বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজে অধ্যয়নরত ৭২১ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান
প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্ন পূরণে পাহাড়ের মানুষও পাশে থাকবে: মন্ত্রী বীর বাহাদুর
॥ দহেন বিকাশ ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি ॥
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, এমপি বলেছেন, পার্বত্য জেলা উন্নয়নে এগিয়ে যাচ্ছে, আরো উন্নয়ন কাজ পাহাড়ে অব্যাহত রয়েছে। তাই পার্বত্য এলাকায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য যোগাযোগ সহ ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হবে। বৃহস্পতিবার (১৬মার্চ) দুপুরে খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের শিক্ষাবৃত্তি বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড এর চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা’র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ভারত প্রত্যাগত শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স’র চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, পুলিশ সুপার মোঃ নাইমুল হক, খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মিছবাহুদ্দীন আহমেদ, খাগড়াছড়ি সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ শাহ আলমগীর। এসময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য-পরিকল্পনা মোঃ জসীম উদ্দিন (উপসচিব)। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মুনতাসির জাহান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শানে আলম, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম দিদার, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিত রায় দাশ।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম দেশের বোঝা হয়ে থাকবে না, দেশের উন্নয়নে অংশীদার হবে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে স্বপ্ন দেখছেন। ঐ স্বপ্ন পূরণে আমাদের পাহাড়ের মানুষও বসে থাকবে না পাশেই থাকবে। তাই সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে শিক্ষার্থীদের স্মার্ট নাগরিক হওয়ার আহবান জানান তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, আমাদের পার্বত্য অঞ্চলে আগে কোন উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল না, কিন্তু বর্তমানে আমরা উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের যথেষ্ট সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছি।
সভাপতির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা বলেন, ১৯৭৬ সালে এই উন্নয়ন বোর্ড প্রতিষ্ঠিত হয় এবং প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই বৃত্তি প্রদান করে আসছে। এই বৃত্তি প্রদান শুরু হয়েছিল ৮১ হাজার টাকায় এবং বিভিন্ন অর্থবছরে এই পরিমান পর্যায়ক্রমে বেড়ে তা ২ কোটি টাকা করা হয়েছে। আগামীতে এ বৃত্তি কার্যক্রম চালু থাকবে।
পরে এসময় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা থেকে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজে অধ্যয়নরত ৭২১ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হয়।