॥ চাইথোয়াই মারমা, খাগড়াছড়ি ॥
খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও হাসপাতালে জনবল সংকট বিরাজ করছে। জেলা সদর থেকে প্রায় ৫০কিলোমিটার দূরে এ উপজেলার এক লক্ষ জনগনের জন্য রয়েছে ১০ শয্যাবিশিষ্ট একটিমাত্র সরকারি এ হাসপাতাল। ৫০ শয্যার অবকাঠামোর সকল সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হলেও এখনও চলছে ১০ শয্যার জনবল দিয়ে। জনবল সংকটের কারনে উপজেলার অসুস্থ মানুষ সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মানিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বর্তমানে অবকাঠামো ৫০শয্যার উন্নিত করা হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে এখানে শতাধিক রোগী আউটডোরে চিকিৎসা নিতে আসেন। হাসপাতালের বেডগুলোও থাকে পরিপূর্ণ, অনেককেই আবার বেড খালি না থাকার কারনে ফ্লোরে জায়গা করে নিয়ে সেবা নিচ্ছে। এতে করে চিকিৎসকদের চিকিৎসা সেবা দিতে বেগ পেতে হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একাধিক রোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চিকিৎসক আসেন তরিঘরি করে আবার চলেও যান, তাঁরা বেশি সময় দিতে পারে না, একজনের কাছে আসলে আরেক জনের কাছে যেতে পারেন না।
লক্ষাধিক জনসংখ্যা অত্যন্ত দুর্গম অধ্যুষিত মানিকছড়ি উপজেলার জনগণের একমাত্র ভরসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিকে ঘিরে। এর পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী উপজেলা ফটিকছড়ি, লক্ষ্মীছড়ি, গুইমারা ও রামগড়ের রোগীরা এসে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করায় অতিরিক্ত চাপ সামাল দিতে হচ্ছে চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকর্মচারীদের। এর মধ্যেও একতৃতীয়াংশ জনবল কম নিয়ে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ছোঁয়ায় পাল্টে গেছে হাসপাতালটির দৃশ্যপট। অত্যাধুনিক ৪তলা বিশিষ্ট প্রশাসনিক ভবন। সরকারি এম্বুলেন্স ও আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা থাকলেও জনবল সংকটের কারনে অনেক ক্ষেত্রে রোগীরা তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। পর্যাপ্ত পরিমানে জনবল সংকট থাকলেও রাতদিন চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে চিকিৎসক ও নার্সরা। পাশাপাশি দশ জনের খাবার ৪০ থেকে ৫০জনের মধ্যে সরবরাহ করায় রোগীরা তাদের কাঙ্খিত খাদ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
এ বিষয়ে মানিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: রতন খীসা জানান, অচিরেই ৫০শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হবে। এ উপজেলায় রয়েছে চারটি ইউনিয়ন। জনবল সংকট থাকলেও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে চিকিৎসাসেবা দিতে হচ্ছে এ চিকিৎসকদেরই। ফলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা রোগীদেরও স্বাভাবিক চিকিৎসাসেবা দিতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে।