[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
সীমান্তে পুশইন ও চোরাচালান ঠেকাতে তৎপর রয়েছে বাঘাইহাট বিজিবিলংগদু উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজিবির টহল জোরদার: লে. কর্ণেল নাহিদ হাসানরাঙ্গামাটিতে বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় যুবক আটকপুশইন ও চামড়া পাচার রোধে রামগড় ৪৩ বিজিবির নিরাপত্তা জোরদাররাজস্থলীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালনচামড়া পাচার ও সীমান্ত দিয়ে পুশইন ঠেকাতে বিজিবি টহল বাড়িয়েছেমাটিরাঙ্গা সেনা জোন কর্তৃক ঈদ উপহার ও মানবিক সহায়তা প্রদানউন্নয়ন কর্মকান্ডে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীদের প্রশ্রয় দেওয়া হবে না: বিজিবি রাজনগর জোন কমান্ডারবান্দরবানের লামা হাসপাতালে প্রথম সাপে কামড়ানো রোগীকে বাঁচালো চিকিৎসকদুর্যোগকালীন ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১০আরই ব্যাটালিয়নের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

লামায় প্রধান শিক্ষকের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

৯৩

॥ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ॥

বান্দরবানের লামার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে “হারগাজা উচ্চ বিদ্যালয়” এর প্রধান শিক্ষক মোঃ রুহুল আমিনের উপর সস্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে প্রাক্তন শিক্ষার্থী, অভিভাবক, এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৬ মার্চ ) বিকাল ৪টায় স্কুল প্রাঙ্গনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় মানববন্ধন থেকে হামলাকারী নুরুল ইসলাম প্রকাশ কালু সোনা সহ সকল হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করার জোর দাবী জানায় এলাকাবাসী।

জানা যায়, স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার সময় গত ৪ মার্চ শনিবার লামা উপজেলার হারগাজা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রুহুল আমিনের ওপর সন্ত্রাসী হামলা করা হয়। ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের পাগলির আগাস্থ মঞ্জুরের বাগানের পাশের রাস্তার উপর এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনা নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে কিংবা মামলা করলে প্রধান শিক্ষক ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে হত্যা করে লাশ গুম করারও হুমকি দিয়েছে অভিযুক্তরা।

এদিকে এ ঘটনায় ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা আরো ৫-৬ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় এজাহার দাখিল করেছেন প্রধান শিক্ষক মোঃ রুহুল আমিন। অভিযুক্তরা হল, হারগাজা গ্রামের বাসিন্দা মৃত কবির আহমদের ছেলে নুরুল ইসলাম প্রকাশ কালা সোনা (৩৫), চকরিয়া উপজেলার ডুলহাজারা ইউনিয়নের বৈরাগিরখিল গ্রামের বাসিন্দা মৃত মোঃ ইসমাইলের ছেলে হুমায়ুন কবির (৩২) ও নতুন পাড়ার মৃত কবির আহমদের ছেলে ছৈয়দ নুর (৪৬), সাশুল আলম (৫০) ও নুরুল হুদা (৪৬), হারগাজা প্রামের বাসিন্দা মৃত শফিকুর রহমানের ছেলে শহিদুল ইসলাম বাবুল (৩০) ও নুরুল ইসলামের ছেলে কবির আহাম্মদ (৩৮)।

মামলা সূত্রে জানা যায়, হারগাজা গ্রামের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম বাবুল ও প্রধান শিক্ষক মোঃ রুহুল আমিনের মধ্যে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধের জের ধরে শহিদুল ইসলাম বাবুলের নেতৃত্বে শিক্ষক মোঃ রুহুল আমিনের ওপর আগেও বিভিন্ন সময় হামলা ও ভয়ভীতি দেখায়। সর্বশেষ শুক্রবার দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শিক্ষক রুহুল আমিনের ওপর হামলা করে।

এ সময় প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিনকে মারধরের পাশাপাশি স্কুলের নামে ব্যাংকে এফডিআরের জন্য রাখা ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং মোটর সাইকেল ভাংচুর করে। পরে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে এগিয়ে গেলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। প্রধান শিক্ষক মোঃ রুহুল আমিন বলেন, জেলা প্রশাসক মহোদয় কর্তৃক ট্যালেন্ট হান্ট প্রতিযোগিতার বিষয়ে শুক্রবার সকালে স্কুলে যাই। কাজ শেষে মোটর সাইকেল চড়ে বাড়ি ফেরার পথে অভিযুক্তরা আমার মোটর সাইকেলের গতি রোধ করে হামলা চালায়। এতে আমি আহত হই।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম প্রকাশ কালা সোনা বলেন, প্রধান শিক্ষক মোঃ রুহুল আমিন আমার জমির উপর দিয়ে তার ধানের জমিতে সেচের পানি পরিবহন করে আসছেন। এতে আমি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বাধা দিলে প্রধান শিক্ষকের সাথে আমার তর্কবিতর্ক হয়।