[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
খাগড়াছড়িতে অপহৃত ৫শিক্ষার্থীর মধ্যে লংঙি ম্রো বান্দরবান উপজেলা আলীকদমেরখাগড়াছড়ির রামগড়ে দুই কোচিং সেন্টারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাখাগড়াছড়ির রামগড়ে দুই বসতবাড়ি আগুনে ভষ্মিভুতদীঘিনালায় গার্ল গাইডস এসোসিয়েশনের ৫দিনব্যাপি বিজ্ঞপাখি মৌলিক প্রশিক্ষণ সম্পন্নখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বাড়ির সদস্যদের অজ্ঞান করে দূর্ধষ চুরিগুণগত শিক্ষা জাতিগত ভেদাভেদ ভুলিয়ে দিতে পারবে: রাঙ্গামাটিতে জলখেলি অনুষ্ঠানে সুপ্রদীপনৃ-গোষ্ঠীর আগে ক্ষুদ্র শব্দটি ব্যবহার করতে চাই না: জলকেলীতে উপদেষ্টা সুপ্রদীপবান্দরবানের আলীকদমে মার্মা সম্প্রদায়ের মাহাঃ সাংগ্রাই পোয়েঃ-২০২৫ উৎসব পালনপুরোনো দিনের গ্লানি মুছে যাক সাংগ্রাইয়ের মৈত্রীময় জলেবান্দরবানের থানচিতে খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের গুড ফ্রাইডের উপহার দিলেন সেনাবাহিনী
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

দীঘিনালায় পাহাড়ের ঢালুতে মিষ্টি পান চাষ

৭৮

॥ সোহেল রানা, দীঘিনালা ॥

এই গ্রামে আগে কেউ পান চাষ করতো না। প্রথমেই পাহাড়ে জুম চাষের পাশাপাশি পান চাষ করার উদ্যোগ নিই আমি। জুম চাষের পাশাপাশি দুটো পানের বরজে পান চাষ শুরু করি। দুটো পান বরজেই ফলন ভালো হয়েছে। ইতিমধ্যে পানও বিক্রি করা শুরু করেছি। মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে পান উত্তোলন করার সময় প্রতিবেদককে এসব কথাগুলো বলেন, দীঘিনালা উপজেলার দুর্গম মিলন কার্বারী পাড়া গ্রামের বাসিন্দা পানচাষী নবীন কুমার ত্রিপুরা (৩৬)।

তিনি আরও জানান, ২০১৬ সালে তিনি বিনয় ত্রিপুরা নামে একজনের কাছ থেকে পান চাষ করার পরামর্শ নেন। পরে তিনি ২০১৯ সালে পান চাষ শুরু করেন। এখন তাঁর স্ত্রী রনিকা ত্রিপুরাসহ (৩৩) দুজনেই পানের বরজ পরিচর্যা করেন। দুটো পানের বরজ থেকে প্রায় দুই লক্ষ টাকার পান বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি জানান ।

অপর পান চাষী হতেন ত্রিপুরা জানান, নবীন কুমার ত্রিপুরার পানের বরজের চাষ দেখে তিনিও একটি পানের বরজ করেন। এই বরজ থেকে পান উৎপাদন শুরু হয়েছে।

এবিষয়ে সীমানা পাড়া এবং মিলন কার্বারী পাড়া গ্রামের দায়িত্ব প্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অসীম চাকমা জানান, সীমানা পাড়া এবং মিলন কার্বারী পাড়া গ্রামে পাহাড়ে ঢালুতে উৎপাদিত হচ্ছে সুমিষ্ট পান। উৎপাদন ভালো হওয়ায় দেখাদেখি অনেকেই চাষ করছেন।

জানা গেছে, দীঘিনালা উপজেলার সীমানা পাড়া এবং মিলন কার্বারী পাড়া এলাকায় পাহাড়ের ঢালুতে জুম চাষের পাশাপাশি প্রথম পান চাষ শুরু করেন নবীন কুমার ত্রিপুরা। নবীন কুমার ত্রিপুরা কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এলাকার অনেকেই পান চাষ করেন। বর্তমানে এসব গ্রামে ২০টির অধিক পানের বরজ রয়েছে। এসব বরজের পান সুমিষ্ট হওয়ায় জেলা সদর সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে যাচ্ছেন, স্থানীয় পাইকারী ব্যবসায়ীরা। প্রতি বিড়া ছোট পান ১৪ টাকা, মাঝারি পান ১৮ টাকা এবং বড় পান ৪০ টাকা দরে কিনে নেন পাইকারী ব্যবসায়ীরা।

ই-পিসি/আর