মানিকছড়িতে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে জনভোগান্তি চরমে
॥ মোঃ ইসমাইল হোসেন, মানিকছড়ি ॥
ঘনঘন লোডশেডিং আর অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল আদায়ের অভিযোগ মানিকছড়ি বিদ্যুৎ অফিসের বহু পুরোনো। তবে সম্প্রতি মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিং এর কারণে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে মানিকছড়ি ও লক্ষীছড়ি উপজেলার ৮ সহস্রাধিক গ্রাহকের।
প্রচণ্ড গরম আর ঘনঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে মানিকছড়ি উপজেলার ৭ হাজার ৫শ ও লক্ষছড়ি উপজেলার ১ হাজার ১শ ৫৮জন গ্রাহকসহ বিদ্যুতের আওতায় থাকা বাসিন্দারা। দিনেরাতে প্রায় ৮-১০ ঘণ্টাই বিদ্যুৎ থাকে না বলের অভিযোগ গ্রাহকদের। সেই সাথে বিঘ্নিত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা। এমন পরিস্থিতিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ দোকানপাটে বসে হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন গ্রাহকরা। তারা বলছেন, বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার কারণে ফ্রিজ, টিভি, ফ্যান, কম্পিউটার, বাতি নষ্ট হওয়ার মত ঘটনা নিত্যদিনের। সেই সাথে বর্ষা ও বজ্রপাতের শব্দ শুনতেই বিদ্যুৎ চলে যায়।
মানিকছড়ি উপজেলার বাটনাতলী ইউনিয়নের বাসিন্দারা জানান, দিনে কতবার যে কারেন্ট আসা-যাওয়া করে তার কোনো হিসেব নেই। তবে এ সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মানিকছড়ি বিদ্যুৎ অফিসের প্রতি দাবী জানিয়েছেন তারা।
মানিকছড়ি বাজার ব্যবসায়ী মোঃ ইমরান হোসেন বলেন, অতিরিক্ত লোডশেডিং আর প্রচণ্ড গরমে দোকানে বসে থাকাই মুশকিল। ঘনঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে মানুষের সীমাহীন দুর্ভোগ।
উপজেলা সদর এলাকার বাসিন্দা সুরমা আক্তার জানান, বেশ কয়েক দিন ধরে বিদ্যুৎ খুব বেশি আসা-যাওয়া করছে। সেই সাথে বাচ্চারাও গরমে পড়তে বসতে চায় কম। এত লোডশেডিং হওয়ার কারণটাও জানি না। দ্রুত যেন বিষয়টি সুরাহা করা হয় এমনটাই প্রত্যাশা তার।
মানিকছড়ি বাজার পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি রুপেন পাল বলছেন, এত বেশি লোডশেডিং হচ্ছে যে, ব্যবসায়ীরা খুবই চিন্তিত। বাজারের অনেক ব্যবসায়ী বিদ্যুতের উপর নির্ভরশীল। কারেন্ট না থাকলে তাদের কাজও বন্ধ থাকে। সেই সাথে অতিরিক্ত সময় ধরে বিদ্যুৎ না থাকার কারণে ফ্রীজে থাকা জিনিসও নষ্ট হচ্ছে। বিদ্যুতের সমস্যা সমাধান না হলে ব্যবসায়ীদের চরম ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।
মানিকছড়ি আবাসিক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মোঃ জিয়া উদ্দিন জানান, প্রতিদিন আমাদের প্রায় সাড়ে ৪ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন। কিন্তু বরাদ্ধের অনুকূলে আমরা পাই মাত্র ১-২.৫ মেগাওয়াট। গ্যাসের সমস্যার কারণে জাতীয় গ্রিডে সমস্যা চলছে। তাই আমরা পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ পাচ্ছি না। তবে প্রয়োজনীয় সময় গুলোতে যেন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যায়, সে জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যহত রয়েছে। পাশাপাশি আবহাওয়া ও কারিগরি দ্রুটির কারণে যেকোনো সময়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হতে পারে। এক্ষেত্রে আমাদের কোনো হাত নেই।