জন সেবায় কখনো তাঁর কৃপনতার প্রকাশ হয়নি
সদালাপী, বিনয়ী ও হাস্যোজ্জ্বল ছিলেন চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চাকমা
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার মগবান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চাকমা (৬১) শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা গেছেন। গত বুধবার বিকাল ৫ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রামের সার্জিসকোপ হাসপাতালের তিনি মারা যান।
স্থানীয় সুত্রগুরো জানায়, বিশ্বজিৎ চাকমার মৃত্যুতে তাঁর ইউনিয়নের জনসাধারনের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। বিশ্বজিৎ চাকমা দেশের করোনা পরিস্থিতির সময় জনগনের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন। শুরু থেকে সরকারের অর্পিত দায়িত্ব পালনে ইউনিয়নের জনগণের সেবায় নিরলস পরিশ্রম করে যান। নিজ এলাকার জনগণের দৌড়গোড়ায় ত্রান পৌঁছে দেওয়া থেকে শুরু করে স্থানীয়দের মাঝে করোনা সচেতনতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রচারণায় অগ্রনী ভুমিকা রাখেন। তিনি দীর্ঘ ১৬ বছর ইউপি মেম্বারের দায়িত্ব পালন ও ২০১৬ সালে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। নিজ ইউনিয়ন ছাড়াও রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার সকলের কাছে একজন সদালাপী, বিনয়ী ও হাস্যোজ্জ্বল জনপ্রতিনিধি হিসেবে পরিচিত ছিলেন সবার কাছে।
সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মগবান ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান অরুন কান্তি চাকমা জানান, বিশ্বজিৎ চাকমা গত ১৫ সেপ্টেম্বর শ্বাসকষ্ট নিয়ে চট্টগ্রামের সার্জিসকোপ হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৩ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকেল ৫টায় মারা যান। তার মৃত্যুতে সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ শহীদুজ্জামান মহসীন রোমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরা উপমা, ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন ইসলাম, উপজেলা পরিষদ এর সাবেক চেয়ারম্যান হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর, অরুন কান্তি চাকমা শোক প্রকাশ করেন। তাঁর পরলৌকিক জীবন সুখের হোক এ কামনা করেন।
অপরদিকে সাপ্তাহিক পাহাড়ের সময় পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মিলটন বড়ুয়া বলেছেন, জনসেবায় সফল একজন চেয়ারম্যান ছিলেন বিশ্বজিৎ চাকমা। তাঁর অকাল প্রয়াণ সত্যি এলাকার জনগনের চরম ক্ষতি হলো। তিনি জনগনের সেবা এবং সরকারি আদেশ পালনে সচেষ্ট ছিলেন। জনসেবায় কখনো তাঁর কৃপনতার প্রকাশ হয়নি। তিনি বিশ্বজিৎ চাকমা’র আত্মার সদগতি এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। সেই সাথে করোনার বিরুদ্ধে লড়াকু বিশ্বজিৎ চাকমার পরিবারকে সরকার সহযোগীতার হাত বাড়াবে এ প্রত্যাশা করেন।
এম.বি/আর