[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
বান্দরবানের লামায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩০ শতক জায়গা বেদখলবান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে হেডম্যান মংথোয়াইলা এর বিরুদ্ধে নানান অভিযোগকামাল হোসেন ছিলেন একজন অকুতোভয় নির্ভীক সাংবাদিকবান্দরবানের থানচিতে হেডম্যান পাড়ার কালভার্ট গ্রামবাসীদের মরণফাঁদরাঙ্গামাটির রাজস্থলীতে মোবাইল নেটওয়ার্ক বিপর্যস্ত জনগনের মাঝে ক্ষোভকাপ্তাই কর্ণফুলী সরকারি কলেজ এর অধ্যক্ষ আর নেইচট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি রাঙ্গামাটির দুই থানা পরিদর্শনগণতন্ত্রের পুনরুদ্ধারে জাতীয়তাবাদী দলের কোন নেতাকর্মী আর পিছ পা হবে নারাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে মোবাইল নেটওয়ার্ক নিয়ে ভোগান্তিতে স্থানীয় বাসিন্দারাদুর্নীতির বিরুদ্ধে তরুণ প্রজন্মকে সৎ ও নৈতিক শিক্ষায় গড়ে তোলা জরুরি
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

চকরিয়া উপজেলার বমু বিলছড়ি ইউনিয়নের ঘটনা

নিখোঁজের একমাস পর শিশুর গলিত লাশ উদ্ধার

১২৮

॥ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ॥

নিখোঁজের একমাস পর ১৫ বছরের এক শিশুর গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। চকরিয়া উপজেলার দুর্গম বমু বিলছড়ি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ভিলেজার পাড়ার মলারমার ডুরি এলাকায় মনছুর উদ্দিনের মাছের প্রজেক্ট থেকে গলিত ও ক্ষতবিক্ষত শিশুর লাশটি উদ্ধার করে তার বাবা-মা। নিহত শিশু মোঃ মিনহাজ (১৫) লামা উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের তেশলঝিরি এলাকার মোঃ ফোরকান ও শাহানা বেগমের ছেলে। শিশুটি পার্শ্ববর্তী বমু বিলছড়ি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মাইজপাড়া এলাকার বাসিন্দা মৃত মোঃ ইসমাইল এর ছেলে মনছুর উদ্দিনের একই ইউনিয়নের ৪নং ওয়াডের মলারমার ডুরি এলাকায় মাছের প্রজেক্টে চাকরি করত। গত এক মাস যাবৎ ছেলেটিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলনা।

বমু বিলছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল কাদের শিশুর গলিত লাশ উদ্ধারের বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ বেলাল সহ অনেকের কাছ থেকে জেনে লোকজন নিয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই। সন্ধ্যা ৬টার দিকে শিশুটির বাবা মোঃ ফোরকান ও মা শাহানা বেগম মনছুরের প্রজেক্ট থেকে মাটিতে পুঁতে রাখা গলিত লাশটি তুলে ফেলে। লাশটি একবারে পঁচে গেছে। লাশের কিছু অংশ এখনো ওই স্থানে পড়ে আছে। লাশের তোলা কিছু অংশ বর্তমানে লামার ছোট বমু বাজারে আনা হয়েছে।

রাত ৯টায় কথা হয় চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল কাদের এর সাথে। তিনি আরো বলেন, বেশ কয়েকদিন আগে মিনহাজকে মারা হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। চকরিয়া থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে। পুলিশ আসার কথা রয়েছে।

মিনহাজের বাবা মোঃ ফোরকান বলেন, আমার ছেলে নেতা মনছুরের প্রজেক্টে চাকরি করত। গত একমাস যাবৎ আমার ছেলেকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। বাড়ি থেকে তার ব্যবহারের জিনিসপত্র নিয়ে সে চলে যায়। আমার ছেলে কোথায় এমন প্রশ্ন করলে মনছুর বলে সে জানেনা। গত কয়েকদিন ধরে আমি ও আমার স্ত্রী স্বপ্ন দেখেছি, কেউ আমার ছেলেকে মেরে মাটিতে পুঁতে ফেলেছে। সন্দেহ থেকে আজ মনছুরের প্রজেক্টে খুঁজতে গিয়ে দুর্গন্ধ দেখে মাটি খুঁড়ে ছেলের গলিত লাশ পাই। মিনহাজের মা শাহানা বলেন, আমার ছেলেকে খুন করা হয়েছে। আমি বিচার চাই।

এবিষয়ে জানতে মনছুর উদ্দিনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়েছে। লাশের অংশ গুলো সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। অপরাধীদের খুঁজে বের করা হবে।