[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
বান্দরবানের আলীকদমে রোহিঙ্গাদের ভোটার জালিয়াতিতে জনপ্রতিনিধি জড়িতবিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্লিপ্ততায় সাম্য হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছেঅপরিকল্পিত সার ও বালাইনাশকের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে কৃষি কাজেরাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের পক্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইঞ্জিন বোট প্রদানকিছু উগ্র দলের মানুষ পাহাড়ে দাঙ্গা বাধানোর জন্য উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেবান্দরবানের রোয়াংছড়িতে কৃষিকদের পার্টনার কংগ্রেস সেমিনার অনুষ্ঠিতরাঙ্গামাটির রাজস্থলীতে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের আলোচনা সভাখাগড়াছড়ির গুইমারায় ৫ কেজি গাঁজাসহ গ্রেপ্তার- ১খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় নদী ভাঙ্গনে ঝুঁকিতে অন্তত ৪০ পরিবাররাঙ্গামাটির লংগদুতে বিজিবির অভিযানে সেগুন কাঠ জব্ধ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

মহালছড়িতে বিপুল পরিমাণ গাঁজা ক্ষেত ধ্বংস করেছে সেনাবাহিনী

৫১

॥ মহালছড়ি উপজেলা প্রতিনিধি ॥

খাগড়াছড়ির মহালছড়ি সেনা জোনের অধীনে বিজিতলা সাবজোনের সেনাবাহিনীরা অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ গাঁজা ধ্বংস করেছে। শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) ভোর ৬ টা হতে সারাদিন ব্যাপী ধৈল্লাপাড়া এলাকায় অভিযান চালায় সেনাবাহিনীর টহল দল। সারাদিনের অভিযানে আনুমানিক ৮০ থেকে ১শ বিঘা জমির গাঁজা ক্ষেত এর সন্ধান পায়। গোয়েন্দা তথ্য সৃুত্রে জানা যায়, দূর্গম পাহাড়ে গাঁজার চাষ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে তা সরবরাহ করে থাকে মাদক ব্যবসায়ীরা। উদ্ধারকৃত গাঁজা একত্রে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

সুত্রটি আরো জানায়, গহীন অরন্য ও দূর্গম পাহাড়ি এলাকায় যেখানে তুলনামূলক জনবসতি কম সে সকল জায়গায় মাদক ব্যবসায়ীরা নিরাপদ এলাকা হিসাবে বেছে নেয়। আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলোর সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা, অস্ত্র ক্রয় ও তাদের বেতন ভাতাসহ অন্যান্য প্রশাসনিক কাজে মাদক ব্যবসা থেকে অর্জিত অর্থ ব্যয় করা হয়ে থাকে। ধৈল্লাপাড়া এলাকাটি প্রত্যন্ত ও দুর্গম হওয়ায় এই এলাকায় জনসাধারনের চলাচল নেই বললেই চলে। গাঁজা ক্ষেতের সন্ধান পাওয়ার পরপরই মহালছড়ি জোনের সেনাবাহিনীর একটি টিম গাঁজা ক্ষেত ধ্বংস করে আনুমানিক ১২শ থেকে ১৫শ কেজি গাঁজা পুড়িয়ে দেয়। ঘটনাস্থলে তখন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসের কর্মকর্তা নাসির ফেরদৌস সহ তার একটি টিম ও স্থানীয় থানার পুলিশ সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তবে, গাঁজা চাষের সাথে যুক্ত কাউকে আটক করা যায়নি। গোয়েন্দা তথ্য জানা যায়, সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সহযোগিতায় ধৈল্লাপাড়ার স্থানীয় কারবারি রবি চাকমা ধ্বংসকৃত এই গাঁজা ক্ষেতের চাষ করে যাচ্ছিলেন। সেনাবাহিনীর উপস্থিতি বুঝতে পেরে তিনি আগেই পালিয়ে যান।

টহল টিমের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, মহালছড়ি সেনাবাহিনী সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার পাশাপাশি জনসাধারণের জীবনযাত্রার মান এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করে আসছে। মহালছড়ি সেনা জোনের এরুপ কার্যক্রম সন্ত্রাসীদের বিভিন্ন প্রকার মাদকের চাষ বন্ধ এবং মাদক নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।