[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
বান্দরবানের আলীকদমে রোহিঙ্গাদের ভোটার জালিয়াতিতে জনপ্রতিনিধি জড়িতবিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্লিপ্ততায় সাম্য হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছেঅপরিকল্পিত সার ও বালাইনাশকের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে কৃষি কাজেরাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের পক্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইঞ্জিন বোট প্রদানকিছু উগ্র দলের মানুষ পাহাড়ে দাঙ্গা বাধানোর জন্য উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেবান্দরবানের রোয়াংছড়িতে কৃষিকদের পার্টনার কংগ্রেস সেমিনার অনুষ্ঠিতরাঙ্গামাটির রাজস্থলীতে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের আলোচনা সভাখাগড়াছড়ির গুইমারায় ৫ কেজি গাঁজাসহ গ্রেপ্তার- ১খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় নদী ভাঙ্গনে ঝুঁকিতে অন্তত ৪০ পরিবাররাঙ্গামাটির লংগদুতে বিজিবির অভিযানে সেগুন কাঠ জব্ধ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

নানিয়ারচরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ড্রেজার মেশিন জব্দ

৯৮

॥ তুফান চাকমা, নানিয়ারচর ॥

রাঙ্গামাটির নানিয়ারচরে চেঙ্গী নদী থেকে থেকে অবৈধ ভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করার অভিযোগে একটি ড্রেজার মেশিন জব্দ করেছে নানিয়ারচর থানার পুলিশ। মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) সকালে নানিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফজলুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও আনসার সদস্যদের নিয়ে উপজেলার বুড়িঘাট ইউনিয়নের মংখোলা ও নিচ পুলিপাড়ায় মোবাইল কোর্ট অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ঘটানাস্থল থেকে একটি ড্রেজার মেশিন জব্দ করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিগত কয়েক বছর ধরে অত্র এলাকায় চেঙ্গী নদীতে ড্রেজার মেশিন নিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন চলছে। এতে নদী ভাঙ্গন সহ পাহাড় ধ্বসের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে। নদী ভাঙ্গনের ফলে নদীতে মাছের সংখ্যা দিন দিন কমে আসছে বলে অনেকেই অভিযোগ তুলেছে।

এবিষয়ে ইউএনও মোঃ ফজলুর রহমান বলেন, পরিবেশ ও সম্পদ রক্ষায় আমাদের সবাইকে সর্বদা সচেষ্ট থাকতে হবে। নানিয়ারচরে আমার কর্মরত এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন কারীদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

নানিয়ারচর থানার ওসি সুজন হালদার জানান, অবাধে বালু উত্তোলনের ফলে নদী ও বসত-বাড়ির পরিবেশ ও জীব-বৈচিত্র্যর হুমকির মুখে পড়তে পারে। নদী থেকে নিয়মবহির্ভূত বালু উত্তোলন করার কারনে পরিবেশ ক্ষতি হচ্ছে। ড্রেজারের নির্গত পোড়া মবিল ও তেলের কারনে জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণিজ সম্পদ বিলুপ্তপ্রায়। আগের মতো এখন আর নদীতে মাছ পাওয়া যায়না। এতে জেলেদের জীবন হুমকিস্বরূপ হতে চলেছে। এছাড়াও নদীর ভাঙনের মুখে পড়ে পতিত জমি নষ্ট হওয়ার মূখে পাহাড়ি ঝরনা থেকে প্রবাহমান হওয়ায় জলবায়ুর ক্রমাগত পরিবর্তন। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারনে নদীর স্বাভাবিক গতি হারিয়ে যাচ্ছে। নানিয়ারচর থানা অবৈধ বালুউত্তোলন কারীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষনা করে আসছে।

উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ নুরুজ্জামান হাওলাদার বলেন, ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন কাপ্তাই নদীর তলদেশ থেকে উঠানোর জন্য সরকারি কোনো আদেশ বা কোনো নিয়ম নেই। এছাড়া ড্রেজার থেকে নির্গত মবিল নদীর পানিতে মিশে মাছ ও জলজ প্রাণির ক্ষতি হচ্ছে। নদীর তলদেশ থেকে পাথর উত্তোলনের ফলে নিচের মাটি সরে যাচ্ছে। বালুমহালে আইন ও বিধিবহির্ভূত কর্মকান্ড বন্ধে বাংলাদেশ পরিবেশ আইন রয়েছে। নানিয়ারচরে কাপ্তাই হৃদ থেকে কেউ বালু উত্তোলন করলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।