শালিসকারীদেরও আইনের আওতায় আনার দাবি
বিচারহীনতার সংস্কৃতি একের পর এক ধর্ষকের জন্ম দিচ্ছে
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
বিচারহীনতার সংস্কৃতি একের পর এক ধর্ষকের জন্ম দিচ্ছে, অন্যদিকে আওয়ামীলীগ নেতারা গ্রাম্য শালিস বসিয়ে ধর্ষনের বৈধতা দিতে ঘৃন্য তৎপরতা চালাচ্ছে। তাদের এই ইন্ধনে ধর্ষকদের আরো উৎসাহিত করছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি রাঙ্গামাটি জেলা কমিটির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য ও কেন্দ্রীয় সংগঠক জুঁই চাকমা। বুধবার (৩০সেপ্টেম্বর) সকালে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের দক্ষিণ গেইট সংলগ্ন স্থানে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার ফাউন্ডেশন (মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা) বিএনএএফ রাঙ্গামাটি জেলা কমিটির সভাপতি আব্দুল মান্নান রানা। সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড রাঙ্গামাটি জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক সৈকত রঞ্জন চৌধুরী, ব্লাস্ট রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি এডভোকেট মিলন চাকমা ও চারুকলা একাডেমির প্রতিষ্টাতা ও অধ্যক্ষ রতিকান্ত তঞ্চঙ্গ্যা। বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক নির্মল বড়ুয়া মিলন। এসময় জেলার প্রগতিশীল নারী পুরষসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে জুঁই চাকমা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আওয়ামীলীগ নেতারা গ্রাম্য শালিস বসিয়ে ধর্ষনের বৈধতা দিতে এবং ঘটনা ধামাচাপা দিতে ঘৃন্য তৎপরতা চালাচ্ছে। তাদের এই ইন্ধন ধর্ষকদের আরো উৎসাহিত করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির সাথে শালিসকারীদেরও আইনের আওতায় আনার দাবি জানান এবং পাহাড় থেকে সমতলে সকল ধর্ষন ঘটনার সুষ্টু বিচার দাবি করেন। তদন্ত কমিটির নামে মেহনতি মানুষের ইজ্জত নিয়ে টানাটানি না করারও আহ্বান জানান।
এসময় বক্তারা বলেন, তিন পার্বত্য জেলাসহ সমগ্র বাংলাদেশের নারী ও শিশু ধর্ষণ ও সকল সহিংসতা বন্ধ করার আহ্বান জানান। বক্তারা বলেন, দেশে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠাসহ ধর্ষকদের শাস্তির নিশ্চিত করতে হবে।