[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
বান্দরবানের থানচিতে ১৩মাস পর পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আংশিক প্রত্যাহারজিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে কাপ্তাইয়ে দুস্থদের মাঝে চাল বিতরণবান্দরবানে খুলে দেয়া হয়েছে লামা উপজেলার সকল রিসোর্টসীমান্তে পুশইন ও চোরাচালান ঠেকাতে তৎপর রয়েছে বাঘাইহাট বিজিবিলংগদু উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজিবির টহল জোরদার: লে. কর্ণেল নাহিদ হাসানরাঙ্গামাটিতে বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় যুবক আটকপুশইন ও চামড়া পাচার রোধে রামগড় ৪৩ বিজিবির নিরাপত্তা জোরদাররাজস্থলীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালনচামড়া পাচার ও সীমান্ত দিয়ে পুশইন ঠেকাতে বিজিবি টহল বাড়িয়েছেমাটিরাঙ্গা সেনা জোন কর্তৃক ঈদ উপহার ও মানবিক সহায়তা প্রদান
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

গর্ভবতী স্ত্রী ও যুবতীকে পশুর মত মারধর

দাদন ব্যবসায়ীর স্ত্রী-পুত্র কর্তৃক হামলার শিকার দিনমজুর আবুল

১০৯

॥ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ॥

লামায় সুদের টাকার ইস্যুকে কেন্দ্র করে দিনমজুর আবুল কালাম পরিবারের উপর দাদন ব্যবসায়ীর স্ত্রী সন্তান কর্তৃক দফায় দফায় হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় গুরুতর আহত দিনমজুর আবুল কালাম, তার গর্ভবর্তী স্ত্রী ফারজানা বেগম (৩৫) ও মেয়ে কাজলী আক্তার (১৭) লামা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। হামলার শিকার আবুল কালাম অভিযোগ করলে বিষয়টি নিয়ে বিরোধ মীমাংসায় বৃহস্পতিবার (০৬ অক্টোবর) উভয়পক্ষ লামা থানায় বৈঠকের কথা রয়েছে। এদিকে একই ঘটনায় প্রতিপক্ষের শিরিনা বেগম (৪৫) লামা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

দিনমজুর আবুল কালাম বলেন, পারিবারিক কাজে প্রয়োজন হওয়ায় প্রতিবেশী মোঃ সেলিম এর স্ত্রী শিরিনা বেগম এর কাছ থেকে সুদের উপর টাকা নিয়েছিলাম। অধিকাংশ টাকা পরিশোধ করেছি। অবশিষ্ট ৩০ হাজার টাকা দিতে দেরী হওয়ায় তাদের সাথে সম্পর্কের চির ধরে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে লামামুখ বাজারে স্থানীয় গণ্যমান্য লোকজন নিয়ে বৈঠকেও বসি। সেখানে নগদ ১৫ হাজার টাকা দিয়ে দিই এবং বাকী ১৫ হাজার টাকা আগামী ৩০শে ডিসেম্বর ২০০২ইং দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু তার আগেই গত ০৩ অক্টোবর সোমবার বিকেলে শিরিনা আক্তার টাকার বিষয়ে আমার বাড়িতে আসে এবং আমার স্ত্রীকে বকাবকি করতে থাকে। তর্কাতর্কির একপর্যায়ে শিরিনা বেগম ফোন দিলে তার তিন ছেলে জোবায়ের, সাইফুল ও শাহাদাৎ এসে আমাকে ও আমার গর্ভবতী স্ত্রীকে লাঠিসোটা দিয়ে মারধর করে। লাঠির আঘাতে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি। আমার মেয়েরা মাথায় পানি ঢালতে গেলে তারা তিন ভাই আমার যুবতী মেয়ে কাজলী আক্তারকে মেরে অজ্ঞান করে ফেলে এবং তার গায়ের কাপড় ছিঁড়ে ফেলে। তিন দিন ধরে আমার মেয়ে হাসপাতালে ভর্তি। এমনকি এলাকার লোকজন আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর জন্য রিকশায় তুলে দিলে আবার রিকশার উপর তারা হামলা করে।


সরজমিনে গেলে স্থানীয় জাকের হোসেনের ছেলে জোবায়ের হোসেন, মোঃ আবচার এর স্ত্রী নাজমা বেগম, রাজু মিয়ার স্ত্রী রাজেয়া বেগম ও মৃত দীলু মিয়া সরকার এর ছেলে সুলতান মিয়া (৮১) বলেন, মানুষ মানুষকে এইভাবে মারেনা। আবুল কালামের গর্ভবতী স্ত্রী ও যুবতী মেয়েটাকে পশুর মত মেরেছে সেলিমের ছেলে মোঃ জোবায়ের, মোঃ সাইফুল ও শাহাদাৎ। তিন দফায় তাদের উপর হামলা করেছে। ওই পরিবারের ছেলে গুলো উচ্ছৃঙ্খল। কথায় কথায় ওরা মানুষ পিটায়। সবসময় ওরা অঘটন করেই চলে। তাদের উচিৎ বিচার হওয়া দরকার।


এ বিষয়ে শিরিনা বেগম বলেন, আমাকে আবুল কালাম ও পরিবারের লোকজন হামলা করলে আমার ছেলেরা এসে আমাকে উদ্ধার করে। আমার টাকা না দিয়ে উল্টা আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে।

লামা থানা পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শিবেন বিশ্বাস বলেন, আবুল কালাম একটি অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে। উভয়পক্ষকে ডাকা হয়েছে।