বান্দরবানের থানচি মডেল থানা উদ্বোধনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন হচ্ছে, কাউকে বাদ দিয়ে দেশ গড়ার চিন্তা নেই
॥ বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি ॥
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি খুবই সুন্দর তিনটি জেলায় ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করা হচ্ছে। উন্নয়নের সঙ্গে এ অঞ্চলের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হচ্ছে। পাহাড়ের উন্নয়ন এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সমান গুরুত্ব দিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে নানামুখী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে বান্দরবানের দূর্গম থানচি উপজেলায় নির্মিত মডেল থানা ভবনের উদ্বোধনকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, এমপি স্থানীয় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এ সময় বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) ড. বেনজীর আহমেদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, বান্দরবান জেলা প্রশাসক মোঃ দাউদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার জেরিন আখতারসহ বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তাসহ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ইতোমধ্যে মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্ত সড়ক নির্মাণের কাজও চলমান রয়েছে। সীমান্ত সড়ক বাস্তবায়িত হলে এ অঞ্চলে উন্নয়ন এবং বিনিয়োগ আরও বেড়ে যাবে। পাহাড়ের উন্নয়ন এবং নিরাপত্তায় করণীয় সব ব্যবস্থায় গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, সীমান্ত নিরাপত্তায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে নাইক্ষ্যংছড়ি এবং থানচি উপজেলায় সীমান্ত সড়ক নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের স্বার্থে থানচি-লিইক্রে সীমান্তর সড়ক নির্মাণের কাজও শুরু হয়েছে। তিনি পার্বত্যাঞ্চলের নিরাপত্তায় যা যা করা দরকার সবকিছুই করা হবে। সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা হচ্ছে। যাতে পার্বত্য অঞ্চল তথা সীমান্ত আরও বেশি নিরাপদ ও সুরক্ষিত করা যায়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন হচ্ছে, সমস্যাগুলো দূরীকরণ হচ্ছে, কাউকে বাদ দিয়ে দেশ গড়ার চিন্তা নেই, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সীমান্ত রক্ষা এবং সীমান্ত আরো নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য দূর্গম থানচি থেকে লিক্রী পর্যন্ত সীমান্ত সড়ক নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে, আর এই সীমান্ত সড়কের কাজ শেষ হলে বান্দরবানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো ভালো হবে এবং তিন পার্বত্য জেলা পর্যটন শিল্পে আরো এগিয়ে যাবে। পরে নির্মাণাধীন সীমান্ত সড়কের বাগলাই নামক ৪ কিলোমিটার স্থান পরিদর্শন করেন। মন্ত্রী রাতে বেসরকারি রিসোর্টে রাত্রীযাপন করবেন। শুক্রবার থানচির দূর্গম রেমাক্রী এলাকা পরিদর্শন করে বান্দরবান ত্যাগ করবেন। এর আগে সকালে মন্ত্রী হেলিকপ্টারযোগে ঢাকা থেকে বান্দরবানের থানচি এসে পৌঁছান। পরে মন্ত্রীসহ অতিথিরা থানা ভবনের সামনে বৃক্ষরোপণ করেন। পরে স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।
উল্লেখ্য যে, গণপূর্ত বিভাগ (পিডব্লিউডি) ও স্থাপত্য অধিদফতরের বাস্তবায়নে এবং বাংলাদেশ পুলিশের সার্বিক সহযোগিতায় ৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত চারতলা বিশিষ্ট থানচি মডেল থানা নির্মাণ করা হয়।