মানিকছড়িতে শিক্ষক দিবস : উপস্থিত ছিলেন না প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক
॥ মোঃ ইসমাইল হোসেন, মানিকছড়ি ॥
প্রথমবারের মত বাংলাদেশে ‘শিক্ষক দিবস’ পালন করার ঘোষণা করেছে সরকার এবং দিবসটি পালন করার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনার আলোকে সারাদেশের ন্যায় খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতেও বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শিক্ষক দিবস-২০২২ উদযাপন করা হয়েছে। তবে মানিকছড়িতে শিক্ষক দিবসে উপস্থিত ছিলেন না কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোন শিক্ষক। এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন শিক্ষক মহল।
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সকালে “শিক্ষকের হাত ধরেই শিক্ষা ব্যবস্থার রূপান্তর শুরু” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে উপজেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, মাদরাসা, কিন্ডান গার্টেনে কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অংশগ্রহণে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সামনে থেকে র্যালি বের হয়ে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়ক প্রদক্ষিণ করে মানিকছড়ি গিরি মৈত্রি সরকারি ডিগ্রী কলেজ প্রাঙ্গনে গিয়ে শেষ হয়। পরে কলেজ মিলনায়তনে বড়ডলু উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ বশির আহম্মেদ’র সঞ্চালনা আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন, কলেজের অধ্যক্ষ মংচাইঞো মারমা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ লিয়াকত আলী। সভায় বক্তব্য রাখেন, রানী নিহার দেবী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অজিত কুমার নাথ, যোগ্যাছোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এম কে আজাদ, দক্ষিণ চেংগুছড়া নেছারিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা বেলাল উদ্দিন, বাটনাতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শহীদুল ইসলাম মোহন।
এ সময় বক্তারা বলেন, একজন শিক্ষক হয়তো অর্থ বা ক্ষমতার দিক দিয়ে বড় কেউ নন, তবে মহত্ব ও মর্যাদার দিক থেকে সবার উপরে অবস্থান। একজন ছাত্রকে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার মূল কারিগর কিন্তু শিক্ষকরাই। আমরা ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে যে শ্রদ্ধা, ভক্তি আর ভালোবাসা পাই যা অন্যরা পায় না। তাই আমরা গর্বিত। সেই সাথে শিক্ষক দিবসেরও সফলতা কামনা করেন তারা। তবে মানিকছড়ি উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা উক্ত দিবসে না থাকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন বক্তারা বলেন, তারা উপস্থিত থাকলে উক্ত অনুষ্ঠান আরো সুন্দর হতো। তাছাড়া কেন প্রাইমারি শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন না, তাও তাদের জানান নেই।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ লিয়াকত আলী জানান, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি (শিক্ষক দিবস) জানানো হয়েছে। কিন্তু তারা কেন উপস্থিত ছিলেন না, সেটা জানি না।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে কোনো চিঠি (নির্দেশনা) না পাওয়ায় কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ‘শিক্ষক দিবস’ এ উপস্থিত ছিলেন না বলে জানিয়েছেন মানিকছড়ি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জবরুত খান।