[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
বান্দরবানে ভিক্ষু ড. এফ দীপংকর মহাথের হত্যা, বৌদ্ধরা কি অসহায় ?পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনী ও বিজিবি’র মানবিক কর্মকান্ডে অসহায়রা সেখানেই সুখের খোঁজাখুজি করেপাহাড়ের সময় এর মানবিক প্রতিষ্ঠান পিছিয়েপড়া অসহায়, দরিদ্রদের শিক্ষা, সাংস্কৃতির কল্যাণ সরসী “তেঁতুলপাতা”জনসেবার মানসিকতা ছাড়া সরকারি চাকরি অর্থহীন: সুপ্রদীপ চাকমাআমরা দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নতিতে শরিক হতে চাই- পার্বত্য উপদেষ্টারাঙ্গামাটিতে শিক্ষার মানোন্নয়নে অ্যাকটিভ সিটিজেন গ্রুপ (এসিজি) গঠিতপার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বাস্তবায়নকৃত পানছড়ি বাস টার্মিনাল অব্যবহৃতবাঘাইহাটে বিজিবি কর্তৃক ‘‘মৎস্য সপ্তাহ-২০২৫ উদযাপনরামগড় উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিত সভা অনুষ্ঠিতরাবিপ্রবিতে শিক্ষকদের রিচার্জ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

লামায় ৪২ লক্ষ টাকার অবৈধ কাঠ জব্দ করেছে বনবিভাগ

১২৭

॥ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ॥

বনজদ্রব্যের অবৈধ পাচার প্রতিরোধে লামা বন বিভাগ অভিযান জোরদারসহ বিশেষ নজরদারী শুরু করেছে। গত ৪ মাসে লামা বন বিভাগের সদর ও ডলুছড়ি ২টি রেঞ্জের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৬৯৫ ঘনফুট সেগুন সহ মূল্যবান কাঠ, ১৩ হাজার ৫০ ঘনফুট জ্বালানী লাকড়ি ও ১১০ টুকরা বল্লী জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া কাঠ পাচারে ব্যবহৃত ৪টি ট্রাক ও পিকআপ আটক করা হয়।

লামা সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ আতিকুল ইসলাম জানান, স্টাফ ও সরকারী যানবাহন স্বল্পতা সত্ত্বেও লামা বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ আরিফুল হক বেলাল এর নির্দেশে বনজদ্রব্য পাচার প্রতিরোধে অভিযান জোড়দার করা হয়েছে। ইতিমধ্যে গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকটি সফল অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে ১৪৫৫ ঘনফুট কাঠ (যার বাজারমূল্য ১৪ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা), জ্বালানী লাকড়ি ৫৫০ ঘনফুট (যার বাজার মূল্য ১ লক্ষ টাকা) ও ১১০ টুকরা বল্লী (যার বাজার মূল্য ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা)। পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় কিছু কিছু স্পর্শকাতর এলাকায় সেনাবাহিনীর সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অবৈধ কাঠ পাচারের সাথে জড়িত এমন কয়েকজনের নামে পিওআর মামলা দেয়া হয়েছে।

ডলুছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল ইসলাম জানান, তিনি সদ্য এই রেঞ্জে যোগদান করে। গত ১ মাসে তার নেতৃত্বে ১টি গাড়ি সহ ৪০ টুকরা সেগুন কাঠ (বাজার মূল্য ৫০ হাজার টাকা) ও ৯ হাজার ৫শত ঘনফুট লাকড়ি (যার বাজার মূল্য আনুমানিক ১৭ লক্ষ টাকা) জব্দ করেন। গত কয়েক মাসে এই রেঞ্জে ২শত ঘনফুট কাঠ (যার বাজার মূল্য ২ লক্ষ টাকা) ও ৩ হাজার ঘনফুট জ্বালানী লাকড়ি (যার বাজার মূল্য আনুমানিক ৫ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা) জব্দ করা হয়েছে।

লামা বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ আরিফুল হক বেলাল বলেন, অবৈধ কাঠ পাচারের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা করা হয়েছে। অবৈধ কাঠ ও লাকড়ি পাচার রোধে আমাদের অভিযান চলমান থাকবে। বন অপরাধ দমনে তিনি সবাইকে সচেতন হওয়ার অনুরোধ করেন এবং লামা বন বিভাগকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।

তিনি আরো বলেন, আমরা ইতিমধ্যে লামার সকল ইটভাটা গুলোতে বনের কাঠ না পুড়াতে চিঠি দিয়েছি। কেউ আইন অমান্য করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাশাপাশি তামাক চুল্লী গুলোতে বনের কাঠ না পুড়াতে আমরা সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। সদর ও ডলুছড়ি ২টি রেঞ্জের গত কয়েক মাসে আটক ১৬৯৫ ঘনফুট মূল্যবান কাঠ, ১৩ হাজার ৫০ ঘনফুট জ্বালানী লাকড়ি ও ১১০ টুকরা বল্লীর আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৪১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা।