[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
নিজস্ব মাতৃভাষা ও অক্ষরগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে কাজ করব- সর্বমিত্র চাকমালক্ষ্মীছড়িতে সেনাবাহিনী কর্তৃক শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও আর্থিক সহায়তা প্রদানকাপ্তাইয়ে দূর্গাপুজা উদযাপন কমিটি গঠনকাপ্তাই হ্রদের পানি ১০৫ ফুটের মধ্যে রাখতে রাঙ্গামাটিতে চার আইনজীবী’র স্মারকলিপিলংগদুতে আবারো পানিবন্দি শতাধিক পরিবাররামগড়ে মারমা ঐক্য পরিষদের সপ্তম কাউন্সিল অনুষ্ঠিতরামগড়ে ওয়াদুদ ভূঁইয়া ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনাকাপ্তাই বিএফআইডিসি জামে মসজিদের খাদেম নুরুল হক এর বিদায় সংবর্ধনাডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে ভুমি সমস্যার সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ নিতে সরকার কাজ করছে: উপদেষ্টাখাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা নিয়ে বিভ্রান্তি
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে মানিকছড়িতে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব

১১৮

॥ মোঃ ইসমাইল হোসেন, মানিকছড়ি ॥

প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে শেষ হলো হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।

বুধবার (৫ অক্টোবর) বিকালে মানিকছড়ি উপজেলার শ্রী শ্রী রাজশ্যামা কেন্দ্রীয় কালি মন্দির পুকুরে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব। প্রতিমা ঘাটে নিয়ে আসার পর শেষবার ধূপধুনো নিয়ে আরতিতে মেতে ওঠেন ভক্তরা। সবশেষে পুরোহিতের মন্ত্রপাঠের মধ্যদিয়ে মা দুর্গাকে বিসর্জন দেওয়া হয়। এ সময় ‘দুর্গা মা কী, জয়’, ‘আসছে বছর আবার হবে’ বলে ধ্বনি দেওয়া হয়। ভক্তরা ঢাকের শব্দের সঙ্গে কাসার ঘণ্টা বাজিয়ে প্রতিমা বিসর্জন দেয়। মানিকছড়ি কেন্দ্রীয় কালি মন্দিরের পাশাপাশি, তিনটহরী দুর্গা মন্দির পরিচালনা কমিটির উদ্যোগে তিনটহরীর ভাবনা কেন্দ্রের দিঘীতে প্রতিমা বিসর্জান দেয়। তাছাড়া একসত্যাপাড়া শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ মন্দিরের পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃত্বে মন্দিরে নিকটবর্তী পুকুরে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শারদীয় দুর্গোৎসবের সমাপ্তি ঘটে।

এ সময় মন্দির পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ, সম্মানিত উপদেষ্টা, শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষসহ অসংখ্য সনাতনী ধর্মাবলম্বীা উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত।

সকলেই করোনার কারণে দুই বছর পর শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন করতে পেরে সৃষ্টিকর্তা প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। দুষ্ট ও অশুভ শক্তির বিনাশের পাশাপাশি সত্য ও সুন্দর আগামী জীবন কামনা করেন। তাছাড়া পুরোনো বছরের দুঃখ, কষ্টকে ভুলে গিয়ে আগামীর জয় গানে মেতে ওঠেন ভক্তরা। পুরো দুর্গোৎসবকে ঘিরে সকল ধর্মের মানুষের পদচারণায় সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয় উপজেলার সবকটি মন্দির। সেই সাথে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাক পার্বত্যঞ্চলসহ সমগ্র দেশ এমনটাই প্রত্যাশা সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের।

পাঁচ দিনব্যাপী শারদীয় দুর্গোৎসবকে গিরে প্রতিটি পুজা মন্ডপে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পুলিশ ও আনসার সদস্যরা ছিল কঠোর অবস্থানে। যাতে কোনো প্রকার আইনশৃঙ্খলার অবনতি না ঘটে। তাছাড়া শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন কমিটির নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবীরাও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।