নানিয়ারচরে ৯০ দুঃস্থ পরিবার, ৯০জন দরিদ্র ও প্রতিবন্ধীর মাঝে অনুদান প্রদান
উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে নৌকা ছাড়া কোন বিকল্প নেই: দীপংকর তালুকদার
॥ তুফান চাকমা, নানিয়ারচর ॥
দীপংকর তালুকদার এমপি বলেছেন, পার্বত্য অঞ্চলে যে উন্নয়নের জোয়ার বইছে তা একমাত্র আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে হচ্ছে। ইতিপূর্বে অনেক সরকার পেয়েছি কিন্তু পার্বত্য অঞ্চলে উন্নয়ন হয়েছে বলে মনে হয় না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্যবাসীর প্রতি অনেক আন্তরিক বিধায় আজকে পাহাড়ে আমরা উন্নয়ন করতে পারছি। এই উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে নৌকা ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সকালে বাংলাদেশ জাতীয় সমাজ কল্যাণ পরিষদ কর্তৃক রাঙ্গামাটির নানিয়ারচরে দুস্থ পরিবারকে অনুদান ও শিক্ষা সামগ্রী প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এস কথা বলেন।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সকালে উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রগতি চাকমার সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কীত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙ্গামাটি সাংসদ দীপংকর তালুকদার, এমপি। এসময় অন্যান্যদের মাঝে রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ সদস্য ইলিপন চাকমা, সাবেক সদস্য ত্রিদিব কান্তি দাস, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান হাওলাদার, জেলা সমাজসেবা উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ওমর ফারুক, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আব্দুল ওহাব হাওলাদার, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক অ্যাড: দর্শন চাকমা ঝন্টু, প্রিয়তোষ দত্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক, ঝিল্লোর মজুমদার, জনতা শেখর চাকমা সহ সুবিধাভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কারণে প্রত্যন্ত অঞ্চলে রাস্তাঘাট উন্নয়ন হচ্ছে, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ যাওয়ার সম্ভাবনা নেই সেখানে সোলার সিস্টেমের মাধ্যমে বিদ্যুতায়িত হচ্ছে। অনেক স্কুল-কলেজ এবং প্রত্যক উপজেলায় একটি করে কলেজ জাতীয়করণ করেছে সরকার। এছাড়াও প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হবে। এমপি আরো বলেন, শতভাগ নিশ্চিত যে নানিয়ারচর হতে লংগদু, লংগদু থেকে বাঘাইছড়ি পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ করা হবে। এতে করে চাষীদের মাঝে ভাগ্য খুলে যাবে। তাদের উৎপাদীত পণ্য গুলো ন্যায্য দামে বিক্রি করতে পারবে।
পরে প্রধান অতিথি ৯০টি দুঃস্থ দরিদ্র পরিবার ও ৯০জন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া দরিদ্র-মেধাবী-প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মাঝে এককালীন অনুদান এবং ৫৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরকারি ল্যাপটপ বিতরণ করেন।