রমজানে দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখতে লামায় কৃষি বিপণন কমিটির সভা
অসাধু ব্যবসায়ীদের ভ্রাম্যমান আদালতের আওতায় আনা হবে: ইউএনও
॥ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ॥
আসন্ন পবিত্র রমজানে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে এবং সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা মধ্যে রাখতে লামায় অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে। ভোক্তা সাধারণের অধিকার ক্ষুন্ন করা হলে ছাড় দেয়া হবে না। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় লামা উপজেলা পরিষদ হলরুমে অনুষ্ঠিত লামা উপজেলা কৃষি বিপণন সমন্বয় কমিটি আলোচনা সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একথা বলেন।
উপজেলা কৃষি বিপনন সমন্বয় কমিটির আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোস্তফা জাবেদ কায়সার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সহকারী কৃষি বিপনন কর্মকর্তা মোঃ বোরহান উদ্দিন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ জাহেদ উদ্দিন, উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ শফিকুল ইসলাম, উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ করিম জনি, লামা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ রফিক, লামা বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি আমান উল্লাহ সহ ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক।
আলোচনা সভায় সাংবাদিক ও জনপ্রতিনিধিরা বলেন, দ্রব্যমূল্যের ক্রমবর্ধমান ঊর্ধ্বগতির কারণে দেশের মানুষের মাঝে চাপা হাহাকার বিরাজ করছে। দেশের মানুষের আয় বাড়েনি, কিন্তু ব্যয় বেড়েছে অনেক। তাই সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা অনেক কমে গেছে। অর্থের অভাবে সাধারণ মানুষ বাজার করতে পারছে না, শিশুখাদ্য কিনতে পারছে না। এমনকি অর্থের অভাবে চিকিৎসা নিতে পারছে না এবং ওষুধ কিনতে পারছে না সাধারণ মানুষ। তারা আরো বলেন, সামনে পবিত্র মাহে রমজান। রোজাদারদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে মাহে রমজানে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখা জরুরি হয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষকে বাঁচিয়ে রাখতে ওএমএস, সুলভ মূল্যে চাল বিক্রি ও টিসিবি’র পণ্য বিক্রয় পরিমাণ আরো বাড়াতে সরকারের প্রতি আহ্বান করেন। প্রয়োজনে মাহে রমজান ও পবিত্র ঈদের আগেই ভর্তুকি দিয়ে বিশেষ ব্যবস্থায় নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে অনুরোধ করেন বক্তারা। সভায় গরুর মাংসের দাম নির্ধারণ সহ প্রতিটি দোকানে দ্রব্যমূল্যের তালিকা ঝুলাতে বলা হয়েছে। অন্যথায় অসাধু ব্যবসায়ীদের ভ্রাম্যমান আদালতের আওতায় আনা হবে বলে জানান ইউএনও লামা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, আসন্ন রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যেভাবেই হোক রমজান মাসে আমাদের জিনিসপত্রের দাম যাতে আর না বাড়ে সে চেষ্টা করতে হবে। এ সময়ে বাজারে চিনি সহ কোন পণ্যের সংকট নেই। প্রশাসন দাম নির্ধারণ করে দিলেও বাজারে সেটা কার্যকর হচ্ছে না। এজন্য আমাদের মনিটরিং আরও বাড়াতে হবে। ভোক্তা সাধারণের অধিকার ক্ষুন্ন করা হলে ছাড় দেয়া হবে না।