[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় স’মিল মালিককে ৬০ হাজার টাকা জরিমানাখাগড়াছড়ির রামগড়ে ৪৩ বিজিবির ব্যবস্থাপনায় নিরাপত্তা ও সমন্বয় সভাবাঘাইছড়িতে কৃষকদের মাঝে কৃষি প্রশিক্ষণ ও কৃষি উপকরণ বিতরণখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ধান চাষে কৃষকদের প্রশিক্ষণ সনদ প্রদানরাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভারাঙ্গামাটির লংগদুতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণখাগড়াছড়িতে দেড় দশক পর সরাসরি ভোটে কলেজ ছাত্রদলের কাউন্সিল সম্পন্নরামগড় ৪৩ বিজিবির উদ্যোগে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নগদ অর্থ ও খাদ্যশস্য বিতরণরাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ এক সন্ত্রাসী আটকএকটি দল দেশে চাঁদাবাজি দখলদারি নিয়ে ব্যাস্ত আছে, খাগড়াছড়িতে চরমোনাই পীর
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

আকাশ সংস্কৃতির দৌরাত্ব

কাপ্তাইয়ে ২০ বছরে বন্ধ হয়েছে ৭টি সিনেমা হল

৯০

॥ কবির হোসেন, কাপ্তাই ॥

আকাশ সংস্কৃতির দৌরাত্ব আর দর্শকের অভাবে গত ২০ বছরে বন্ধ হয়ে গেছে কাপ্তাই উপজেলার ৭টি সিনেমা হল। অথচ এই কাপ্তাই উপজেলা এক সময় রাঙ্গামাটি জেলার মধ্যে বিনোদনের সেরা স্থান হিসেবে পরিচিত ছিল।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৯০ দশক পর্যন্ত কাপ্তাই উপজেলা ছিল জেলার সব চেয়ে উন্নয়নশীল এলাকা। সমগ্র উপজেলায় ছিল ৭-৮টি সিনেমা হল। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ছিল বেশ কয়েকটি সাংস্কৃতিক সংগঠন। প্রায় সারা বছর জুড়েই এসব সংগঠনের কোন না কোন অনুষ্ঠান চলত। অথচ সময়ের সাথে সাথে একে একে বিনোদনের সব মাধ্যমই বন্ধ হয়ে গেছে। ১৯৮৮ সালে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পরিচালনাধীন ” অলিম্পিয়া” সিনেমা হল বন্ধের মাধ্যমে উপজেলার বিনোদন অঙ্গনে ধস নামে। ১৯৯০ সালে বন্ধ হয়ে যায় কাপ্তাই নতুন বাজারে অবস্থিত “লোটাস” সিনেমা হল। ১৯৯১ সালের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্থ হয়ে পড়ে চন্দ্রঘোনা কেপিএমের আওতাধীন “চান্দিমা সিনেমা হল”। প্রায় একযুগ সিনেমা হলটি বন্ধ থাকার পর ২০০৩ সালে বিপুল অর্থ ব্যয়ে সিনেমা হলটি পুনরায় চালু করা হলেও দর্শকের অভাবে একমাসের মাথায় হলটি আবারও বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। ১৯৯৯ সালে বিধ্বস্থ হওয়া বাঙ্গালহালিয়ার “শান্ত সিনেমা হলটি” আর চালু করা যায়নি। ২০০২ সালে বন্ধ করে দেওয়া হয় রাইখালীর “উর্মি সিনেমা হল”। এরপর বন্ধের তালিকায় যুক্ত হয় মিতিঙ্গাছড়ির “বজ্রঙ্গনা” সিনেমা হলটি। সর্বশেষ দর্শকের অভাবে ২০০৬-২০০৭ সালের দিকে বন্ধ করে দেওয়া হয় কাপ্তাই নতুন বাজারে অবস্থিত “বনলতা” সিনেমা হলটি। পরবর্তীতে দীর্ঘ অনেক বছর অতিবাহিত হলেও এপর্যন্ত এসব সিনেমা হল চালানোর আর কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

এলাকার প্রবীন কয়েকজন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও বর্তমান সময়ের ব্যস্ত কয়েকজন সাংস্কৃতিক কর্মীর সাথে আলাপকালে তারা জানান, আকাশ সংস্কৃতি আর ইন্টারনেটের বদৌলতে মোবাইলের মাধ্যমে এখন হাতে হাতে নতুন ছবি গুলো চলে আসে। তাই মফস্বল এলাকার সিনেমা হলে বসে ছবি দেখার সময় কোথায়। তবে তারা এও বলেন, হলে বসে ছবি দেখার মজাই আলাদা। যা মোবাইলে অথবা টিভিতে দেখে পাওয়া যায়না। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ঐতির্হ্যরে প্রতিষ্ঠান দেশের সিনেমা হলগুলোকে নিয়ে ভাবা দরকার।