ভয়ে পালাচ্ছে এলাকাবাসী।

এদিকে পালিয়ে আসা খামতাম পাড়া বাসিন্দা অলিপার খিয়াং, শৈহ্লাপ্রু খিয়াংসহ আরো কয়েজন জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ও সকালে গোলাগুলি ঘটনা ঘটেছে। ওই গোলাগুলি শব্দ শুনে আমরা অনেকেই ভয়ে পালিয়ে এসেছি। কোন পক্ষের সাথে গোলাগুলি ঘটেছে সে ব্যাপারে তিনি কিছু জান তে পারেননি।

এ বিষয়ে বান্দরবান সেনাজোনের কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন ফাহিম বলেন, দীর্ঘদিন যাবত খামতাম পাড়া এলাকায় সন্ত্রাসীদের তৎপরতা বেড়ে চলেছে। তাদের এই উৎপাতের কারনের সেখানকার গ্রামবাসীরা সহ্য করতে না পেরে রোয়াংছড়ি ক্যাম্পে পালিয়ে এসেছে। সেনাবাহিনী ও বেসামরিক বাহিনীর সহযোগীতায় পালিয়ে আসা গ্রামবাসীদের জন্য আশ্রয় ও খাবার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। ওই এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তাদেরকে নিরাপদের রাখা হবে বলে তিনি জানান। পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসলে তাদেরকে ওই এলাকা হস্তান্তর করা হবে।

রোয়াংছড়ি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আব্দুল মান্নান জানিয়েছেন, ঘটনায় আইনসৃংখলা বাহিনী জানার পর শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে নিহতদের লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতদের গায়ের ইউনিফর্ম পড়া ছিল। এ ঘটনায় তদন্ত করা হচ্ছে বলে ওসি জানান।

পরে বান্দরবান পুলিশ সুপার মোঃ তারিকুল ইসলাম বলেন, অস্ত্রধারী দুই পক্ষের গোলাগুলি ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ৮ জনের লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে। তবে তাৎক্ষনিকভাবে নিহতদের পরিচয়ও সনাক্ত করা যায়নি। কি কারণে গোলাগুলি সুত্রপাত ঘটেছে সে ব্যাপারে জানা যায়নি। নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।