[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
মানিকছড়িতে সেনাবাহিনীর বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ঔষধ প্রদানখাগড়াছড়িতে ছাত্রী ধর্ষণের দ্রুত বিচারের দাবীতে দীঘিনালায় বিক্ষোভকাপ্তাই হ্রদের পানি ১০৮ ফুট অতিক্রম করলে জলকপাট খুলে দেয়া হবেখাগড়াছড়ির রামগড় পৌরসভার সাবেক মেয়র রিপন গ্রেপ্তারকৃষিজাত পন্য উৎপাদনে ভালো স্থান পার্বত্য চট্টগ্রামে পতিত উঁচু নিচু ভুমিখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ৪জন নিহতের ঘটনা গুজব দাবী করল ইউপিডিএফপানছড়িতে বিডি ক্লিনের পরিচ্ছন্নতা উদ্যোগ প্রশংসনীয়রাজস্থলীতে ‘জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ অনুষ্ঠিতদীঘিনালায় জুলাই পুনজাগরণ বৈষম্যমুক্ত সমাজ গঠনের শপথখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় কফি ও কাজুবাদামের চারা বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

পরিকল্পিত ভাবে দুষ্কৃতিকারীরা ছেড়ে দিয়েছে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা

মানিকছড়িতে ডিসি পার্কের বাধ ভেঙ্গে ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি, থানায় সাধারণ ডায়েরী

২৬৮

॥ মোঃ ইসমাইল হোসেন, মানিকছড়ি ॥

মানিকছড়ি উপজেলাধীন ২নং বাটনাতলী ইউনিয়নের অন্তর্গত ডলু মৌজার ডিসি পার্কের বাধ ভেঙ্গে পানি ও মাছ ভেষে যায়। বাধ ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে প্রায় ১৫ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসা সূত্রে জানা গেছে।

বুধবার (৫ অক্টোবর) দিবাগত গভীর রাতের কোনো এক সময়ে বাধটি ভেঙ্গে যাওয়ায় সরকারি সম্পত্তির অপূরণীয় ক্ষয়ক্ষতি সাধন হয়। তবে পুরো বর্ষা মৌসুমে বাধ না ভেঙ্গে বর্তমান সময়ে বাধটি ভেঙ্গে যাওয়াকে পরিকল্পিত ভাবে দুষ্কৃতিকারীরা ছেড়ে দিয়েছে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। সরকারিভাবে অপূরণীয় ক্ষতি হওয়ার এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য মোঃ আবুল হাশেম।

সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য মোঃ আবুল হাশেম জানান, সকাল সাড়ে ৭টার পর এ ঘটনা জানাজানি হলে সেখানে গিয়ে দেখি লেকের সব পানি ও মাছ ভেষে যায়। লেকে চাষকৃত মাছের মধ্যে তেলাপিয়া, শিং, রুই, কাতলা, সরপটি, কার্পসহ বিভিন্ন প্রজাতির সব গুলো মাছই পানির সাথে ভেষে গিয়ে আর্থিকভাবে প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। এ সময় স্থানীয়রাই প্রায় ৬-৭শ কেজি মাছ সংগ্রহ করে নিয়েছে।

উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ডলু মৌজায় অবস্থিত প্রায় ১৫৫ একর জায়গায় অবস্থিত ডিসি পার্কটি বর্তমানে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অধিনে রয়েছে। যার মধ্যে প্রথম লেকের আয়তন ২.৭২ একর, দ্বিতীয় লেকের আয়তন প্রায় সাড়ে ৩ একর এবং তৃতীয় লেকের আয়তন ১.৩১ একর। তিনটি লেকের মধ্যে সবচেয়ে বড় দ্বিতীয় লেকটি ভেঙ্গে যায়। যার উচ্চতা ৩০-৩৫ ফিট এবং প্রস্থ ১২০ ফিট। একটি বাধ দিয়ে নির্মাণ করা লেকের তিনটি শাখা রয়েছে। ভেঙ্গে যাওয়া দ্বিতীয় বাধটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৭শ ফিট বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ ঘটনায় মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রক্তিম চৌধুরী জানান, রাতের অন্ধকারে কে বা কারা এ ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়েছেন তা জানা যায়নি। বাধ ভেঙ্গে পানি ও মাছ ভেষে যাওয়ায় সরকারিভাবে প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় মানিকছড়ি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে