[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
সীমান্তে পুশইন ও চোরাচালান ঠেকাতে তৎপর রয়েছে বাঘাইহাট বিজিবিলংগদু উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজিবির টহল জোরদার: লে. কর্ণেল নাহিদ হাসানরাঙ্গামাটিতে বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় যুবক আটকপুশইন ও চামড়া পাচার রোধে রামগড় ৪৩ বিজিবির নিরাপত্তা জোরদাররাজস্থলীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালনচামড়া পাচার ও সীমান্ত দিয়ে পুশইন ঠেকাতে বিজিবি টহল বাড়িয়েছেমাটিরাঙ্গা সেনা জোন কর্তৃক ঈদ উপহার ও মানবিক সহায়তা প্রদানউন্নয়ন কর্মকান্ডে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীদের প্রশ্রয় দেওয়া হবে না: বিজিবি রাজনগর জোন কমান্ডারবান্দরবানের লামা হাসপাতালে প্রথম সাপে কামড়ানো রোগীকে বাঁচালো চিকিৎসকদুর্যোগকালীন ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১০আরই ব্যাটালিয়নের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তির নিশ্চিত করতে হবে

খাগড়াছড়িতে গণধর্ষণকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সাজেকে বিক্ষোভ সমাবেশ

৬৩

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥

খাগড়াছড়ি সদরের বলপিয়ে আদামে পাহাড়ি নারীকে গণধর্ষণ ও বাড়িতে লুটপাটে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে সাজেকে। মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় সাজেকের বাইবাছড়া স্কুল মাঠে গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, সাজেক সচেতন নারী সমাজ ও সাজেক এলাকাবাসীর যৌথ ব্যানারে এই বিক্ষোভ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে কমন চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সাজেক শাখার সাধারণ সম্পাদক কালো বরণ চাকমা, সাজেক ভূমি রক্ষা কমিটির সদস্য শুদ্ধজয় চাকমা, সাজেক সচেতন নারী সমাজের সদস্য তাপসি চাকমা ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাজেক শাখার সভাপতি রূপায়ন চাকমা প্রমুখ।

বক্তারা খাগড়াছড়ি সদরে গণধর্ষণ ও লুটপাটের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বলেন, কতটা বর্বর হলে ৯ জন মিলে একজন অসহায় নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করতে পারে? এই ঘটনা প্রমাণ করে সেটেলার বাঙালিরা সরকার কর্তৃক যুগ যুগ ধরে রেশন ভোগ করে পার্বত্য চট্টগ্রামে কী জঘন্য অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে। তারা নারী ধর্ষণ, ভূমি বেদখল, সাম্প্রদায়িক হামলাসহ পাহাড়িদের উপর নানা অত্যাচার চালাচ্ছে।

বক্তারা আরো বলেন, পুলিশ গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ৭ জনকে গ্রেফতার করলেও বাকী ২ জনকে এখনো গ্রেফতার করেনি। অবিলম্বে পলাতক দুইজন অপরাধীকেও গ্রেফতার করতে হবে। পুলিশের ভাষ্যমতে গ্রেফতারকৃতরা অতীতেও বহু অপরাধে জড়িত ছিল, জেল থেকে জামিনে মুক্ত হয়েই তারা এই গণধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছে। তাই অপরাধীদের শুধু গ্রেফতার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদায় করলে হবে না, তাদের যাতে দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তির নিশ্চিত করতে হবে। বক্তারা আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি নারীর উপর যে নিপীড়ন-নির্যাতন চলছে তা সরকারের কর্তাব্যক্তিরা কোন কথা বলেন না। অথচ তারা সিলেটে সংঘটিত গণধর্ষণ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির কথা বলছেন।

সমাবেশ থেকে বক্তারা খাগড়াছড়ির বলপিয়ে আদামে সংঘটিত গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান। একই সাথে তারা পার্বত্য চট্টগ্রামে এ যাবত ঘটে যাওয়া নারী ধর্ষণের ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার এবং পাহাড় ও সমতলে নারী-শিশু ধর্ষণ, নির্যাতন বন্ধের জোর দাবি জানিয়েছেন।

ই-পিসি/আর